1. rashidarita21@gmail.com : bastobchitro :
জাতীয় প্রেসক্লাব চত্ত্বরে গায়ে আগুন দিলেন কুষ্টিয়ার কাজী আনিছ | Bastob Chitro24
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫০ অপরাহ্ন

জাতীয় প্রেসক্লাব চত্ত্বরে গায়ে আগুন দিলেন কুষ্টিয়ার কাজী আনিছ

ঢাকা অফিস
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৫ জুলাই, ২০২২

জাতীয় প্রেসক্লাবে কাজী আনিস নামের (৫০) একজন ব্যক্তি নিজ শরীরে আগুন দিয়েছেন। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় তাকে শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। শাহবাগ থানার ওসি মওদুত হাওলাদার বলেন, ঘটনার পরপরই সংবাদিকদের সহায়তায় ওই ব্যক্তিকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছ। তার শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। কেন তিনি নিজ শরীরে আগুন দিলেন তা জানার চেষ্টা চলছে। সিনিয়র সাংবাদিক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হাসান হাফিজ জানান, খবর পেয়ে শাহবাগ থানা থেকে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে থেকে ওই যুবককে মারাত্মক দগ্ধ অবস্থায় শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যায়। দগ্ধ কাজী আনিস কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি উপজেলার পানতি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি তিন কন্যা সন্তানের জনক। স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়েছে বলে জানা গেছে। তিনি পেশায় ঠিকাদারি ব্যবসায়ী। মো. আলী নামে এক ব্যক্তি জানান, আনিস সম্প্রতি হেনোলাক্স কোম্পানির কাছে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা পাওনার দাবি নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন। সোমবার বিকেলে তিনি প্রেস ক্লাবে আবারো আসেন। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের অফিসেও বরেন। কিছুক্ষণ পর বেরিয়ে এসে নিজ শরীরে আগুন দেন। সংবাদ সম্মেলনে কাজী আনিস বলেন, ২০১৬ সালে নুরুল আমিন ও ফাতেমা আমিনের সঙ্গে তার পরিচয় ঘটে। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ব্যবসায়িক পার্টনারশিপের সিদ্ধান্ত হয়। সেই মোতাবেক আনিস ব্যবসায় ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে লভ্যাংশসহ তিন কোটি টাকা আনিসকে ফেরত দেওয়া হবে বলে চুক্তি হয়। পরে কয়েক দফায় লাভের অংশ থেকে ৭৪ লাখ টাকা তারা দেয়। কিন্তু চুক্তি মোতাবেক লাভসহ বাকি টাকা ফেরত দেয়নি। ফলে তিনি নিঃস্ব। এ নিয়ে তিনি আদালতে দুটি মামলাও করেছেন। শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ওই ব্যক্তির মুখম লসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় দগ্ধের চিহ্ন রয়েছে। কাজী আনিসকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া স্বদেশ বিচিত্রার সাংবাদিক বলেন, নিয়ে আসার সময় কিছুক্ষণ কাজী আনিছের সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানিয়েছে, হেনোলাক্স কোম্পানি কাছ থেকে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে তার। ওই কোম্পানি পাওনা টাকা দিচ্ছেন না। এ নিয়ে এর আগে মানববন্ধন করেছেন তিনি, কিন্তু কোন লাভ হয়নি। দগ্ধ কাজী আনিছের বড় ভাই নজরুল ইসলাম বলেন, আনিস কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। পরে তিনি গ্রামীণ ব্যাংকে চাকরি করেন। এক পর্যায়ে চাকরি ছেড়ে দিয়ে ব্যবসা শুরু করে। কুষ্টিয়ায় তার গাড়ি ও পানির ব্যবসা ছিলো। একপর্যায়ে হেনোলাক্স কোম্পনীর সঙ্গে ব্যবসা শুরু করেন। ব্যবসার জন্য বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকাও নেন। আমার কাছ থেকেও টাকা নিয়েছিলেন। কিছুদিন আগে প্রয়োজন হলে আমি টাকা চাইলে আনিস বলে, টাকা ব্যবসায় খাটানো আছে। সেখান থেকে পাওয়ার পর দিবো। এর মধ্যেই সোমবার একটি দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেললেন আনিস। তিনি আরও বলেন, হেনোলাক্স কোম্পানীর কাছে প্রায় দেড় কোটি টাকা পাওনা থাকার কথা জানিয়েছিলেন আনিস।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
প্রযুক্তি সহায়তায়: রিহোস্ট বিডি