শেখ কামাল ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিকসহ বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন : ডিসি সাইদুল ইসলাম
বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এঁর ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে গতকাল শুক্রবার জাতীয় অনুষ্ঠানের সাথে সঙ্গতি রেখে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন কর্তৃক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক মঞ্চ, কালেক্টরেট চত্বর, কুষ্টিয়ায় শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কুষ্টিয়া কর্তৃক চারাগাছ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এঁর জীবনী নিয়ে স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার খাইরুল আলম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা, বিজ্ঞ পিপি এ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী, বিজ্ঞ জিপি এ্যাড. আসম আখতারুজ্জামান মাসুম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার উপ-পরিচালক ড. হায়াত মাহমুদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার হাজী রফিকুল আলম টুকু, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব কেপিসি ও সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়ার সভাপতি হাজী রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব। সভাপতিত্ব করেন ডিডিএলজি আরিফুজ্জামান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সিরাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শারমিন আখতার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট নাসরিন বানু, কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক আফরোজা আক্তার ডিউ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক সাইদুল ইসলাম বলেন, শেখ কামাল জাতির পিতার সন্তান, একজন রাষ্ট্রনায়কের সন্তান অথচ তারমধ্যে কোন অহংকার ছিলো না। তিনি রিক্সায় চলাফেরা করতেন, কখনও কখনও পায়ে হেঁটেও চলেছেন। তারমধ্যে অর্থ এবং ক্ষমতার কোন মোহ ছিলো না। তিনি একাধারে আবাহনী ক্রীড়া চক্রের প্রতিষ্ঠাতা, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি সেতার বাদক ছিলেন, ছিলেন নাট্য অভিনেতাও। এমন একজন বহুমুখী প্রতিভার ব্যক্তিত্ব বর্তমান সমাজে বিরল। তিনি আরও বলেন, শেখ কামাল ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিকসহ বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন।