বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রেমাল রুপ নিয়ে রোববার ২৬ মে রাত আটটার দিকে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলকায় আঘাতহানে ।
এ সময় দমকা ও ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘূর্ণিঝড় রেমালের বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ৯০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। এর প্রভাবে বিভিন্ন একলা বৃষ্টি এবং জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টি হয়।
রাতে তান্ডব চালানো ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহতা ফুটে উঠে দিনের আলোতে। জলোচ্ছ্বাসাসের ফলে বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিতে প্লাবিত হয়েছে উপকূলীয় জেলাগুলোর নিচু এলকা।
ডুবে গেছে গ্রামের পর গ্রাম। এতে লক্ষ্যধিকেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।ভেসে গেছে মাছের ঘেড়।
ঝড়ে ঘরবাড়ি বিধস্ত হয়ে খোলা আকশে নিচে রাত পার করছে উপকূলীয় এলাকার মানুষজন। এছাড়াও অনেকে আশ্রয় নিয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে। ঝড়ের তান্ডবে রাস্তা ঘাটে গাছ পালা পরে যোগাযোগ বন্ধ।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় ১ কোটি ৫৫ লাখ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কি পরিমাণ ক্ষয় ক্ষতি হয়ছে জানা যায়নি।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারনে ০৬ জেলায় এখন পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ভোলায় ঘড়ের উপর গাছ চাপা পড়ে শিশুসহ ০৩ জনের প্রাণ গেছে । বরিশালে দেওয়াল চাপা পড়ে আরো ০৩ জনের মৃত্যু হয়েছে ।এছাড়াও সাতক্ষিরা,পটুয়াখালী,কুমিল্লা এবং চট্টগ্রামে আরো ০৫ জন মারা গেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তি-১৯ বলা হয়েছে,ঘূর্ণিঝড় রেমাল দুর্বল হয়ে স্থল গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।সেই সঙ্গে মহাবিপদ সংকেত কমিয়ে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।