ব্রাজিলের বিপক্ষে অতিরিক্ত সময়ে ১১৭ মিনিটের মাথায় ক্রোয়েশিয়া সমতায় ফিরেছিল ব্রুনো পেটকোভিচের গোলে। পরে টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে ব্রাজিলকে হারিয়েছিলেন তারা। এবার সেমিফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ লাতিন আমেরিকার জায়ান্ট আর্জেন্টিনা।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নামার আগে লিওনেল মেসিদের বিপক্ষে কী কৌশল গতবারের রানার্সআপদের?
মেসি কী করতে পারেন, সেটা সবারই জানা। তার পায়ে বল গেলেই ছুটে আসেন তিন থেকে চারজন। কোনোভাবেই যেন মেসি সেই ফাঁদ থেকে বের হতে না পারেন সেই চেষ্টা করতে থাকে প্রতিপক্ষ। মরুর বুকে স্বপ্নের ফর্মে থাকা মেসির বিষয়টি কি তাহলে ক্রোয়েশিয়ার অজানা? মেসিকে আটকানোর কোনো পরিকল্পনাই নাকি এখনও করেনি ইউরোপের জায়ান্টরা।
ক্রোয়েশিয়ার ফুটবলার পেটকোভিচ বলেছেন, ‘মেসিকে একা আটকালে হবে না। সাধারণত আমরা কোনো একজনকে আটকানোর চেষ্টা করি না। গোটা দলকে আটকানোর পরিকল্পনা থাকে।’
তিনি বলেন, ‘মেসির জন্য আলাদা করে কাউকে রাখব না। কারণ আর্জেন্টিনা দলে মেসি ছাড়াও কয়েকজন ভালো খেলোয়াড় রয়েছে। তাই গোটা দলকে আটকাতে হবে। গোটা দল আটকে গেলে একা মেসি কিছু করতে পারবে না। কিন্তু শুধু মেসিকে আটকাতে গেলে ফল বিপরীত হতে পারে।’
মেসি যেমন মাঝমাঠ থেকে খেলা তৈরি করেন, তেমনই ক্রোয়েশিয়ার মাঝমাঠ তাদের প্রধান শক্তি বলে জানিয়েছেন পেটকোভিচ। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘লুকা মদ্রিচ, মাতেও কোভাচিচ ও মার্সেলো ব্রোজোভিচ ক্রোয়েশিয়ার ইতিহাসের সেরা তিন মিডমিল্ডার। তাদের পাস দেয়ার পরে আমাদের আর কিছু ভাবতে হয় না।’
আর্জেন্টিনার বিপক্ষে নামার আগে কার্ড সমস্যায় নেই ক্রোয়েশিয়ার কোনো ফুটবলার। পুরো দলকেই পাবেন কোচ জলাটকো দালিচ। ক্রোয়াট কোচ মনে করেন, কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের ম্যাচের পারফরম্যান্স সেমিতে পুনরাবৃত্তি করতে পারলে আর্জেন্টিনার সঙ্গে ভয়ের কিছুই নেই।