সারাদিন রোজা রেখে ইফতারের আগে হইচই পড়ে রোজাদারদের মাঝে। ইফতারের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সবাই। রাস্তা ধরে কত রোজাদার মানুষ আসছে যাচ্ছে। কিন্তু অসহায় রোজাদারদের খবর কে বা রাখছে। ইফতারের আগে প্রায় সকলেই যখন নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত, ঠিক সে মূহুর্তে প্রতিদিন নিজে রোজা মুখে থেকে অসহায় মানুষের দ্বারপ্রান্তে ইফতার পৌঁছে দিচ্ছেন এক শিশু।
যা বর্তমান সময়ের বিবেকবান মানুষের বিবেককে নাড়া দিবে। অসহায় রোজাদার মানুষগুলো খুশিমনে সেই নাবালকের হাত থেকে ইফতার সংগ্রহ করছেন প্রতিদিন। আমরা জানি যে, বহুবিধ কল্যাণ ও ফজিলতের মাস মাহে রমজান। যে যেভাবে পারেন, সওয়াব ও কল্যাণের কাজে নিজেকে জড়িয়ে রাখেন এ মাসে। আর সামাজিক দায়বদ্ধতার কথা রমজান শুরুর আগেই হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবাদের বলে দিয়েছেন। তিনি বলেন, (রমজান) মাস হলো- সহমর্মিতার মাস।
-শোয়াবুল ঈমান: ৩৩৩৬। রমজানে অন্যতম আমল হলো- অপরকে ইফতার করানো। আর ইফতার যদি করানো হয় কোনো অসহায়কে, তখন প্রতিদান আরও বহুগুণে বেড়ে যায়। মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিয়ে যেনো তৃপ্তির ঢেকুর নেওয়া যেনো তালুকদার পরিবারের স্বভাব। অসহায় ও গরিবদের মাঝে প্রত্যেহ ইফতার পৌঁছি দিচ্ছে তারা। এভাবে অপরের জন্য বিলিয়ে দেওয়া, নিঃস্বার্থ পরোপকারের দীক্ষা দানে একজন আদর্শ মায়ের বিকল্প নেই। হাতে কলমে সন্তানদের দীক্ষা দেওয়ার বিকল্প কোনো কিছুতে নেই। আদর্শ পিতামাতার পারিবারিক সুশিক্ষা নিয়ে এভাবেই অসহায়দের মাঝে প্রতিদিন ইফতার পৌঁছে দিচ্ছে খুশি মনে রোজা মুখে নাবালক শিশুটি। বলছিলাম এভিআর বাংলাদেশের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সমাজসেবক হাসিব আলম তালুকদারের সন্তান পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র জাবিয়ার আলমের কথা। যার দাদু বাঙালী জাতীর গর্বিত সন্তান বীর উত্তম শামসুল আলম তালুকদার।
এ যেনো পারিবারিক সুত্রেই রক্তে মেশা মানবতা। দেশ ও বাঙালী জাতির জন্য এগিয়ে এসেছেন বীর উত্তম শামসুল আলম। যে কোন সময় মানবতার টানে মাটি ও মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন বীর উত্তমের সুযোগ্যপুত্র হাসিব তালুকদার। আর ভবিষ্যতে অসহায় মানুষের পাশে ও দেশের কল্যানে কাজ করতে হবে তাই সে পথেই হাঁটছেন হাসিব তালুকদারের সুযোগ্যপুত্র পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র জাবিয়ার আলম। তার বড় ভাই অভির আলম বর্তমানে নিউইয়র্কে এবং বড় বোন শেহেরীন রহমান রয়েছে কানাডায়। মানবসেবায় নিজেদেরকে নিয়োজিত করতে পরিশ্রম করে যাচ্ছে তারা। পরিবারের সকলেই যখন মানুষের জন্যই কাজ করছেন। তখন থেমে নেই ঘরের মানুষজন। জাবিয়ার আলমের মা বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ হাসিব তালুকদারের সহধর্মিণী শাহরিমা বারী সিনথী নিজেও ঘরের দায়িত্ব পালন শেষে, অসহায় মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন নিরবে।
প্রচারবিমুখ মানুষটি গড়ে তুলেছেন রিজিক ফাউন্ডেশন নামে মানবিক প্রতিষ্ঠান, যার মাধ্যমে অসহায়দের নিয়ে বছর ব্যাপী কার্যক্রম করা হয়। অবহেলিত জনগোষ্ঠীর জন্য এই পরিবারের নিরন্তর প্রচেষ্টা আজীবন মনে রাখবে উপকার ভুগী মানুষেরা। অন্যের জীবনে একটু অবদান রাখার আনন্দ টায় আলাদা যা বারংবার প্রমান করেছে এই পরিবারের মানুষগুলো। নিজ জেলা পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মানুষের কল্যানে রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা ছড়িয়ে দিতে, হাসিব তালুকদারের মত মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষকে একজন সংসদ সদস্য হিসেবে দেখতে চাওয়া স্থানীয় জনসাধারণের দাবি যেনো অত্যন্ত মেধার পরিচয় দিয়েছে। স্থানীয়রা তাদের ভবিষ্যতের মানুষ চিনতে ভুল করেনি।
যিনি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের জন্য এগিয়ে আসেন, তিনি নিজ উপজেলা বাউফলকে মনেপ্রাণে আগলে রাখবেন বুক-পিঠ দিয়ে এটায় তো প্রত্যাশা সকলের। এই পরিবারের হাত ধরে এগিয়ে যাক অসহায় মানুষ, মুক্তিপাক অসহায়ত্বের দারিদ্র্যতা।