বগুড়ায় চলতি বছর আলুর উৎপাদন কম হওয়ায় বিদেশি ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী আলু রফতানি করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। তবে কৃষি বিভাগের দাবি, লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলেও উৎপাদন ভালো হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষক।
করোনার ধকল কাটিয়ে গত বছর বগুড়া থেকে ২ হাজার ৫৮০ মেট্রিক টন আলু বিদেশে রফতানি করেছেন ব্যবসায়ীরা। মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, সৌদি আরব, দুবাইসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে গেল বছর আলু রফতানি শুরু হয় জানুয়ারির প্রথম থেকেই।
তবে এবার ফেব্রুয়ারির প্রথম ভাগে এসে শুরু হয়েছে রফতানি প্রক্রিয়া। এখন পর্যন্ত ৬০০ মেট্রিক টন আলু বিদেশে পাঠিয়েছে রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো।
ব্যবসায়ীদের দাবি, সরবরাহ কম থাকায় বিদেশি ক্রেতাদের চাহিদা থাকা সত্ত্বেও জোগান দিতে পারছেন না তারা। ভরা মৌসুমেও আলুর ঘাটতি থাকায় ক্ষতির আশঙ্কা তাদের।
ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রচুর অর্ডার থাকলেও উৎপাদন কম হওয়ায় আলু সরবরাহ করা যাচ্ছে না।
তবে ব্যবসায়ীদের শঙ্কা থাকলেও আলুর বর্তমান দামে সন্তুষ্ট কৃষক। গেল বছর মাঠপর্যায়ে প্রতি কেজি আলুর জন্য কৃষক পেয়েছে ৭ থেকে ৯ টাকা। তবে চলতি বছর দাম মিলছে ১২ থেকে ১৪ টাকা।
এদিকে মাসখানেক পর হিমাগারে সংরক্ষণ শুরু হলে দাম আরও বাড়তে পারে বলছেন পাইকারি ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা।
আড়তদাররা জানান, হিমাগারে সংরক্ষণ শুরু হলে আলুর দাম বাড়বে। এ ছাড়া চাহিদা বাড়লে দাম বাড়বে বলে জানান তারা।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে জেলায় ৫৫ হাজার ৬৯০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা পূরণ না হলেও অনুকূল আবহাওয়ায় ভালো ফলনে লাভবান হবেন কৃষক। আর দেশের বাজারে দাম চড়া থাকাকেই রফতানি কমার কারণ মনে করছেন কৃষিবিদরা।
এ বিষয়ে বগুড়ার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. মতলুবর রহমান বলেন, আলুর বাজারদর যথেষ্ট ভালো। এতে কৃষকরা লাভবান হবেন।
কৃষি বিভাগের তথ্যানুযায়ী এ বছর জেলায় ৫৩ হাজার ২১৫ হেক্টর জমিতে অন্তত ১০ লাখ মেট্রিক টন আলু উৎপাদিত হবে।