কাতার বিশ্বকাপটি অনেক দিক দিয়ে ভিন্ন। একেতো শীতকালের টুর্নামেন্ট, আবার এটি মুসলিম বিশ্বে প্রথম বিশ্বকাপ। এ আসর ব্যতিক্রম হলো আরও একটি কারণে। বিশ্বকাপ ইতিহাসে এবারই প্রথমবারের মতো কুরআন তেলাওয়াত করা হয়েছে।
প্রায় ৯০ বছর আগে ১৯৩০ সালে ফিফা বিশ্বকাপের প্রচলন শুরু হলেও কোনো আসরেই কুরআন তেলাওয়াত করা হয়নি। কাতারই তার সাক্ষী হলো প্রথমবার। ভাষা-শিক্ষা কিংবা সংস্কৃতির মিল থাকায় আরব বিশ্ব নিজেদের আলাদাভাবে চেনাতে সক্ষম হয়েছে, মনে করেন অনেকে।
জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে শুরু হয় কাতার বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। যদিও কেউ কেউ বলছেন, খুবই সাদামাটাভাবে অনুষ্ঠান শেষ করেছেন আয়োজকরা। অনুষ্ঠানের আগে মাঠে বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে আসেন ফ্রান্সের সাবেক ফুটবলার মার্শেল দেশাই। উদ্বোধনী গান শেষে মঞ্চে দেখা দেন হলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা মরগান ফ্রিম্যান। পরে সারিবদ্ধভাবে হেঁটে পারফর্ম করতে দেখা যায় বাহারি রঙের পোশাক পরিধান করা একদল পারফর্মারকে।
তারপর শুরু হয় তলোয়াড় প্রদর্শনী। কাতারের ঐতিহ্যবাহী সাদা পোশাকে তলোয়াড় নিয়ে কসরত করেন শ’খানেক পারফরমার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিখ্যাত ব্র্যান্ড বিটিএসের গায়ক জাংকুক। দুনিয়াব্যাপী ভক্ত-সমর্থক তার। বিখ্যাত এই গায়ক প্রায় ২ মিনিটের মতো নেচে-গেয়ে মঞ্চ মাতান।
জাংকুকের পারফরম্যান্স শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবার দেখা মেলে ফ্রিম্যানের। মুহূর্তেই কাতারের ফুটবল ঐতিহ্য ফিরিয়ে নেয়া হয় পুরনো ডকুমেন্ট দেখানোর মাধ্যমে। আল বায়ত স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হয় কাতার ও ইকুয়েডর।
প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকরা জিতবে, প্রত্যাশা কাতারিদের। ইতিহাসও পক্ষে কথা বলছে কাতারের। আগের ২১ বিশ্বকাপে কোনো স্বাগতিক দেশই নিজেদের প্রথম ম্যাচে হারেনি। ৬টি ম্যাচে ড্রয়ের বিপরীতে বাকি সবকটিতেই জিতেছিল স্বাগতিকরা।