কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কুড়িয়ে পাওয়া ১৮ হাজার টাকা প্রকৃত মালিকের হাতে তুলে দিলেন এক শিক্ষা কর্মকর্তা। সোমবার সকালে নিজ কার্যালয়ে যাচাই বাছাই শেষে প্রকৃত মালিককে টাকা ফেরত দেওয়া হয়। ওই কর্মকর্তার নাম মো. শরিফুল ইসলাম। তিনি কুমারখালী উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। আর কুড়িয়ে পাওয়া টাকার মালিক মো. মিজানুর রহমান উপজেলার পাথরবাড়ীয়া হিজলাকর দাখিল মাদ্রাসার সুপার। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার দুপুরে উপজেলা প্রাথমিক সহকারী কর্মকর্তার কার্যালের সোফার ওপর একটি টাকার বান্ডিল পড়ে ছিল। ওই কর্মকর্তা বান্ডিলটি হাতে নিয়ে দেখেন ১৮ হাজার টাকা। পরে কুড়িয়ে পাওয়া টাকার প্রকৃত মালিকের সন্ধানে তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। বিজ্ঞপ্তিটি দেখে সন্ধ্যায় ওই কর্মকর্তাকে ফোন দেন হারিয়ে যাওয়া টাকার মালিক ওই মাদ্রাসার সুপার। এরপর টাকা নিতে সোমবার সকালে ওই কর্মকর্তার কার্যালয়ে আসেন মাদ্রাসার সুপার। উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ দেখালে সুপারের হাতে টাকা তুলেন উপজেলা জ্যেষ্ঠ প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান। গত রোববার সকালে বিশেষ কাজে উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসার সুপার গণকে শিক্ষা কার্যালয়ে ডাকা হয়। পাথরবাড়ীয়া হিজলাকর দাখিল মাদ্রাসার সুপার মিজানুর রহমান সবার সাথে ওই কার্যালয়ে এসেছিলেন। এ ব্যাপারে পাথরবাড়ীয়া হিজলাকর দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, রবিবার এ মাসের বেতনের টাকা তুলেছিলাম। একটি বিশেষ কাজে শিক্ষা কার্যালয়ে গিয়েছিলাম। কিছু সময় সেখানে সোফায় বসে ছিলাম। এরপর বিকেলে বাড়ি ফিরে দেখি পকেটে টাকা নেই। অনেক খোঁজাখুজি করেও কোথাও টাকা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। ভিশন খারাপ লাগছিল। পরে ফেসবুকে টাকার সন্ধান পাই। তথ্য প্রমাণ দেখিয়ে আজ হারানো টাকা ফিরে পেয়েছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘ টাকা পেয়ে খুবই আনন্দিত। আজকাল হারানো টাকা ফিরে পাওয়া দুষ্কর ব্যাপার। ওই কর্মকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি।’ উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রকৃত মালিককে টাকা ফিরিয়ে দিতে পেরে আমি আনন্দিত।’ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ শরিফুল সাহেব একজন সৎ, বিনয়ী, দক্ষ ও পরিশ্রমী অফিসার। কুড়িয়ে পাওয়া টাকা মালিককে ফিরিয়ে তিনি সততার পরিচয় দিয়েছেন। আমরা তাঁকে নিয়ে গর্বিত।’