অবশেষে চালু হচ্ছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। পদ্মা সেতুর কাজ শুরুর আগেই কথিত দুর্নীতির অভিপ্রায়ের অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক-এডিবি-জাইকার সরে যাওয়া দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুদকের মামলা এবং যোগাযোগ সচিবকে গ্রেফতার, প্রধানমন্ত্রীর এক উপদেষ্টাকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ, কানাডায় আদালতে মামলা নানান বাধার মুখে পড়েছে পদ্মা সেতু। অতঃপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় ঘোষণা ‘নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করব’। পাহাড়সম বাধা-বিপত্তি ডিঙিয়ে উন্নয়ন সহযোগী চীনের চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানি ২০১৫ সালে নির্মাণকাজ শুরু করে।
দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা ভুল প্রমাণ করে পদ্মা সেতু এখন যান চলাচলের উপযোগী হয়ে উঠেছে। গতকাল জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, পদ্মা সেতুর কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে এবং চলতি বছর শেষ নাগাদ সেতুটি চালু হবে। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু ২০২২ সালের শেষ নাগাদ যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। এ সময় তিনি দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে রয়েছে বলে মন্তব্য করেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়। প্রশ্নোত্তরে নওগাঁ-২ আসনের শহীদুজ্জমান সরকারের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকারের সাহসী পদক্ষেপের অংশ হিসেবে সকল বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে পদ্মা সেতু হতে যাচ্ছে। এটা (পদ্মা সেতু) ইতিহাসে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং প্রকল্পগুলোর একটি। ‘দক্ষিণাঞ্চলের কোটি কোটি মানুষের পদ্মা সেতু প্রকল্পের উভয় প্রান্তে অ্যাপ্রোচ রোড ও সার্ভিস এরিয়ার কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে’ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মূল সেতুর ভৌত কাঠামোর অগ্রগতি হয়েছে ৯৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। বর্তমানে সেতুতে কার্পেটিং, ভায়াডাক্ট কার্পেটিং, ওয়াটারপ্রুফ মেমব্রেন, মূল সেতু ও ভায়াডাক্টের মুভমেন্ট জয়েন্ট, ল্যাম্পপোস্ট, অ্যালুমিনিয়াম রেলিং, গ্যাসের পাইপলাইন, ৪০০ কেভিএ বিদ্যুৎ এবং রেললাইন নির্মাণের কাজ চলছে। ২০২২ সালের শেষ নাগাদ পদ্মা সেতু চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দিতেই কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। পদ্মা সেতু প্রকল্পের সংশোধিত ব্যয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা বলে তিনি জানান।
এর আগে গত ৩ এপ্রিল সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন, আগামী জুন মাসে পদ্মা বহুমুখী সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। অবশ্য গতকালই মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য পদ্মা সেতু প্রকল্পের কিছু মালামাল ইউরোপ থেকে আসতে দেরি হচ্ছে। তাই পদ্মা সেতু চালু দেরি হতে পারে।
পদ্মা সেতু প্রকল্প নির্মাণ করা করেছে চীনের চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানি। সেতুটি নির্মাণ হয়েছে মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় ও শরীয়তপুরের জাজিরা পয়েন্টে। এ সেতু রাজধানী ঢাকার সাথে সংযোগ স্থাপন করবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার।
দেশের সব অঞ্চলের মধ্যে সুষ্ঠু ও সমন্বিত যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০১৫ সালে ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাজিরা ও মাওয়া প্রান্তে প্রকল্পের নদী শাসন কাজ এবং মূল সেতুর নির্মাণ কাজের সূচনা করেন। সেতুর প্রথম স্প্যান বসানো হয় ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর। শেষ স্প্যান বসানো হয় ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর।
পদ্মা সেতুর অর্থায়ন নিয়ে নানা চড়াই-উৎরাই পেরোতে হয়েছে। দুর্নীতির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বিশ^ব্যাংক সরে যাওয়ার পর সেতু নির্মাণ পড়ে যায় অনিশ্চয়তায়। দেশ-বিদেশের বরেণ্য অর্থনীতিবিদরা প্রচার করেন নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব নয়। এ প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণের সাহসী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তিনি জানান, বিশ্বব্যাংক নয়; নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করব। শুধু নিজস্ব অর্থায়নই নয়, চীনের অর্থায়ন ও কারিগরি সহায়তা দিলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেশীয় উপকরণ দিয়ে নির্মিত হচ্ছে পদ্মা সেতু। স্বপ্নের এ সেতুর জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল প্রায় ২ হাজার ৭০০ হেক্টর। ক্ষতিগ্রস্ত ১৫ হাজার ৪০০ পরিবারের মধ্যে প্রায় ৩ হাজার পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। ৩ হাজার পরিবারকে তাদের পছন্দ অনুযায়ী স্থানে পুনর্বাসন করা হয়েছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৪৫৫ পরিবারকে পুনর্বাসন এলাকায় বিভিন্ন সাইজের প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রতিটি পুনর্বাসন এলাকায় প্রকল্পের অর্থায়নে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, কাঁচাবাজার, সুপেয় পানির ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।
এই পদ্মা সেতুর নির্মাণ নিয়ে দেশ-বিদেশে নেতিবাচক প্রচারণা হয়েছে বছরের পর বছর ধরে। সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংকের সাথে ঋণ চুক্তি হয়েছিল ১২০ কোটি ডলারের। কিন্তু সেতু নির্মাণের আগেই ২০১৬-১৭ সালে সেতু প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির আভিযোগ তুলে ঋণচুক্তি প্রত্যাহার করে নেয় বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংকের পথ ধরে টাকা দিতে বিরত থাকে এডিবি ও জাইকা। এ নিয়ে কানাডার আদালতে মামলায় লড়তে হয়েছে; ওই সময়ের যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে সরে যেতে হয়েছে এবং সে সময়ের যোগাযোগ সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াসহ ৩ জনকে কারাবরণ করতে হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ় সিদ্ধান্ত নেন পদ্মা সেতু নির্মাণ করার। কিন্তু সেতুর কাজ পাইয়ে দেয়ার কাল্পনিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে বার বার অনিশ্চিত হয়ে পড়ে সেতু নির্মাণ। ২০১২ সালে পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ পেতে বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ দেয়ার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে কানাডার রয়্যাল মাউন্টেড পুলিশ (আরসিএমপি) আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত হন মোহাম্মদ ইসমাইল। এসএনসি লাভালিনের ভাষ্যমতে, পারফরম্যান্সজনিত কারণে হওয়ার এক বছর আগে ২০১১ মোহাম্মদ ইসমাইলকে চাকরিচ্যুত হতে হয়েছিল। পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্র মামলায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মোহাম্মদ ইসমাইল ও তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ভারতীয় বংশোদ্ভূত রমেশ শাহর বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি মামলা অন্টারিও সুপিরিয়র কোর্ট অব জাস্টিসের আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
এদিকে পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ২০১২ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানী থানায় (মামলা নং-১৯) মোট ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। মামলায় আসামিরা হলেন সে সময়ের সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদৌস, সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রিয়াজ আহমেদ জাবের, ইপিসির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম মোস্তফা, কানাডীয় প্রকৌশল প্রতিষ্ঠান এসএনসি লাভালিনের ভাইস প্রেসিডেন্ট কেভিন ওয়ালেস। তবে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি না হলেও সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন এবং সাবকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীকে মামলায় সন্দেহভাজনের তালিকায় রাখা হয়। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানকে দুদক জিজ্ঞাসাবাদ করে।
এত প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। চীনের চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানি পদ্মা সেতু নির্মাণ করায় ভারতীয় গোয়েন্দা ষড়যন্ত্র শুরু করে। গত দুই বছরে সেতুর আশপাশ থেকে বিভিন্ন সময় ভারতীয় ৫ জন নাগরিককে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করার সময় গ্রেফতার করা হয়।
নিত্যপণ্যের দাম কমেছে : সরকারি দলের কাজিম উদ্দিন আহমেদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারিতে সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দার কারণে যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে সব দেশেই দ্রব্যমূল্য ভীষণভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে অনাকাক্সিক্ষতভাবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কুফল হিসেবে আন্তর্জাতিক বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে জনবান্ধব বর্তমান সরকার দেশের নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সম্ভাব্য সব রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ সময় নিত্যপণের মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, টিসিবির বিক্রয় কার্যক্রম চলমান থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার মূল্য উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। সরকারের কার্যক্রমের ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে রয়েছে। পবিত্র রজমান মাসে নিত্যপণ্য সহনীয় পর্যায়ে থাকবে বলে আশা করি।
প্রশ্নোত্তরে প্রধানমন্ত্রী কয়েকটি নিত্যপণ্যের টিসিবি, বর্তমান ও পূর্বের বাজারমূল্যের একটি তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রীর দেয়া তথ্য মতে, গত ১ মার্চ সয়াবিন তেলের এক লিটার ক্যানের বাজার মূল্য ছিল ১৭০ টাকা, ৫ এপ্রিল এর মূল্য কমে হয়েছে ১৬১ টাকা ৫০ পয়সা, এ সময়ে সয়াবিন খোলা প্রতি লিটার ১৭৫ টাকা থেকে কমে ১৫৫ টাকা এবং পামওয়েল লিটারপ্রতি ১৫৮ টাকা থেকে কমে ১৪২ টাকা হয়েছে। এ সময় টিসিবি প্রতি লিটার ক্যান বিক্রি করেছে ১১০ টাকা করে। এছাড়াও মসুর ডালের কেজি ১ মার্চের ১২০ টাকা থেকে কমে ৫ এপ্রিল হয়েছে ১১২ টাকা ৫০ পয়সা। এ সময়ে টিসিবি বিক্রি করছে ৬৫ টাকা কেজি। খোলা চিনি প্রতি কেজি ১ মার্চের ৮৫ টাকা থেকে কমে ৫ এপ্রিল ৭৮ টাকা হয়েছে। এ সময় টিসিবি বিক্রি করছে ৫৫ টাকা। ছোলা কেজিপ্রতি ১ মার্চের ৭৭ টাকা থেকে কমে ৫ এপ্রিল ৭২ টাকা ৫০ পয়সায় এসেছে। এ সময়ে টিসিবি বিক্রি করছে কেজি ৫০ টাকায়। পেঁয়াজ ১ মার্চের ৬০ টাকা কেজি থেকে কমে ৫ এপ্রিল ৩১ টাকা ৫০ পয়সা হয়েছে। টিসিবি বিক্রি করছে ২০ টাকা কেজি দরে।
২৯৬৪৮৪১২০ ডোজ টিকা : নোয়াখালী-২ আসনের মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিনামূল্যে করোনা টিকা প্রদানের শুরু থেকে গত ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকার ২৯ কোটি ৬৪ লাখ ৮৪ হাজার ১২০ ডোজ টিকা সংগ্রহ করেছে। এ পর্যন্ত ১২ কোটি ৮০ লাখ ৭০ হাজার ৯৪৮ জনকে প্রথম ডোজ এবং ১১ কোটি ৪২ লাখ ৬৭ হাজার ৯৫৬ জনকে দ্বিতীয় ডোজসহ মোট ২৪ কোটি ২৩ লাখ ৩৮ হাজার ৯০৪ জনকে দুই ডোজ টিকা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ১ কোটি ৮১ হাজার ১৯৩ জনকে বুস্টার ডোজ প্রদান করা হয়েছে। টিকার মূল্য সংক্রান্ত ওই সংসদ সদস্যের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সংশ্লিষ্ট দেশের সাথে নেগোসিয়েশন করে বিশ্ববাজারে প্রচলিত দরের চেয়ে তুলনামূলকভাবে কম মূল্যে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে টিকা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে। তবে টিকা কেনার ক্ষেত্রে নন-ডিকক্লোজার এগ্রিমেন্ট থাকায় টিকার মূল্য বা এ সংক্রান্ত ব্যয় প্রকাশ করা সমীচীন হবে না।
করোনায় বিদেশ গেছে ৯৩৬৯৫৫ কর্মী : সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, ২০০৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৭৬ লাখ ৭০ হাজার ৩৯৯ জন কর্মী বিদেশ গেছেন। করোনা অতিমারির সময়েও ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৯৫৫ জন কর্মী বৈদেশিক কর্মসংস্থান লাভ করেছেন।
ষাটোর্ধ্ব পেনশনে আইন : লক্ষ্মীপুর-২ আসনের নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা জানান, দেশের বয়স্কগোষ্ঠীকে টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় এনে তাদের আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সার্বজনীন পেনশন স্কিম প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে সার্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত একটি আইন প্রণয়ন ও ওই আইনের আওতায় একটি ‘কর্তৃপক্ষ’ গঠনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।