কিলিয়ান এমবাপ্পের ঝলকে লন্ডভন্ড হলো রবার্ট লেওয়ান্ডোভস্কির পোল্যান্ড। শেষ ষোলোর ম্যাচে ফ্রান্সের কাছে তারা হেরেছে ৩-১ গোলে। এমবাপ্পে করেছেন জোড়া গোল। ফ্রান্সের অন্য গোলটি অলিভার জিরুদের। পোল্যান্ডের হয়ে পেনাল্টি থেকে গোল করেন লেওয়ান্ডোভস্কি।
রোববার (৪ ডিসেম্বর) আল থুমামা স্টেডিয়ামে শুরুতেই রাফায়েল ভারানের হেড যায় পোল্যান্ড গোলপোস্টের সামান্য উপর দিয়ে। গোল মিস করে হাত চাপড়াতে চাপড়াতে রক্ষণভাগে ফেরেন এই ডিফেন্ডার। পর মুহূর্তে ফ্রান্সের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে আক্রমণ চালায় পোল্যান্ড। কিন্তু ম্যাটি ক্যাশের শট যায় হুগো লরিসের হাত বরাবর।
১৩ মিনিটের মাথায় চুয়ামেনির শট ফিরিয়ে নায়করূপে আবির্ভূত হন ওজসিচ সেজেসনি। কিছুক্ষণ পর রক্ষণভাগে বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে পোল্যান্ড। সেই বল পেয়ে গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন উসমান ডেম্বেলে। কিন্তু এবারও ব্যর্থ হয় তাদের প্রচেষ্টা। তিন মিনিট পর ফের আক্রমণে উঠেও নিরস বদনে ফিরতে হয় ফ্রান্সকে।
২৯ মিনিটে সবচেয়ে বড় সুযোগটি হাতছাড়া করে ফ্রান্স। এ সময় ডানপ্রান্ত থেকে উসমান ডেম্বেলের ছুড়ে দেয়া বলে পোস্ট লক্ষ্য করে অলিভার জিরুদ পা লাগালেই গোল পেতে পারত তারা। কিন্তু জিরুদের সেই শট চলে যায় পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে। ৩৫ মিনিটে কাছের পোস্ট দিয়ে এমবাপ্পের শট ঠেকান সেজেসনি।
পোল্যান্ড ৩৮ মিনিটে টানা কয়েকটি শট নেয় ফ্রান্সের গোলবার লক্ষ্য করে। একবার উপামেকানো, একবার লরিস ও শেষবার রাফায়েল ভারানে দলকে বাঁচান। এরপর ম্যাচে গতি ফেরায় ফ্রান্স। সেই সুবাদে বিরতির ঠিক আগে গোলও পায় দিদিয়ের দেশামের শিষ্যরা। এ সময় কিলিয়ান এমবাপ্পের পাস থেকে লক্ষ্যভেদ করেন সুযোগ হারানো জিরুদ।
বিরতি থেকে ফিরেও দুদলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলতে থাকে। ৪৮ মিনিটে দারুণ এক সেভ দিয়ে ফ্রান্সের চেষ্টা প্রতিহত করেন সেজেসনি। পোল্যান্ডও চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকে। কিন্তু একের পর এক সুযোগ নষ্ট হচ্ছিল তাদের। ৭৪ মিনিটে আরও এক গোল হজম করে দলটি। এরপর ডেম্বেলের পাস থেকে জাল কাঁপান এমবাপ্পে।
তখনও থামেনি এমবাপ্পে ঝলক। যোগ করা সময়েও গোলের দেখা পান এই তারকা। এবার তাকে অ্যাসিস্ট করেন মার্কাস থুরাম। ফিফা বিশ্বকাপে এটি তার নবম গোল। রাশিয়া বিশ্বকাপে তিনি করেছিলেন ৪ গোল। শেষ দিকে পেনাল্টি পায় পোল্যান্ড। সেই পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন লরিস, কিন্তু পরে দেখা যায় লেওয়ান্ডোভস্কি শট নেয়ার আগেই দাগ ছেড়ে চলে আসেন ফ্রান্স গোলরক্ষক। ফলে আবার পেনাল্টি শট নেয় পোল্যান্ড। সেখান থেকে কাঙ্ক্ষিত গোল করেন পোলিশ তারকা।