টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে লিওনেল মেসির দল শিরোপা থেকে আর এক জয় দূরে। ১৮ ডিসেম্বর লুসাইলে আরেকটা ম্যাচ জিতলেই ৩৬ বছরের অপেক্ষা ঘুচে যাবে আলবিসেলেস্তেদের। ক্রোয়েশিয়াকে সেমিফাইনালে ৩-০ গোলে হারানোর দিনে পেনাল্টি থেকে এক গোল করার পাশাপাশি এক অ্যাসিস্ট করে ম্যাচসেরা হয়েছেন মেসি। বিনয়ী মেসি এরপর বলছেন, ম্যাচসেরার পুরস্কারটা তরুণ হুলিয়ান আলভারেজের প্রাপ্য।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ৩-০ গোলে জিতে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা। দারুণ এই জয়ের পথে পেনাল্টি থেকে প্রথম গোলটি করেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক মেসি। পরে দলের তৃতীয় গোলটিও আসে মেসির অ্যাসিস্ট থেকে। মাঝমাঠ থেকে অনেকখানি দৌড়ে ক্রোয়াট রক্ষণভাগকে এলোমেলো করে ফেলে কাটব্যাক করে হুলিয়ান আলভারেজকে দিয়ে গোলটি করান তিনি। তার এমন পারফরম্যান্সের পর ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে তাকেই বেছে নেওয়া হয়।
কাতার বিশ্বকাপে এই নিয়ে চতুর্থবার ম্যাচসেরা হলেন মেসি। আর্জেন্টিনার পাঁচ জয়ের চারটিতেই ম্যাচসেরা হওয়া মেসি অবশ্য সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনার জয়ের নায়ক মানছেন জোড়া গোল করা হুলিয়েন আলভারেজকে।
আলভারেজের দারুণ পারফরম্যান্সে মুগ্ধ মেসি এই ২২ বছর বয়সীকে ম্যাচের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘আমরা দল হিসেবে খেলি। এটাই আমাদের সবচেয়ে ভালো গুণ। এই ম্যাচে আলভারেজ দুর্দান্ত খেলেছে, অসাধারণ। ও মাঠে সবার চেয়ে বেশি দৌড়েছে, অনেক গোলের সুযোগ তৈরি করেছে। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ছিল আলভারেজ। ম্যাচসেরার পুরস্কার আলভারেজের প্রাপ্য।’
ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে দারুণ পারফর্ম করেই মেসির প্রশংসা আদায় করে নিয়েছেন আল্ভারেজ। দলের পক্ষে দ্বিতীয় ও তৃতীয় গোলটি করেন তিনি। প্রথম গোলটি যে পেনাল্টি থেকে পাওয়া তাও তিনিই আদায় করেছিলেন। আর ম্যাচের দ্বিতীয় গোলটি দিয়ে তো মনে করিয়ে দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ডিয়েগো ম্যারাডোনার করা ১৯৮৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের সেই গোলটির কথা।