আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পদার্পনের প্রায় আড়াই দশক পেরিয়েছে বাংলাদেশের। দীর্ঘ এ সময়ে টেস্ট খেলুড়ে প্রায় সব দেশকেই দ্বিপাক্ষিক সিরিজে হারিয়েছিল টাইগাররা। বাকি ছিল শুধু ইংল্যান্ড। এবার সেই ইংলিশ দুর্গও ভেদ করতে সক্ষম হলো সাকিব আল হসানের দল। ঘরের মাঠে টানা দুই জয়ে ইংলিশদের যেকোনো সিরিজে হারানোর গৌরব অর্জন করল টাইগাররা।
মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে রোববার (১২ মার্চ) ইংল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিজেদের করে নিল সাকিব আল হসানের দল।
টস জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। টাইগার স্পিনারদের ঘূর্ণিতে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১১৭ রানেই আটকে যায় ইংলিশরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৭ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সাকিব আল হাসানের দল। ৪৭ বলে ৪৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
টস জিতে শুরুতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। শুরুতেই টাইগারদের চমকে দিয়ে ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন আনে ইংলিশরা। প্রায় পাঁচ বছর পর কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ওপেনিংয়ে নামেননি জস বাটলার। তার পরিবর্তে শুরুতে ব্যাটিংয়ে আসেন ডেভিড মালান।
মালান-সল্টের শুরুটা অবশ্য মন্দ হয়নি। দুই ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ইংলিশদের রান আসে ১৬। তৃতীয় ওভারে আসে প্রথম উইকেট। মালানকে হাসান মাহমুদের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান তাসকিন আহমেদ।
উইকেটের চাপ সামলে অবশ্য বেশ ভালোই ব্যাটিং করছিলেন ফিল সল্ট ও মঈন আলী। কিন্তু সপ্তম ওভারে সাকিব এসে ঘুরিয়ে দেন খেলার মোড়। ফিল সল্টকে ফিরিয়ে ব্রেক থ্রু আনেন এই স্পিনার। সেখান থেকে রানের লাগাম টেনে ধরে বাংলাদেশ।
সাকিবের পরের ওভারে হাসান মাহমুদ এসে বোল্ড করেন বাটলারকে। আর তার পরের ওভারে মিরাজ ফেরান মঈন আলীকে। তাতে চার উইকেট হারিয়ে বেশ ভালোই চাপে ইংলিশরা।
চাপের মুখে ধীরে ধীরে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন স্যাম কারান ও বেন ডাকেট। কিন্তু মেহেদী হাসান মিরাজের এক ওভারে আবার পরিবর্তন হয় ম্যাচের গতিপথ। স্যাম কারান ও ক্রিস ওকসকে একই ওভারে ফেরান তিনি। ৯১ রানে ৬ উইকেট হারায় ইংলিশরা।
১০ বলে ৩ রান করে মেহেদীর শিকার হয়ে ফেরেন ক্রিস জর্ডান। শুরু পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি বেন ডাকেট। ২৮ বলে করেছেন ২৮ রান। তাতে ১১৭ রানে থামে ইংলিশদের ইনিংস।