দেশের চলমান অর্থনৈতিক সঙ্কট দীর্ঘমেয়াদি হতে পাওে Ñএ আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন দেশের প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ, ব্যাংকার ও বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। এ সঙ্কট স্বল্পমেয়াদী নয়, মধ্যমমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে। সুচিন্তিত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে কর্মপদ্ধতি ঠিক না করলে দেশ দীর্ঘমেয়াদী সঙ্কটে পড়বে এবং মানুষকে চরম বিপদে ফেলবে। সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) বলেছে এজন্য এখনই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। স্বল্পমেয়াদী কর্মসূচী থেকে বেরিয়ে এসে দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে বাংলাদেশ বৈশ্বিক সঙ্কটের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে। বিদ্যুৎখাতের সঙ্কট মোকাবিলায় জ্বালানি তেলের ওপর পুরোপুরি নির্ভরতা কমিয়ে কয়লা ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করতে হবে। গ্যাসের কূপ খননে অভ্যন্তরীণ ও বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে। একই সঙ্গে ডলারের ওপর চাপ কমাতে আমদানি কমিয়ে রফতানি বাড়ানো এবং রেমিট্যান্স আহরণ বৃদ্ধির মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বর্তমানে মূল্যস্ফীতির সরকারি হিসাবে বাস্তব অবস্থার প্রতিফলন নেই। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কাযর্কর পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। ফলে সেই উদ্যোগ ভালোভাবে কাজ করছে না। গতকাল ধানমন্ডিতে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তারা এ আশঙ্কার কথা তুলে ধরেন এবং পরামর্শ দেন।
সিপিডি আয়োজিত ‘সা¤প্রতিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ : কতটা ঝুঁকিপূর্ণ?’ শীর্ষক বিষয়ভিত্তিক আলোচনা এবং সংবাদ সম্মেলন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেমের সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানে বিষয়ভিক্তিক বক্তৃতা করেন বিশেষজ্ঞরা। সামষ্টিক অর্থনীতি পরিস্থিতি নিয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম, ব্যাংকিং খাত নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেউদ্দিন আহমেদ এবং বহিঃখাত নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন সিপিডির ফেলো প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান। এছাড়া ব্যবসার পরিবেশ নিয়ে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী, আর্থসামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বক্তব্য দেন।
এতে স্বাগত বক্তব্য দেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। তিনি বলেন, দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি বা সামষ্টিক অর্থনীতি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। এজন্য বেশ কিছু ক্ষেত্রে জনগণকে ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। বর্তমান সঙ্কট স্বল্পমেয়াদী নয়, মধ্যমমেয়াদী। এভাবে চললে দেশ দীর্ঘমেয়াদী সঙ্কটের দিকে যাবে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ বলেছে, ২০২৩ সালেও অর্থনৈতিক সঙ্কট থাকতে পারে। সেখানে শ্রীলঙ্কার অবস্থা বেশি খারাপ বলা হয়েছে। বাংলাদেশের অবস্থান কিছুটা ভালো হলেও সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন রয়েেেছ। সরকারকে দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়া চলমান অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবিলায় সরকারের পদক্ষেপ পর্যাপ্ত নয় বলেও মনে করে সিপিডি। অনুষ্ঠানে সিপিডি জানায়, সরকার যে উদ্যোগগুলো নিয়েছে সেগুলো ইতিবাচক তবে যথেষ্ট নয়। বণ্টন, রাজস্ব, রেমিট্যান্স, দারিদ্র্য দূরীকরণ নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে যে সঙ্কট দেখা দিয়েছে তা স্বল্পমেয়াদী নয় বরং এ সঙ্কট মধ্যমেয়াদী হবে। অস্বাভাবিক খাদ্য মুদ্রাস্ফীতির প্রসঙ্গ তুলে ধরে সিপিড বলছে, সরকার ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতির কথা বলছে। বাস্তবে মুদ্রাস্ফীতির হার অনেক বেশি। বিশেষ করে খাদ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়েই চলেছে। খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার প্রকাশিত সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতি হারের তুলনায় অনেক বেশি। নিত্যপ্রয়োজনীয় এমন অনেক খাদ্যপণ্য রয়েছে যার দাম বৃদ্ধি ৫০ শতাংশের বেশি। এতে করে সাধারণ মানুষের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি হয়েছে।
আলোচনায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানি তেলের ব্যবহার থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে এসে কয়লা, পারমানবিক এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার জ্বালানি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) প্রফেসর ম তামিম। বর্তমানে দেশে নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদন মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে আছে উল্লেখ করে ম তামিম বলেন, দেশে যেকোনো সময়ে উৎপাদন কমে যেতে পারে। আন্তর্জাতিকভাবে গ্যাস ও তেল আমদানি নিয়ে সঙ্কট তৈরি হতে পারে। গ্যাসের কূপ খননে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এখানে সরকারি ও বিদেশি বিনিয়োগ ব্যবহার হতে পারে। কিন্তু সরকার সেই ঝুঁকি নিচ্ছে না।
সভায় চলমান সঙ্কট মেনে নিয়ে দেশের সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ ড. এ বি মির্জা আজিজুল ইসলাম। সিপিডির আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে জনগণনকে বেশ কিছু ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। তিনি বলেন, দেশের ব্যাংকিং খাতের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ মূলত ব্যাংক খাতের ওপর নির্ভরশীল। তবে আমদানি প্রবৃদ্ধি ভাল। কিন্তু রেমিটেন্সে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি। আড়াই শতাংশ করে প্রণোদনা দেয়ায় দেশের কতটা লাভ হয়েছে, তা বুঝাই যাচ্ছে। কিন্তু রফতানির বাজারে বহুমুখীকরণ হচ্ছে না। তিনি বলেন, আমদানি ব্যয় বাড়লেও আমদানি পণ্য বাড়ছে না। দেশ থেকে রফতানি পণ্য বাড়ছে। কিন্তু সেই অর্থে রফতানি মূল্য বাড়ছে না। আমদানির ক্ষেত্রে ওভার প্রাইসিং ও ওভার ভয়েসিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পাচার হচ্ছে। কিন্তু আমদানির নামে এই অর্থ পাচার রোধে এনবিআর ও সরকারের বড় কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। তিনি বলেন, দেশে দারিদ্র বেড়ে গেছে। কিন্তু সরকারিভাবে ডাটা এখনো অনেক পুরাতন। অনেকেই বলছেন দারিদ্র বেড়ে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ হয়ে গেছে।
বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ডলার কম খরচ করার পরামর্শ দিয়েছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির ফেলো প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ডলারটা কীভাবে কম খরচ করতে হয় সেটাও দেখতে হবে। আমাদের আমদানি প্রতিস্থাপক কার্যক্রম নিতে হবে। আমরা যদি আমদানি কমাতে পারি, এক ডলার যদি সেইফ (সঞ্চয়) করতে পারি, সেটি কিন্তু এক ধরণের আর্ন (অর্জন) করাই। সুতরাং, আমাদের সেদিকে নজর দিতে হবে। তিনি বলেন, গত কয়েক বছর ধরে আমাদের রফতানি প্রতিযোগিতা কমে যাচ্ছে। খুবই অল্প সময়ে টাকার মূল্য ১০ শতাংশ অবমূল্যায়ণ করা হলো। আমরা আগেও টাকার অবমূল্যায়ন করতে বলেছি। এটি যদি প্রতিনিয়ত করা হতো তাহলে আমদানির ওপর এমন চাপ পড়তো না। তিনি বলেন, রফতানির পরিমাণ বাড়ছে, তবে মূল্য বাড়ছে না। এছাড়া আমদানির পরিমাণ বাড়ছে না, কিন্তু আমদানি মূল্য বাড়ছে। আমদানির নামে ওভার প্রাইসিংয়ের ক্ষেত্রে সরকারকে শূন্য সহিষ্ণুতা দেখাতে হবে। তিনি বলেন, আইএমএফ বা অন্যান্য সংস্থা যেসব পরামর্শ দিচ্ছে সেগুলো গ্রহণ করতে হবে। তাদের পরামর্শের ক্ষেত্রে আমাদের জন্য যেগুলো মঙ্গলজনক সেগুলো গ্রহণ করতে হবে। তবে হ্যাঁ, ভর্তুকি কমাতে বললে জনগণের বিষয়টি আগে ভাবতে হবে। এছাড়া রিজার্ভের ওপর যে চাপ, সেদিকে আরও বেশি নজর দিতে হবে।
ব্যাংকিংখাতের সুশাসন প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর ড. সালেউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাণিজ্যের আড়ালে বিভিন্ন ফাঁকফোকরে দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার হয়ে যাচ্ছে। ব্যাংকিংখাতে চ্যালেঞ্জ অনেক উল্লেখ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন লোকের দুর্নীতি আর বাংলাদেশ ব্যাংকের দুর্বলতার কারণে খেলাপীঋণ হুহু করে বাড়ছে। কয়েক বছরের ব্যবধানে ২২ হাজার কোটি টাকা থেকে এক লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। সব রেকর্ড ছাড়িয়ে সম্প্রতি বড় ব্যবসায়ীদের বিশেষ ঋণ সুবিধা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ব্যাংকিংখাতে ভুল সিদ্ধান্তের কারণে রিজার্ভের উপর চাপ বাড়ছে। ঋণের সুদের সীমার মতো ডলারেরও সীমা বেধে দেয়া হয়েছে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে বড় সমস্যা হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার বাজার, ব্যাংক ও রেগুলেটর। স্থানীয় সরকার বলতে কিছু নেই। তাই সামষ্টিকভাবে খুব সহজে সঙ্কট থেকে কেটে উঠা সম্ভব নয়। কারণ ব্যাংকিং খাত জাতীয় জীবনে ভালোভাবে অবস্থান করলেও ঋণ পুনঃতফসিলিকরণ বেড়েই যাচ্ছে। বর্তমানে সুশাসন বড় সমস্যা। বাংলাদেশ ব্যাংককে বাইরে থেকে অর্থাৎ বিএবি, এবিবি ও এফবিসিসিআই থেকে বিভিন্ন ব্যাপারে চাপানো হচ্ছে সিদ্ধান্ত। তাই যেভাবে হোক আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে হবে। ঋণ রি-সিডিউলের ক্ষেত্রে শুধু বড় ঋণীরা সুযোগ পাবে আর ছোটরা পাবে না তা হবে না। মাঝারি ওক্ষুদ্র ঋণীদের শাস্তি দেয়া হবে, তা হবে না। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন ফাঁকফোকরে দেশে থেকে প্রচুর অর্থ পাচার হয়ে যাচ্ছে। তা অবশ্যই বন্ধ কতে হবে। একই সঙ্গে বাইরের অর্থ ফেরাতে অ্যাকশনে যেতে হবে সরকারকে।
আর্থসামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য দিতে গিয়ে পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, অর্থনীতিতে এখন লৌহ ত্রিভুজ সঙ্কট বিরাজ করছে। রাজনৈতিক সদিচ্ছার কারণে এ সঙ্কট আরও জোরালো হচ্ছে। চলমান অর্থনৈতিক সঙ্কট দূর করতে হলে জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজি বাস্তবায়ন ও নির্দিষ্ট সময়ে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছানোর মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতি এবং চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সমস্যা আরও বেড়েছে। এজন্য সরকারকে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তিনি জানান, কোভিডের কারণে নতুন করে দেশের ৩ কোটি মানুষ দরিদ্র হয়েছে। এসব নতুন দারিদ্র্য নিয়ে কেউ ভাবছে না।
ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের প্রথম সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, দেশের ২ থেকে ৩ শতাংশ ব্যবসায়ী পণ্যমূল্য বাড়াতে কারসাজি করে। এফবিসিসিআই অ্যাডভোকেসি করে কোন রেগুলেটর বডি নয়। এ কারণে আমরা অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে নিজেরা বাজার মনিটরিং করি আবার এ ব্যাপারে সরকারকে সহযোগীতা করছি। তিনি বলেন, গত একবছরেরও বেশি সময় ধরে দেশের বেশিরভাগ ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। সয়াবিন ও চাল নিয়ে বেশি কারসাজি করা হয়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমায় দেশেও সব ধরনের ভোজ্যতেলের দাম কমে আসছে। তিনি জানান, চলমান সঙ্কটের কারণে রফতানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অন্যদিকে বাড়ছে আমদানি ব্যয়। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে লোডশেডিং হচ্ছে। কিন্তু উদ্যোক্তাদের কারখানা চালাতে ক্যাপটিভ পাওয়ার চালিয়ে কারখানায় বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে হচ্ছে। সেখানে কিন্তু আরও বেশি ডিজেলের অপচয় হচ্ছে। এ কারণে এসব বিষয়েও নতুন করে ভাবতে হবে।