মূল উপাদান ছাড়াই শুধুমাত্র ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার করে নিজস্ব ব্র্যান্ডের নামে জুস, চকলেট, সাবান ও সরিষার তেলসহ কয়েক ধরনের নকল পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছিল রাজধানীর বড় বেরাইদের কুয়াশা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। অভিযান চালিয়ে অবৈধ এ কারখানাটি সিলগালা করেছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)।
ম্যাঙ্গো থেকে অরেঞ্জ ড্রিংক; টয়লেট ক্লিনার থেকে শিশুখাদ্য, আইসক্রিম, এমনকি মশার কয়েল, গ্লাস ক্লিনার, সরিষা ও সয়াবিন তেলসহ অন্তত ১০টি পণ্য তৈরি করে আসছে কুয়াশা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
তবে এসব পণ্য উৎপাদনে ব্যবহার হয়নি মূল উপাদান। কোন ড্রিংকসে নেই আম কিংবা লিচুর ছিটেফোঁটা। তীব্র গরমে জমে গেছে সরিষার তেলও। অবাক করার মতো বিষয় হলেও এটিই বাস্তবতা। মূলত রাসায়নিক ব্যবহার করে তৈরি করা হতো এসব পণ্য।
কারখানায় কর্মরত শ্রমিকরা জানান, এসব ড্রিংসে হারপিকসহ নানা ক্ষতিকর ক্যামিকেল ব্যবহার করা হয়।
আর কুয়াশা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী মিলন মিয়া বলেন, ‘পণ্য উৎপাদনের লাইসেন্স প্রসেসিংয়ে আছে। মূলত শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দেয়ার জন্যই উৎপাদন শুরু করা হয়েছে।’
এদিকে কারখানায় অভিযানে বিএসটিআইকে পণ্য উৎপাদনের কোন লাইসেন্স কিংবা বিএসটিআইয়ের অনুমতিপত্র কিছুই দেখাতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার করে পণ্য উৎপাদনের বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি মালিকপক্ষ।
এতে আর্থিক জরিমানা ও কারখানাটি সিলগালা করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএসটিআই কর্তৃপক্ষ।
বিএসটিআই’র উপপরিচালক রিয়াজুল হক জানান, ৮ টি পণ্যের জন্য ৮ লাখ টাকা ও মোড়কজাতকরণ সনদ না থাকায় ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া অর্থ অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
এসময় কারখানার মালামাল বের করে তা ধ্বংস করা হয়।
এ জাতীয় আরো খবর..