ফিড ও মুরগির বাচ্চার দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ায় রাজশাহীতে মুরগির মাংস ও ডিমের দাম বেড়েছে। খামার মালিকরা বলছেন, বাজারে সরবরাহের ঘাটতি দেখা দেয়ার পাশাপাশি উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
গত দুই সপ্তাহে রাজশাহীতে ৫০ কেজি ফিডের দাম বস্তাপ্রতি ১০০ থেকে দেড়শো টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ১৫০ টাকায়। এছাড়া লেয়ার, ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার দাম ৩০ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়।
খামার মালিকরা বলছেন, উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে মুরগির মাংস ও ডিমের দাম বেড়েছে।
বর্তমানে প্রতি কেজি সোনালী মুরগির দাম ৮০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৩০০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি ১৬০ টাকা থেকে বেড়ে ২২০ টাকা ও লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। এছাড়া খামারে প্রতিটি ডিমের দাম পাইকারিতে ১ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়।
মুরগির খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে এক খামারি বলেন, কোনো মাসে একবার আবার কোনো কোনো মাসে দুই দফায় মুরগির খাবারের দাম বেড়ে যায়। এর জন্য খামারিরা পুরোদমে লোকসান গুনছে।
আরেকজন খামারি বলেন, খামারিরা লাখ লাখ টাকা লোকসানের শিকার হচ্ছে শুধুমাত্র এসব কারণে। বাজারে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।
পোল্ট্রি খাত একটি সিন্ডিকেটের হাতে চলে যাওয়ায় বাজারে হ য ব র ল অবস্থা বলে দাবি করেছেন রাজশাহী পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক।
তিনি বলেন, এক শ্রেণির মানুষ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পোল্ট্রি খাতটিকে কুক্ষিগত করে রেখেছে। কাজেই সংশ্লিষ্ট মহল যদি এ সিন্ডিকেটকে না ভাঙতে পারে তাহলে পোল্ট্রির সাধারণ ব্যবসায়ীরা টিকে থাকতে পারবেন না।
এদিকে ডিম ও মুরগির মাংসের দাম বাড়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ। তারা বলেন, ব্রয়লার মুরগির দাম খুবই কম ছিল। যেটা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে ছিল। এখন সেটি ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। নিত্যপণ্যের বাজার গরিব মানুষের হাতের নাগালের বাইরে চলে গেছে। গরুর মাংস তো খাওয়াই যাবে না আর খাসি তো হাজার টাকা কেজি।
কয়েক বছর আগে জেলায় ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার পোল্ট্রি খামার থাকলেও এখন তা নেমে এসেছে অর্ধেকে।