1. rashidarita21@gmail.com : bastobchitro :
ইবি রেজিস্ট্রারের নগ্ন ভিডিও ফাঁস | Bastob Chitro24
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৫ অপরাহ্ন

ইবি রেজিস্ট্রারের নগ্ন ভিডিও ফাঁস

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৩ জুন, ২০২৪

ঢাকা অফিস:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের চেহারাসদৃশ একটি অশ্লীল ভিডিও রেকর্ড ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। শনিবার ‘ইবির ত্রাস’ নামক একটি ফেসবুক আইডি থেকে ১ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডের ভিডিও পোস্ট করা হয়। ভিডিওতে দেখা যায় রেজিস্ট্রারের চেহারাসদৃশ ব্যক্তি একজন নারীর সঙ্গে নগ্ন অবস্থায় আপত্তিকর অঙ্গভঙ্গি করছেন। তবে ওই নারীকে শনাক্ত করা যায়নি। ভিডিওটি এআই এডিট বলে দাবি করেছেন রেজিস্ট্রার। ভিডিওটি প্রকাশের পর ক্যাম্পাস জুড়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিতর্কের মুখে পড়েছেন রেজিস্ট্রার। আইটি বিশেষজ্ঞ ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সহায়তায় ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করার দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।

এদিকে রেজিস্ট্রারের বিভিন্ন সময়ে লেনদেন সংক্রান্ত অডিও ও সর্বশেষ নগ্ন ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন ও তাকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদানের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরাম। রোববার সংগঠনটির অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

সভা শেষে সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই দাবি জানানো হয়। চিঠিতে তারা বলেন, রেজিস্ট্রার পদটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ। পদাধিকারবলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সভা ও দাপ্তরিক কাজে উপস্থিত থাকতে হয়। এমন একটি অশ্লীল ভিডিও প্রকাশিত হওয়ার ফলে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সভা ও দাপ্তরিক কাজে তার উপস্থিতি একটি বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এমতাবস্থায় প্রকাশিত ঘটনার সত্যাসত্য উদ্‌?ঘাটিত না হওয়া পর্যন্ত রেজিস্ট্রার পদ থেকে তাকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান ও সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানানোর সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ ছাড়া রেজিস্ট্রারের এক ঠিকাদারের সঙ্গে অনৈতিক আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে একটি অডিও প্রকাশিত হওয়ার ফলে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। কমিটির তদন্ত রিপোর্ট এখনো প্রকাশ হয়নি। সেই রিপোর্ট দ্রুত প্রকাশ করার দাবি জানান তারা।
ভিডিওর বিষয়ে রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান মানবজমিনকে বলেন, ভিডিওটি এআই দিয়ে এডিট করা। আমাকে হেনস্তা করার জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে একটি পক্ষ এসব করেছে। ভিসি অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম মানবজমিনকে বলেন, বিষয়টি শুনেছি। বিভিন্ন ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে প্রশাসনের সকলের বিরুদ্ধে বিভিন্নরকম উল্টাপাল্টা পোস্ট করা হয়। এসব নেগেটিভ কাজকর্ম যারা করে তাদের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। এসব উড়ো জিনিসের উপর ভিত্তি করে কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যায় না। কারও কাছে যদি শক্তিশালী প্রমাণ থাকে তাহলে সরাসরি সেটা দিলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
প্রযুক্তি সহায়তায়: রিহোস্ট বিডি