রোজা শুরুর আগেই বাজারে বেড়েছে ভোগ্যপণ্যের দাম। বিশেষ করে দুদিনের মাথায় বাজারে মুরগির মাংসের দাম বেড়েছে কেজিতে ৪০ থেকে ৬০ টাকা।
শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিন রাজধানীর বাজারগুলো ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
বাজারে মুরগির দাম শুনে অনেকেরই চোখ চড়কগাছ। দোকানদারের সঙ্গে দামাদামিতে সুবিধা করতে না পেরে এক ক্রেতা বলেন, ‘গরু-খাসির দাম অনেক আগেই সাধ্যের বাইরে, এইবার ব্রয়লার মুরগির দাম হইলো ২০০ টাকা। কালকে বাড়ছে গ্যাসের দাম, আজকে বাড়ল মাংসের দাম। এহন চুলা বন্ধ কইরা বইসা থাকন লাগবো।’
এ ছাড়া বাজার ঘুরে দেখা যায়, কয়েক দিনের ব্যবধানে বাজারে ব্রয়লার, সোনালি ও দেশি মুরগির দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহেও ব্রয়লার মুরগি ছিল কেজিপ্রতি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, চলতি সপ্তাহে দাম বেড়ে হয়েছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা।
এদিকে সোনালি মুরগির দাম ক’দিন আগেও কেজিপ্রতি ছিল ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা। তবে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজিতে। এ ছাড়া দেশি মুরগির কেজি ৪৫০ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা।
দুদিনের ব্যবধানে বাজারে কীভাবে মুরগির দাম বেড়ে গেল জানতে চাইলে উত্তর বাড্ডা কাঁচাবাজারের মুরগি ব্যবসায়ী আলামিন সময় সংবাদকে বলেন, ‘মুরগির সাপ্লাই কম, আবার কিনতেও হয় বেশি দামে। এবার রোজার আগেই বাজারের দরদামে রোজার বাতাস লাগছে।’
বাজার করতে আসা মনসুর বলেন, ‘দোকানদারগো জিগাইলেই এক কথা–পাইকারি বাজারে দাম বাড়ছে। এমনে দুই দিনের মাথায় দাম ক্যামনে বাড়ে বুঝি না। যে যেমনে পারে লাভ তোলে। দুই দিন পরপর শুনি অভিযান হয়। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয় না।’
এদিকে মুরগির পাশাপাশি বাজারে বেড়েছে ডিমের দামও। প্রতি ডজনে দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। এলাকার মুদি দোকানগুলোতে ডজনপ্রতি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা়। আর বাজারে ডিমের দাম ডজনপ্রতি ১৩৫ টাকা।
পূর্ব রামপুরা এলাকার মুদি দোকানদার সোলেমান বলেন, ‘আমরা আভাস পাইতেছি সামনে ডিমের দাম আরও বাড়বে। পাইকারি বাজারে সবকিছুর দাম বাড়তি। এক রাতের ব্যবধানে হুট কইরা যেকোনো জিনিসের দাম বাইড়া যায়।’
মুরগির পাশাপাশি বাজারে হরেক রকমের মাছও বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। গত সপ্তাহে তেলাপিয়া কেজিপ্রতি ২০০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। এ ছাড়া ১৬০ টাকার পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়।
এদিকে বড় সাইজের কাতল বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা কেজিতে। আর মাঝারি ও ছোট সাইজের কাতলের দাম কেজিপ্রতি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা। এ ছাড়া রুই কেজিপ্রতি ২৮০ টাকা, শিং আকারভেদে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা ও চিংড়ি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।