1. rashidarita21@gmail.com : bastobchitro :
টেলিকম খাতের সমস্যা সমাধানে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে | Bastob Chitro24
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৩ পূর্বাহ্ন

টেলিকম খাতের সমস্যা সমাধানে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে

ঢাকা অফিস
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৩

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে টেলিকম খাতে বিদ্যমান সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানে সরকারকে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে মোবাইল অপারেটরগুলো।

শনিবার (২১ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানায় তারা।

মোবাইল অপারেটরগুলো জানায়, মুঠোফোনে কথা বলা কিংবা উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিতে টাওয়ারগুলোতে ফাইবার সংযোগ দেয়া জরুরি। অথচ বেসরকারি পর্যায়ে ফাইবার ভাড়ায় বাড়তি খরচের কারণে ফাইবার সংযোগ বাড়ানো যাচ্ছে না। এতে মোবাইল নেটওয়ার্কে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ‘ডিডব্লিউডিএম’ মেশিন বসানো নিয়েও অনিশ্চয়তা কাটছে না।

এ ছাড়া বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) ফাইবার ব্যবহারে নির্দিষ্ট দাম বেঁধে দেয়ার দাবি জানায় ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন)।

আলোচনা সভায় মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (এমটব) সেক্রেটারি জেনারেল ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এস এম ফরহাদ বলেন, বর্তমানে মোবাইল অপারেটরগুলোর সম্মিলিত বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ৩৪ হাজার কোটি টাকা। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে টেলিকম অপারেটরগুলো ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছে। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য ২০৪১ নির্ধারণ করলেও দেশের ৫৪ শতাংশ মানুষ এখনও নেটওয়ার্কের বাইরে রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দেশে ১৮ কোটির ওপর সক্রিয় সিম রয়েছে, যা মোট জনসংখ্যার চাইতেও বেশি। ফলে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে টেলিযোগাযোগ সেবায় ইকোসিস্টেম বাস্তবায়নসহ সবার জন্য টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করা না গেলে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা সম্ভব হবে না।

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন উল্লেখ করে টেলিযোগাযোগ বিশেষজ্ঞ টিআইএম নুরুল কবির বলেন, কেবল রেগুলেশন আর লাইসেন্স প্রদান করলেই হবে না। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য ২০৪১ হলেও সময় খুব বেশি নেই। সরকার এবং রেগুলেটরিকে দ্রুত সব পক্ষের সঙ্গে বসে সমস্যা সমাধান করতে হবে।

রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড করপোরেট অফিসার ব্যারিস্টার শাহেদ আলম বলেন, ‘আমরা সরকারের এবং কমিশনের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি। পাশাপাশি প্রতিনিয়তই বিনিয়োগ করে যাচ্ছি। কিন্তু মাঝখানে বেশকিছু প্রতিবন্ধকতা থাকায় গ্রাহকরা মানসম্পন্ন  সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’

বাংলালিংক লিমিটেডের চিফ রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড করপোরেট অফিসার তাইমুর আলম বলেন, ‘আমরা মানসম্পন্ন সেবা দেয়ার জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। উন্নত বিশ্বের সেবার সঙ্গে তুলনা দেয়া হলেও উন্নত দেশের রেগুলেশন অনুযায়ী আমাদের কাজ করতে দেয়া হয় না। এর জন্য ইকোসিস্টেম বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত জরুরি।’

এ ছাড়া ফাইবার অ্যাট হোম-এর চিফ রেগুলেটরি অ্যান্ড গভর্নমেন্ট অ্যাফেয়ার্স আব্বাস ফারুক বলেন, অনেক দেশেই ফাইবার এনটিটিএন নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে সরকার প্রণোদনা দিয়ে থাকে। তবে বাংলাদেশে এ ধরনের প্রণোদনা দেয়া হয় না। ২০০৯ সালে ফাইবার গাইডলাইন চালু হলেও এখন পর্যন্ত এর দাম নির্ধারণ করা হয়নি।

দ্রুত সেবার মান উন্নয়নের তাগিদ দিয়ে কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, এ অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয় এবং নিয়ন্ত্রণ কমিশনের উপস্থিত থাকা অত্যন্ত জরুরি। আলোচনায় যে সমস্যা এবং সমাধানের বিষয়গুলো উঠে এসেছে, এটি সমাধানের জন্য তাদেরই কাজ করতে হবে।

এদিকে সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, মোবাইল অপারেটর ছাড়াও ১২০টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে টেলিকম খাতে। তাদের সেবাদানের এবং কোয়ালিটি সার্ভিস নিশ্চিত করতে বাধ্য না করা গেলে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেও যোগাযোগ সেবার মান উন্নয়ন করা সম্ভব হবে না।

অনুষ্ঠানে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু বক্কর সিদ্দিক, কো-অর্ডিনেটর প্রকৌশলী আবু সালেহ, কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট রাশেদা হাসানসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নাগরিক উপস্থিত ছিলেন। এতে মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন সাংবাদিক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
প্রযুক্তি সহায়তায়: রিহোস্ট বিডি