কুষ্টিয়ায় মহাসড়ক প্রশস্ত ও মজবুতকরণের কাজের কারণে চরম ভোগান্তির মুখে চলাচলকারীরা। এই ভোগান্তি দূর করতে মহাসড়কে ঈদের সময় কাজ বন্ধ রেখে চলাচলউপযোগী রাখার কথা জানিয়েছে সড়ক বিভাগ। কুষ্টিয়া-ইশ্বরদী ও কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক প্রশস্ত ও মজবুতকরণে প্রায় সাড়ে ৫শ কোটি টাকার কাজ চলছে। এর মধ্যে বেশি ভোগান্তি হচ্ছে কুষ্টিয়া-ইশ্বরদী মহাসড়কের ১২ কিলোমিটার অংশে। এক পাশ বন্ধ রেখে অন্যপাশে গর্ত করে মহাসড়ক মজবুত করার কারণে কোনমতে ধীরগতিতে চলতে পারছে যানবাহন। মহাসড়কের রানাখড়িয়া গোরস্থানের কাছে ভেকুসহ বিভিন্ন যন্ত্র ব্যবহার করে একপাশে গভীর গর্ত করে নিচের বেজমেন্ট তৈরি করছে ঠিকাদারের লোকজন। মাটিতে ময়েশ্চার বেশি থাকার কারণে গভীর গর্ত করতে হচ্ছে বলে জানান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এমএম বিল্ডার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের প্রকল্প পরিচালক আনিসুর রহমান। তিনি বলেন, প্রথমে বালু, তারপরে ইট-সুরকী এবং শেষে পাথরের লেয়ার তৈরি করে তারওপর পিচ ঢালায় দেয়া হবে। এভাবে কাজ করায় এবার মহাসড়ক টেকসই হবে। এদিকে এভাবে গর্ত করে কাজ করায় এক প্রান্তে যানবাহন আটকে রেখে অন্যপ্রান্তের যানবাহন ছাড়তে হচ্ছে। এতে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণের সড়ক যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এ ব্যস্ততম এ মহাসড়কে সারাক্ষণই যানজট লেগে থাকছে। এসময় দীর্ঘমেয়াদী ভোগান্তি কমাতে দ্রুত নির্মাণকাজ শেষ করার তাগিদ দিয়েছেন যানবাহন চালকরা। কুষ্টিয়া নাগরিক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মুস্তানজিদ বলেন, এতবড় প্রকল্প- গুরুত্বপূর্ণ এ মহাসড়কে কাজের সময় যানবাহন চলার বিকল্প কোন ব্যবস্থা রাখা নেই। তিনি এই প্রকল্পকে ত্রুটিপূর্ণ হিসেবে আখ্যা দেন। পরামর্শ দেন এই মহাসড়কের পাশে কিছু সড়ক আছে, সেগুলো সংস্কার করে ছোট ও মাঝারি যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করার। এতে চাপ কমবে। সাংবাদিক ড. আমানুর আমান বলেন, কীভাবে জনভোগান্তি কমানো যায় তার ব্যবস্থা করতে হবে। বিশেষ করে ঈদযাত্রায় সুন্দর ব্যবস্থা রাখার আহ্বান জানান তিনি। সড়কের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিরুল ইসলাম বলেন, বেজমেন্টে কয়েকটি স্তর রাখায় এ কাজ বিলম্ব হচ্ছে। আগামী ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত এ কাজের মেয়াদ আছে। তার আগেই কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে। আর ঈদের আগে ভোগান্তি কমাতে নির্মাণ কাজের গর্ত বন্ধ করে যানবাহন চলাচলের জন্য মহাসড়কের পুরোটা চালু রাখার কথা বলেন তিনি। বলেন ২৫ রমযানেই কাজ বন্ধ করে দেয়া হবে।