একটি নয়, দুটি নয়, পাঁচ পাঁচটি দেশের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন জিনেদিন জিদান। ব্রাজিল ও পর্তুগাল ফুটবল ফেডারেশন অনেক চেষ্টা চালিয়েও মন গলাতে পারেনি ফরাসি কিংবদন্তির। আপাতত জাতীয় দল নয়, ক্লাবেই কোচিং করাতে চান তিনি। গুঞ্জন আছে, য়্যুভেন্তাসের কোচ হতে আগ্রহী জিদান।
খেলোয়াড়ি জীবনের মতো কোচ হিসেবেও জিনেদিন জিদানকে নিয়ে আন্তর্জাতিক ও ক্লাব ফুটবলে কাড়াকাড়ি। রিয়াল মাদ্রিদকে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জেতানো এই হাইপ্রোফাইল কোচই দেড় বছরের বেশি সময় নেই কোন দলের দায়িত্বে। আকর্ষণীয় সব প্রস্তাব থাকা সত্ত্বেও একরকম শীতনিদ্রায় জিদান। যা নিয়ে কৌতূহল সব মহলে।
খেলোয়াড়ি জীবনে ছিলেন ক্যারিশম্যাটিক। সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার। ফিফা বিশ্বকাপ, ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ কিংবা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ- সব মর্যাদাপূর্ণ ইভেন্টে শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছেন।
এই মাস্টারমাইন্ডকে ড্রেসিংরুমে পেতে উঠে পড়ে লেগেছিল বড় বড় দলগুলো। টানা ৫ আসর ‘মিশন হেক্সায়’ ব্যর্থ ব্রাজিল। কাতার বিশ্বকাপ শেষে কোচ তিতের পদত্যাগের পর থেকেই জাতীয় দলকে ঢেলে সাজানোর চেষ্টায় সেলেসাওরা। সেজন্যই ফরাসি কিংবদন্তিকে পেতে চেয়েছিল তারা। ফার্নান্দো সান্তোসের জায়গায় জিদানকে নিতে চেয়েছিলো পর্তুগালও। আগ্রহ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতও। কিন্তু পাঁচ দেশের ফেডারেশনকেই ‘না’ বলে দিয়েছেন জিদান।
দারুণ সব অফার কেনো ফিরিয়ে দিয়েছেন, তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা অনেক হয়েছে। অবশেষে জানা গেলো কারণটা। ফ্রান্স ন্যাশনাল টিমের কোচের পদের লড়াইয়ে আপাতত দেশমের কাছে হেরে আবারও ক্লাব ফুটবলে মনোযোগ দিতে চান জিজু। গুঞ্জন অনুযায়ী ফরাসি কিংবদন্তির পছন্দের তালিকায় শীর্ষে য়্যুভেন্তাস।
খেলোয়াড়ি জীবনে রিয়ালের পাশাপাশি য়্যুভেন্তাসের হয়েও মাঠ মাতিয়েছেন জিদান। তাই ইতালিয়ান জায়ান্টদের প্রতি আলাদা ভালোলাগা আছে তার। যদিও এ সম্ভাবনা আপাতত ক্ষীণ। ম্যাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রিকে নিয়ে বেশ খুশিই আছে তুরিনের ওল্ড লেডিরা।