1. rashidarita21@gmail.com : bastobchitro :
যেভাবে কাটবেন মেট্রোরেলের টিকিট | Bastob Chitro24
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২২ পূর্বাহ্ন

যেভাবে কাটবেন মেট্রোরেলের টিকিট

ঢাকা অফিস
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২

রাত পোহালেই উদ্বোধন হবে রাজধানীবাসীর অতি আকাঙ্ক্ষিত মেট্রোরেল। মেট্রোরেল নিয়ে সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে রয়েছে নানা প্রশ্ন। বিশেষ করে অনেকেই জানেন না, কীভাবে কাটতে হবে মেট্রোরেলের টিকিট।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্র জানিয়েছে, আগামী মার্চ থেকে উত্তরা- আগারগাঁও অংশে মেট্রোরেল পুরোদমে চলবে। সেদিন থেকে সব স্টেশনে থেমে যাত্রী তোলা হবে। এর আগপর্যন্ত উত্তরা-আগারগাঁও রুটে মাঝখানের কোনো স্টেশনে থামবে না মেট্রোরেল।

বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় উদ্বোধনের পর শুরুতে সকাল ৮ থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অর্থাৎ দিনে ৪ ঘণ্টা মেট্রোরেল চলবে। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত পৌনে ১২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সময় লাগবে মাত্র ১০ মিনিট ১০ সেকেন্ড।

মেট্রোরেলে যাতায়াদের জন্য দুই ধরনের টিকিট কেনা যাবে। একটি দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবহারের জন্য এমআরটি পাস, অন্যটি দিয়ে একবারই চড়া যাবে।

এমআরটি পাস

শুরুতে মেট্রোরেল স্টেশনের কাউন্টার থেকে নির্দিষ্ট জামানত দিয়ে কিনতে হবে এমআরটি পাস। এটি সংগ্রহের পর নিয়মিত যাতায়াতের জন্য কাউন্টারের পাশাপাশি ‘টিকিট মেশিন’, মোবাইল ও ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমেও টপ-আপ করা যাবে।

ডিএমটিসিএল বলছে, এমআরটি পাস থেকে দূরত্ব অনুসারে নির্ধারিত ভাড়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে কেটে নেয়া হবে। যাত্রীরা যেকোনো সময় এমআরটি পাস ফেরত দিয়ে জামানতের অর্থ ও অব্যবহৃত টাকা ফেরত নিতে পারবেন।

এ পাস যদি হারিয়ে যায় বা নষ্ট হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে ‘রেজিস্টার্ড কার্ডের বাহক’ নতুন এমআরটি পাসও সংগ্রহ করতে পারবেন। এ সময় অব্যবহৃত অর্থ স্বয়ংক্রিয়ভাবে নতুন এমআরটি পাসে স্থানান্তরিত হবে। তা ছাড়া টিকিট অফিস মেশিন (টিওএম) অপারেটরকে পাস নষ্ট বা হারানোর বিষয়ে জানালে পাসটির অবৈধ ব্যবহার বন্ধ করা যাবে।

একবারের যাত্রার জন্য স্টেশনে থাকা কাউন্টার এবং পাশের স্বয়ংক্রিয় ‘টিকিট মেশিন’ থেকে টিকিট কেনা যাবে। তবে যাত্রাশেষে নির্ধারিত মেশিনে টিকিট কার্ড ফেরত দিলেই যাত্রীরা স্টেশন থেকে বের হতে পারবেন।

স্বয়ংক্রিয় মেশিন থেকে যেভাবে টিকিট কাটবেন

একবারের যাত্রার ক্ষেত্রে স্টেশনের দোতলায় থাকা মেশিনে কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করে যাত্রীরা নিজেই টিকিট কাটতে পারবেন। এ মেশিনের টাচ স্ক্রিন প্যানেল স্মার্টফোনের মতোই ব্যবহার করা যাবে।

শুরুতেই ভাষা নির্বাচন করতে হবে। তারপর মেশিনের বাঁপাশের ওপরের দিকে থাকা ’একক যাত্রা টিকিট‘ অপশনে ক্লিক করতে হবে। তখন যাত্রী মেট্রোরেলের যে স্টেশনে অবস্থান করছেন, সেটি সবুজ রং-এ স্ক্রিনে দেখাবে। এর পর যাত্রীকে গন্তব্যের স্টেশনের নাম নির্বাচন করতে হবে। তখন স্ক্রিনের ডান পাশে ভাড়ার পরিমাণ ভেসে উঠবে।

এরপর যাত্রী স্ক্রিনের নিচের দিকের অপশন থেকে টিকিটের সংখ্যা নির্বাচন করতে পারবেন। একজন যাত্রী একবারে সর্বোচ্চ পাঁচটি টিকিট কিনতে পারবেন। টিকিটসংখ্যা নির্ধারণের পর ‘ওকে’ বোতামে ক্লিক করতে হবে।

তারপর স্ক্রিনে মেশিনের নির্দিষ্ট জায়গায় টাকা প্রবেশ করানোর নির্দেশনা আসবে। টাকা প্রবেশ করানোর পর কত টাকা দেয়া হয়েছে সেই তথ্য স্ক্রিনে উঠে আসবে।

যাত্রী যদি নির্দিষ্ট পরিমাণ ভাড়ার টাকার প্রবেশ করে তাহলে স্ক্রিনের নিচের বাঁদিকের নির্দিষ্ট জায়গা থেকে একক যাত্রার টিকিট বেরিয়ে আসবে। আর যদি যাত্রী ভাড়ার বেশি টাকা প্রবেশ করিয়ে থাকেন তাহলে সে বেশি টাকা নির্দিষ্ট জায়গা দিয়ে বেরিয়ে আসবে।

টিকিট কাটার সময় স্ক্রিনে দেখানো হবে যাত্রী নির্দিষ্ট পরিমাণ ভাড়ার জন্য কত টাকা পর্যন্ত ব্যাংক নোট মেশিনে প্রবেশ করাতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে কম ভাড়ার জন্য একেবারে বড় নোট প্রবেশ করানো যাবে না।

যদি যাত্রীর কাছে ছোট নোট না থাকে বা বড় নোট থাকার কারণে টিকিট না কেনা যায়, সে ক্ষেত্রে টিকিট কাউন্টারে যেতে হবে।

টিকিট বিক্রয় মেশিন বাংলাদেশে চালু সব ব্যাংক নোটই নেবে। তবে বেশি পুরোনো ও ছেঁড়া নোট মেশিন নেবে না।

মেট্রোরেলের প্রতিটি স্টেশনের দুই পাশে দুটি কাউন্টার এবং ৪ থেকে ৬টি স্বয়ংক্রিয় ‘টিকিট বিক্রয় মেশিন’ রয়েছে।

ভাড়া

এর আগে গত গত ৮ সেপ্টেম্বর মেট্রোরেলের ভাড়ার তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেটি অনুসারে, মেট্রোরেলে সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা। উত্তরা নর্থ স্টেশন (দিয়াবাড়ী) থেকে আগারগাঁওয়ের ভাড়া ৬০ টাকা। কমলাপুর পর্যন্ত ভাড়া ১০০ টাকা। স্মার্টকার্ডে ভাড়া পরিশোধ করলে যাত্রীরা ১০ শতাংশ ছাড় পাবেন।

আর যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিনা ভাড়ায় ভ্রমণ করতে পারবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
প্রযুক্তি সহায়তায়: রিহোস্ট বিডি