1. rashidarita21@gmail.com : bastobchitro :
প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইন সাংবাদিকবান্ধব নয় | Bastob Chitro24
শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ফিনান্সিয়াল টাইমসের রিপোর্ট মেয়ের সঙ্গে দিল্লিতে থাকছেন শেখ হাসিনা, ঘুরতে দেখা গেছে পার্কে অন্তর্বর্তী সরকার অধ্যাদেশের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাবিতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সকল প্রকার রাজনীতি নিষিদ্ধ জাবিতে ছাত্রলীগ নেতা হত্যায় জড়িতরা শনাক্ত, ৫ জনই ছাত্রদলকর্মী কুষ্টিয়া গড়াই নদীর উপকূলবর্তী এলাকায় পানি বাড়াতে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। সংসদ ভবনে ভাঙচুর-লুটপাট, খোয়া গেছে ৯০ লাখ টাকা পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সা: আজ সাবেক সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর গ্রেপ্তার আসুন নতুন বাংলাদেশ গড়তে একসঙ্গে কাজ করি : ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বিদ্যুৎ-জ্বালানির মুনাফা বোনাসের তদন্ত হবে

প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইন সাংবাদিকবান্ধব নয়

ঢাকা অফিস
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২০ এপ্রিল, ২০২২

জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ‘গণমাধ্যমকর্মী (চাকরির শর্তাবলি) আইন-২০২২’ সম্পর্কে সম্পাদক পরিষদ অভিমত ব্যক্ত করেছে। মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সম্পাদক পরিষদ বলেছে, প্রস্তাবিত আইনটি সার্বিকভাবে গণমাধ্যম ও গণমাধ্যমকর্মীদের স্বার্থের বিরুদ্ধে। আইনটির ৫৪টি ধারার মধ্যে ৩৭টি ধারাই সাংবাদিকবান্ধব নয় বলেও অভিমত প্রকাশ করা হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোভিড মহামারির অভিঘাতে সংবাদপত্র শিল্প আজ ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। দেশে-বিদেশে অনেক দৈনিক পত্রিকা ছাপা বা প্রিন্ট সংস্করণ কমাতে বা বন্ধ করতে শুরু করেছে। উল্লেখযোগ্য হারে বিজ্ঞাপনের আয়ও হ্রাস পেয়েছে। ছাপা পত্রিকা ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে স্থানান্তরিত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কঠিন সময় পার করছে ছাপা পত্রিকা। সংবাদপত্রের এ সংকটকালেই এ বছর ২৮ মার্চ জাতীয় সংসদ ‘গণমাধ্যমকর্মী (চাকরির শর্তাবলি) আইন-২০২২’ উত্থাপন করা হয়েছে। আইনটি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে- এর ৫৪টি ধারার মধ্যে ৩৭টি ধারাই সাংবাদিকবান্ধব নয়।

সম্পাদক পরিষদ মনে করে-প্রস্তাবিত ‘গণমাধ্যমকর্মী আইন-২০২২’-এর মাধ্যমে ১. গণমাধ্যমকর্মীদের স্বার্থ রক্ষার নামে গণমাধ্যম শিল্প ও গণমাধ্যমকর্মীদের আমলাতন্ত্রের অধিকার নিয়ন্ত্রণে আনা হচ্ছে। ২. গণমাধ্যম আদালত ও আপিল আদালত গঠনের মাধ্যমে সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য আইনি জটিলতা সৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে এ ধরনের আদালত স্বাধীনভাবে গণমাধ্যম পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে। ৩. এ আইন বাস্তবায়িত হলে এডিটোরিয়াল ইনস্টিটিউশন পুরোপুরি ধ্বংসপ্রাপ্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ৪. প্রস্তাবিত আইনে মালিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের পরস্পরের প্রতিপক্ষ বানানো হয়েছে এবং এর ফলে তাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ৫. এ আইনে সরকারকে সংবাদপত্র বন্ধের অধিকার দেওয়া হয়েছে, যা অতীতের নিবর্তনমূলক আইন স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্টে ছিল এবং পরবর্তীকালে যা বাতিল করা হয়েছে। ৬. যদিও সংবাদপত্র শিল্প ব্যক্তিমালিকানাধীন, কিন্তু আইনে গণমাধ্যম পরিচালনার ক্ষেত্রে সরকারের হস্তক্ষেপের পথ উন্মোচন করা হয়েছে।

সম্পাদক পরিষদ মনে করে-এ আইন পাশ হলে তা স্বাধীন সাংবাদিকতা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্তসহ সংবাদপত্রের বিকাশ সংকুচিত করবে। এ রকম আইন চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে তাই সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন। সার্বিকভাবে আইনটি গণমাধ্যম ও গণমাধ্যমকর্মীদের স্বার্থের বিরুদ্ধে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
প্রযুক্তি সহায়তায়: রিহোস্ট বিডি