কুষ্টিয়ার খবর পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এবং দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকার কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি – সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রুবেলের অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার হয় ।বৃহস্পতিবার দুপুরে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার তেবাড়িয়া এলাকার গোলাম কিবরিয়া সেতুর নীচ থেকে লাশ সনাক্ত হয়।
লাশ সনাক্তের পর- সা়ংবাদিক হত্যার বিচারের দাবীতে -কুষ্টিয়ার সমস্ত সাংবাদিকবৃন্দ একতাবদ্ধ হয়ে সুষ্ঠু বিচার ও তদন্তের দাবিতে ৭ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেলে- কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে।
সাংবাদিকদের দাবী- প্রশাসনের গাফিলতির এবং দুর্নীতির কারণে একজন সাংবাদিকের ৫ দিন পরে লাশ পাওয়া যায় ১২ ঘণ্টার মধ্যে সাংবাদিকের খুনীদের সনাক্ত করতে হবে ।নাহলে ,সাংবাদিকবৃন্দ তাদের কলম তুলে একতাবদ্ধ হয়ে সমস্ত অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে বাধ্য হবে।
দেশ টিভির জেলা প্রতিনিধি এবং কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক- নাহিদ হাসান তিতাস বলেন -সাংবাদিকদের মানববন্ধন থেকে আল্টিমেটাম দিতে চাই। বারো ঘণ্টার মধ্যে খুণীদের সনাক্ত করা না হলে দুর্নীতিবাজ যারা,দায়িত্বে অবহেলা করে তাদের বিরুদ্ধে কলম চলবে।
এন টিভির কুষ্টিয়া প্রতিনিধি সাবিনা ইয়াসমিন শ্যামলী বলেন-৫দিন মানে অনেক সময়। প্রশাসন ইচ্ছে করলে তাকে অনেক আগে উদ্ধার করতে পারতো। দেশান্তর টিভির রুহুল আমিন বাবু বলেন-সাংবাদিক হয়ে -যখন, সবাইকে দেখার অধিকার আছে তখন ,আমি সাংবাদিক। সকলকে দেখার দায়িত্ব যখন আমার- তখন দায়িত্বটা আরো বেড়ে যায়। আর , এদেশের নাগরিক হয়ে আমাকে নিরাপত্তা দেবার দায়িত্ব কাদের সেটি আমি জানতে চাই আপনাদের কাছে। সামাজিক আন্দোলনের কার্শেদ আলম তার প্রতিবাদী বক্তব্যে বলেন – বিভিন্ন সময়ে যখনই লেখালেখি করে জনগণের পক্ষে যায় তখনই সাংবাদিকদের উপর আঘাত হানা হয়েছে। ষ্টাফ রিপোর্টার তৌহিদী হাসান শিপলু বলেন- এখনই সময় ঐক্যবদ্ধ হয়ে কলম আরো উঁচুতে তুলে ধরুন ।সকল ক্ষেত্রে সকল জায়গায় যত দুর্নীতি অনিয়ম আছে তুলে ধরুন। বাংলাটিভির জেলা প্রতিনিধি এবং প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ এম লিটন- উজ- জামান বলেন- পুলিশ প্রশাসন আজ দুর্বল প্রশাসনের পরিণত হয়েছে। যে সাংবাদিক ২২ লক্ষ মানুষের তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে সংবাদ পরিবেশন করে ।সে সাংবাদিক নিখোঁজ তদন্তে -পাঁচ দিনে প্রশাসন কেন ব্যর্থ হল -তার মৃত্যু নিশ্চিত করে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেল ।যদি শনাক্ত করতে না পারেন- তবে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
আরো বক্তৃতা রাখেন, নিউজ টোয়েন্টিফোর টিভির নিজস্ব প্রতিনিধি জাহিদুজ্জামান,বিটিভির জেলা প্রতিনিধি তরিকুল ইসলাম,মোহনা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি এস এম আকরাম।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা এবং প্রিন্ট মিডিয়া ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সমস্ত সাংবাদিকবৃন্দ।
সাংবাদিকবৃন্দ রুবেলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে তার পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন এবং আল্টিমেটাম দিয়েছেন যতক্ষণ তার খুনিরা ধরা না পড়ছে ,ততক্ষণ আরও- কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন।
উল্লেখ্য ৩ জুলাই সিঙ্গার মোড অফিস থেকে ফোন কল আসার পরে বাইরে যায় ।তারপর থেকে হাসিবুর রহমান রুবেল নিখোঁজ পরিবার সন্ধান করেও পায়নি ।৭জুলাই গড়াই নদী থেকে তার লাশ সনাক্ত করা হয়।