ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবশেষ হিসাবে মারা গেছেন ৭৫ জন। এরমধ্যে ৪৮ জনই ঢাকার বাইরের। আর পুরুষের তুলনায় এবার নারীদের মৃত্যু হচ্ছে বেশি। এখন পর্যন্ত মারা যাওয়াদের মধ্যে ৪৬ জন নারী ও ২৯ জন পুরুষ রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আহমেদুল কবির।
তিনি বলেন, হাসপাতালে আসার তিন দিনের মধ্যে বেশি মারা যাচ্ছেন। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ বছর এখন পর্যন্ত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং দক্ষিণে মারা গেছেন ৯ জন। পুরুষের তুলনায় নারীদের মৃত্যু হচ্ছে বেশি। এখন পর্যন্ত মারা যাওয়াদের মধ্যে ৪৬ জন নারী ও ২৯ জন পুরুষ রয়েছেন।
তবে দেশে এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যুর বেশির ভাগই ঢাকার বাইরের বাসিন্দা। সবশেষ হিসাবে এ রোগে মারা যাওয়া ৭৫ জনের মধ্যে ৪৮ জনই অন্য জেলার।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হালনাগাদ ডেঙ্গুর তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০ বছরের উপরে বয়স- এমন রোগীদের আক্রান্তের পরিমাণ বেশি (৬২%)। তবে বয়স্ক রোগীদের মৃত্যু হচ্ছে বেশি। মারা যাওয়াদের এক তৃতীয়াংশের বয়সই চল্লিশের উপরে।
দ্বিতীয়বার আক্রান্তরা বেশি ভুগছেন জানিয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক আহমেদুল বলেন, ‘এ বছর আমরা যেটা দেখতে পাচ্ছি যে, রোগীরা হাসপাতালে এসেই শকে চলে যাচ্ছে। ডেঙ্গু রোগটা আমাদের দেশে অনেকদিন ধরে আছে। সবাই কোনো না কোনো স্ট্রেইনে আক্রান্ত হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি যে এটি কমছে না। প্রতিদিনই রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের সমস্ত হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনার জন্য লোকবল, লজিস্টিকস, জায়গা তৈরি রাখার ওপর জোর দিচ্ছি। সরকারি হাসপাতালে নিয়মিত রোগী ভর্তির পাশাপাশি আবার কত ডেঙ্গু রোগী আসবে তা আমরা জানি না। যে কারণে জায়গা তৈরি রাখছি, কেউ যেন বিনা চিকিৎসায় ফেরত না যায়।’
রাজধানীর মধ্যে মিরপুর, উত্তরা, মুগদা, যাত্রাবাড়ী, ধানমন্ডি এলাকাকে ডেঙ্গুর হটস্পট বলে জানায় সংস্থাটি।
এ জাতীয় আরো খবর..