ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার চতুর্থ টেস্টে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে রেকর্ড সংখ্যক দর্শকের উপস্থিতি হয়েছে। প্রথম দিনে এক লাখ দর্শক ছিল আহমেদাবাদের ম্যাচ ভেন্যুতে। টেস্ট ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ।
বেশিদিন আগের কথা নয়, পাঁচ দিনের টেস্ট ক্রিকেটকে সময় বাঁচানোর অজুহাতে চার দিন করার আলোচনাও শুরু হয়েছিল। রব উঠেছিল, টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যত ভালো না। এক সময় বিলুপ্ত হয়ে যাবে এই ফরম্যাট। কিন্তু, এমন দর্শক দেখে কে বলবে সে কথা! ভারত-অস্ট্রেলিয়া বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির চতুর্থ টেস্টের প্রথম দিন আহমেদাবাদের গ্যালারি ছিল কানায় কানায় পূর্ণ।
মাঠের পারফরম্যান্সে নয়, দর্শক উপস্থিতিতে রেকর্ড গড়েছে বিশাল এই ভেন্যু। প্রথম দিনে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম গমগম করেছে এক লাখ দর্শকের সমাগমে। প্রায় দেড়শ’ বছরের ইতিহাসে এতো দর্শক আর কখনও দেখেনি টেস্ট ক্রিকেট।
গ্যালারিতে দর্শক উপস্থিতির সংখ্যা ছয় ডিজিটের খুব কাছাকাছি অবশ্য আগেও গিয়েছিল আন্তর্জাতিক টেস্টে। ২০১৩ সালে অ্যাশেজে বক্সিং ডে টেস্ট গড়েছিল রেকর্ড। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড ম্যাচ দেখতে গিয়েছিল ৯১ হাজারের বেশি মানুষ।
এবার এমসিজিকে পেছনে ফেললো নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম। মূলত ভারত-অস্ট্রেলিয়া কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫ বছর উদযাপনে বাড়তি আয়োজন ছিল স্টেডিয়ামে। রোহিত-স্মিথদের হাইভোল্টেজ লড়াই উপভোগে স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ। দারুণ এক উৎসব মুখর পরিবেশ তৈরি হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়ামটিতে।
এর আগেও অবশ্য এক লাখ দর্শকের মাইলফলক ছুঁয়েছে আহমেদাবাদ স্টেডিয়াম। ২০২২ আইপিএল ফাইনালে গুজরাট টাইটান্স ও রাজস্থান রয়্যালসের ফাইটে পরিপূর্ণ ছিল গ্যালারি। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে যা ছিল সর্বোচ্চ। আর এবার টেস্টেও একই রেকর্ড গড়ল এই বিশাল স্টেডিয়াম। টি-টোয়েন্টির যুগে টেস্টেও এতো দর্শক আসলেই লঙ্গার ভার্সনের জন্য দারুণ এক খবর।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৫৫ রানে দিন শেষ করেছে অস্ট্রেলিয়া। ১০৪ রানে অপরাজিত আছেন উসমান খাজা। ৪৯ রানে অপরাজিত আছেন ক্যামেরন গ্রিন। চার ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে আছে ভারত।