দিনাজপুরে সরকারি সহায়তা সরিষার ব্যাপক আবাদ হয়েছে। সরিষার ফলন ভালো হওয়ায় খুশি কৃষকরা। চলতি বছর ৬ হাজার ৬৪০ হেক্টর বেশি জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। এভাবে সরিষার চাষ হলে ভোজ্যতেলের আমদানি নির্ভরতা কমে আসবে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
স্থানীয় কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আমদানি নির্ভর সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিকল্প হিসেবে এ অঞ্চলে সরিষার তেলের ব্যবহার বেড়েছে। সয়াবিন তেলের বিকল্প হিসেবে অনেকেই সরিষার তেল কিনছেন। চলতি মৌসুমে দিনাজপুরে গত বছরের চেয়ে সরিষার আবাদ ৬ হাজার ৬৪০ হেক্টর বেশি হয়েছে। প্রতি মণ (৪০ কেজি) সরিষা থেকে তেল পাওয়া যায় ১৬ লিটার। এক মেট্রিক টন সরিষা থেকে তেল উৎপাদন হয় ৪০০ লিটার। সে হিসাব অনুযায়ী ২৯ হাজার ৪৯২ মেট্রিক টন সরিষায় তেল উৎপাদন হবে ১ কোটি ১৭ লাখ ৯৬ হাজার ৮০০ লিটার। সরিষার এ ফলনে কৃষকের চোখেমুখে আনন্দের শোভা দেখা যাচ্ছে।
এদিকে সরিষার তেল মিলগুলো আবার সচল হয়েছে। বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় সরিষার তেল মিলগুলো সরিষা ভেঙে ভোক্তাদের কাছে তেল বিক্রি করছে। বড়বন্দর উদয়ন তেল মিল মালিক সমর চক্রবর্তী জানান, দিনে দিনে সরিষার তেল ব্যবহারকারীদের সংখ্যা বাড়ছে। গত কয়েক বছরের তুলনায় ক্রেতার সংখ্যা যেমন বেড়েছে, সরিষার আবাদ হয়েছে অনেক বেশী। আগে প্রতি কেজি তেল বিক্রি হতো ২২০ টাকায় এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা।