1. rashidarita21@gmail.com : bastobchitro :
কুষ্টিয়ার খাজানগরে চালকলের বর্জ্যের দূষিত পানিতে ৭ মাস বন্ধ স্বাস্থ্যকেন্দ্র | Bastob Chitro24
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৫ অপরাহ্ন

কুষ্টিয়ার খাজানগরে চালকলের বর্জ্যের দূষিত পানিতে ৭ মাস বন্ধ স্বাস্থ্যকেন্দ্র

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৯ মে, ২০২২

কুষ্টিয়ার খাজানগরে চালকলের বর্জ্যের পানিতে একটি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চারপাশে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। এ কারণে সাত মাস ধরে বন্ধ রয়েছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি। এতে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রায় ৩০ হাজার মানুষ।

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চালের মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগর। সেখানে দেশ এগ্রো ও ইফাদ এগ্রো নামের দুটি চালকলের বিষাক্ত বর্জ্য ও দূষিত পানিতে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির চারপাশে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পুরো এলাকা বিষাক্ত বর্জ্য ও কচুরিপানায় ময়লার স্তূপে ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। দেখে বোঝার উপায় নেই এটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র। পাশে কুষ্টিয়া-চুয়াডাঙ্গা সড়কের কুবুরহাট এলাকা দিয়ে চলাচলকারী হাজারও মানুষ বিষাক্ত পানির দুর্গন্ধে নাকে রুমাল দিয়ে চলাফেরা করছেন। ওই পানি গায়ে লেগে চর্মরোগসহ নানা অসুখ-বিসুখ দেখা দিচ্ছে। জলাবদ্ধতার কারণে মানুষের যাতায়াত না থাকায় এটি অনেকটাই পরিত্যক্ত ভবনে পরিণত হয়েছে।

jagonews24

স্থানীয়দের দাবি, চালকলমালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় সবাইকে ম্যানেজ করে চলেন। স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির চারপাশে চালকলের বিষাক্ত বর্জ্য ও দূষিত পানিতে সয়লাব থাকলেও সংশ্লিষ্ট কারো মাথাব্যথা নেই।

চালকলের বিষাক্ত বর্জ্য ও দূষিত পানিতে আশপাশের ফসলও নষ্ট হচ্ছে। আশপাশ এলাকায় বসবাসকারী লোকজন চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। একটু বৃষ্টি হলেই ওই পানি উঠে যাচ্ছে সড়কে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কয়েকজন কর্মচারী জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা এখানে চাকরি করি। চালকলমালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় এ ব্যাপারে কথা বলতে গেলে তারা হুমকি-ধমকি দেন। তাই এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করতে পারি না। আমাদের বিষয়টি উপজেলা পযার্য়ের কর্মকর্তাদের জানিয়েছি।’

jagonews24

বটতৈল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, ‘বুধবার সকালে বিষয়টি আমি দেখে এসেছি। চালকলমালিক পক্ষের সঙ্গে কথাও বলেছি। তারা দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার উপ-পরিচালক আতাউর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি তিনি অবগত নন। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

কুষ্টিয়ার পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মিজানুল হক বলেন, ‘আমি স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি পরিদর্শন করেছি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ উপজেলা পযার্য়ের কর্মকর্তাদেরও জানিয়েছি। তবে তারা কেউই ব্যবস্থা নেননি।’

jagonews24

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাধন কুমার বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি আমার নজরে আসেনি। খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমাকে কেউই জানাননি। খোঁজ নিয়ে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
প্রযুক্তি সহায়তায়: রিহোস্ট বিডি