সারা দেশে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৩৫ হাজার ৭৮২ জনে। এ সময়ে করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি। ফলে মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৪২৫ জনে অপরিবর্তিত রয়েছে।
শনিবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৯৮ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৮২ হাজার ৩১২ জন। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৮৯০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আগের নমুনাসহ পরীক্ষা করা হয় ১ হাজার ৮৯২টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১ দশমিক ৯৬ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এর আগে শুক্রবারও (৪ নভেম্বর) করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি। এই সময়ে করোনা শনাক্ত হয় ৮৮ জনের দেহে।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।
পরবর্তী সময়ে করোনার ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হুহু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এরমধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট সর্বোচ্চ ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়।
এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃতের সংখ্যা ২০০-র নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০-র নিচে নেমে আসে। ডেলটার পর করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন আঘাত হানে।
গত ২০ এপ্রিল করোনায় আবারও মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। এরপর টানা ৩০ দিন করোনায় মৃত্যুশূন্য দিন পার করে বাংলাদেশ। সম্প্রতি করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরু হলেও এখন পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে।