যে ম্যাচ নিয়ে হলো এত্তো আলোচনা সেটিই কি না লো স্কোরিং! আধুনিক ক্রিকেটের যুগে টি-টোয়েন্টিতে ১৪৭ রান তো লো স্কোরিং-ই! পাকিস্তানের দেয়া সে লক্ষ্য পেরুতেও ঘাম ঝরেছে ভারতের। তবে রোমাঞ্চ আর নানান নাটকীয়তায় ভরা ম্যাচটি শেষ ওভারে গিয়ে জিতেছে রোহিত শর্মার দল। গতকাল দুবাইয়ে এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচটি ৫ উইকেটে জিতেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৫ ওভারে সবক’টি উইকেট হারিয়ে ভারতকে ১৪৮ রানের লক্ষ্য দেয় বাবর আজমের দল। জবাবে ৫ উইকেট খুইয়ে দুই বল আগে জেতে ভারত।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ভারতের জন্য ম্যাচটি ছিল গত বিশ্বকাপের প্রতিশোধের। পাকিস্তানকে অল্পে আটকে দেওয়ার পর সেটির অনেকটাই করে রেখেছিল তারা। তবে নাসিম শাহ, হারিস রউফদের গতিতে এক সময় চাপে পড়ে তারা। বিরাট কোহলির ৩৪ বলে ৩৫ রানের ইনিংসের পর ভারতকে পথে রাখেন রবীন্দ্র জাদেজা। তবে ভারতকে এগিয়ে নেওয়ার মূল কৃতিত্বটা হার্দিক পান্ডিয়ারই। জাদেজা বোল্ড হওয়ার পর দীনেশ কার্তিক একটি সিঙ্গেল নিয়েছিলেন, তৃতীয় বল হয়েছিল ডট। তবে তাতে কিছু যায় আসেনি হার্দিকের। মোহাম্মদ নেওয়াজের পরের বলটা টেনে ছয় মেরে ভারতের জয় নিশ্চিত করেন তিনি। ১৯তম ওভারে হারিস রউফকে তিন চারের পর শেষ ওভারে নেওয়াজকে মারা ওই ছক্কার পর পান্ডিয়া অপরাজিত থাকেন ১৭ বলে ৩৩ রানে। এর আগে বোলিংয়ে তিনি নিয়েছেন ৩ উইকেট।
এর আগে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান। সে অর্থে প্রতিরোধ গড়তে পারেননি কোনো ব্যাটারই। বারবসহ পাওয়ার প্লেতে দুই উইকেট হারিয়ে ৪৩ রান তোলে দলটি। পাওয়ার প্লে শেষ হলেও রানের গতি বাড়েনি তাদের। ১১ থেকে ১৫ ওভার পর্যন্ত ছয় ওভারে ৩৫ রান তুলতে পারে দলটি। এ সময় ৩টি উইকেট তুলে নেয় ভারতীয়রা। তাতেই বিপর্যয়ে পরে পাকিস্তান। ইফতেখার আহমেদকে নিয়ে দলের হাল ধরেন রিজওয়ান। দেখে শুনে ব্যাট চালিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন তারা। ৪৫ রানের জুটিও গড়েন। ৪ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৪ রান করেন এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটার।
অল্প পুঁজি নিয়ে পাকিস্তান লড়াই করেছে ঠিকই, তবে পেরে ওঠেনি শেষ পর্যন্ত। দুবাইয়ে শেষ পর্যন্ত রাতটা পান্ডিয়ারই।