1. rashidarita21@gmail.com : bastobchitro :
নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত | Bastob Chitro24
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৩ অপরাহ্ন

নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত

ঢাকা অফিস
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১২ আগস্ট, ২০২২

রাজপথের লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে সরকারকে হটিয়ে জনগণের রাষ্ট্র গঠনের কথা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে সুপরিকল্পিতভাবে দেশকে ব্যর্থরাষ্ট্রে পরিণত করেছে। পরিকল্পিতভাবে মুক্তিযুদ্ধের আশা-আকাক্সক্ষা ধ্বংস করেছে। আওয়ামী লীগ প্রতারক দল, প্রতারণার মাধ্যমে জনসাধারণের সমস্ত অধিকার ধ্বংস করেছে। এই শান্তিপূর্ণ সভা থেকেও নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনেককে থানায় নিয়ে আটক করে রাখা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, লোডশেডিং ও দলীয় নেতা-কর্মীদের হত্যার প্রতিবাদে ডাকা বিএনপির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল আরও বলনে, সরকার সমস্ত অর্জন কেড়ে নিয়েছে। বিচারবিভাগকে দলীয়করণ করা হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে দেশে সংঘাত, অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করেছে সরকার। প্রশাসনের সকল ইউএনও ডিসিরাও দলীয় কর্মীতে পরিণত হয়েছে। আমদানি করে চুরি করার জন্য নিজস্ব গ্যাস উত্তোলনের কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তিনি বলেন, ছাত্র,তরুণ, যুবকদের জেগে উঠে নতুন করে দেশকে স্বাধীন করতে হবে। সংগ্রাম, লড়াই, যুদ্ধ শুরু হয়েছে। এ লড়াই দেশের জনগণকে বাঁচানোর লড়াই। রাজপথ দখল করতে হবে। রাজপথের লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে সরকার হটিয়ে জনগণের রাষ্ট্র গঠন করবো। সমাবেশে যোগ দিতে হাজার হাজার নেতাকর্মী নয়াপল্টনে উপস্থিত হন। কিছুক্ষণ পরপরই আসতে থাকে মিছিলের পর মিছিল। এতে জনসমুদ্রে পরিণত হয় পল্টন ও আশপাশের এলাকা। জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের মাওলানা নাসির উদ্দিনের কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু হয় । রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আসা নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন। এ সমাবেশের জন্য ফকিরাপুল মোড় থেকে কাকরাইল মোড় পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে শতাধিক মাইক লাগানো হয় বলে জানা যায়। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পাঁচটি ট্রাক পাশাপাশি রেখে উন্মুক্ত মঞ্চ বানানো হয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিনের আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু ও আমিনুল হকের সঞ্চালনায় এই সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান, এজেডএম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, জয়নাল আবেদীন, আমান উল্লাহ আমান, আফরোজা খান রিতা, রুহুল কবির রিজভী, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী, আবদুস সালাম আজাদ, দেওয়ান মো. সালাহউদ্দিন, প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। দলের অঙ্গসংগঠনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, যুব দলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, উলামা দলেরর নজরুল ইসলাম তালুকদার, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, মতস্যজীবী দলের রফিকুল ইসলাম মাহতাব, ছাত্র দলের কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবন এই জনসভায় বক্তব্য রাখেন। সমাবেশে সাংবাদিক নেতাদের মধ্যে মঞ্চে উপস্থিত হন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন বিএফইউজের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, বর্তমান সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, মহাসচিব নূরুল আমিন রোকন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ডিইউজে সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে নিতাই রায় চৌধুরী, ফজলুর রহমান, আতাউর রহমার ঢালী, আবদুল কুদ্দুস, মাহবুব উদ্দিন খোকন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সালাহউদ্দিন আহমেদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শ্যামা ওবায়েদ, শিরিন সুলতানা, নাজিম উদ্দিন আলম, কামরুজ্জামান রতন, মীর সরাফত আলী সুপ, মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু, আজিজুল বারী হেলাল, এবিএম মোশাররফ হোসেন, রেহানা আখতার রানু, শাম্মী আখতার, নেওয়াজ হালিমা আরলি, হেলেন জেরিন খান, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, সেলিমুজ্জামান সেলিম, মাশুকুর রহমান মাশুক, শামীমুর রহমান শামীম, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, সাইফুল আলম নিরব, মীর নেওয়াজ আলী, আমিরুজ্জামান শিমুল, রাজিব আহসান, আকরামুল হাসান, মহানগর বিএনপির ইশরাক হোসেন, হাবিবুর রশীদ হাবিব, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েলসহ অঙ্গসংগঠন ও মহানগরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির সমাবেশস্থলের উপরে ড্রোন উড়ার ঘটনার সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ড্রোন দিয়ে বিভিন্ন দেশের গণতন্ত্রপন্থী নেতাদের হত্যা করা হচ্ছে। সরকার ইরান থেকে ২১টা ড্রোন এনেছে ভাসানচরের জন্য নয়, গণতন্ত্রের আন্দোলনের সৈনিকদের মনিটর করার জন্য। তিনি বলেন, এই সংগ্রাম শুরু হয়েছে, লড়াই শুরু হয়েছে, যুদ্ধ শুরু হয়েছে, এই লড়াই আমাদের প্রাণের লড়াই, আমাদের বেঁচে থাকার লড়াই, এই লড়াই বাংলাদেশকে রক্ষা করবার লড়াই। এটা বিএনপির নয়, তারেক রহমানের নয়, আমাদের নয়, এই লড়াই বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে বাঁচাবার লড়াই। এই লড়াইয়ে অবশ্যই আমাদের শরিক হতে হবে, আমাদের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে, রাজপথ আমাদেরকে দখল করতে হবে। রাজপথের লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে আমরা অবশ্যই এই ফ্যাসিস্ট দানবীয় হাসিনা সরকারকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থেই আমরা একটা জনগনের সরকার, জনগনের রাষ্ট্র, জনগনের একটা সমাজ তৈরি করবো। সরকারের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, আর কাল বিলম্ব না করে অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। কারণ আপনারা ব্যর্থ হয়েছেন আপনারা মানুষের সমস্যা সমাধান করতে পারছেন না। সুতরাং আপনাদেরকে এই মুহূর্তে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচন দিয়ে সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে নতুন পার্লামেন্ট গঠন করতে হবে, সরকার গঠন করতে হবে। আগামী ২২ আগস্ট থেকে সারা দেশে উপজেলা-জেলা-মহানগর পর্যয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি অব্যাহতভাবে চলবে বলে ঘোষণা করেন তিনি। দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে চাল, ডাল, তেল সব কিছুরই দাম বেড়ে যাচ্ছে। আরেকদিকে বিদ্যুতের যে সমস্যা সেটা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই সরকার আমদানি করার জন্য, দুর্নীতি ও চুরি করার জন্য আমার দেশে যে গ্যাস আছে সেই গ্যাস উত্তোলনের জন্য তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করে নাই। তাদের নিজস্ব লোকদের দিয়ে গ্যাস আমদানির ফলে আজকে বিদ্যুতের দামও অনেক বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যুতের কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট রয়েছে তাদেরকে ২৮ হাজার কোটি টাকা প্রতি বছর দেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৭৮ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে। গত ৭ বছরে প্রায় ২৭০ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে তার হিসাব আছে ২৪০ বিলিয়ন ডলার। প্রশ্ন আমাদের এই ৩০ বিলয়ন ডলার কোথা গেলো ? কারা নিয়ে গেলো? তা জনগন জানতে চায়। ছাত্র দল-যুব দলসহ নবীন সরকারের বিরোধী আন্দোলনে ‘জেগে’ উঠার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, আজকে তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমাদের তরুন সমাজ, যুব সমাজ তাদেরকে জেগে উঠতে হবে। তাদেরকে আজকে নতুন করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে হবে। সেই স্বাধীনতা হবে আমাদের নিরাপত্তার স্বাধীনতা, সেই স্বাধীনতা হবে আমাদের সমৃদ্ধির স্বাধীনতা, সেই স্বাধীনতা হবে ন্যায় বিচার, সাম্য ও সামাজিক মর্যাদার স্বাধীনতা। নতুন বাংলাদেশ আমরা নির্মাণ করব তারেক রহমানের নেতৃত্বে। স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এই স্বৈরাচারি, লুটেরা, ভোট ডাকাত, ফ্যাসিবাদ সরকারের হাত থেকে জনগনকে রক্ষা করতে হলে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে কথা আপনাদেরকে(নেতা-কর্মীদের) বলেছেন, ফয়সালা করতে হবে রাজপথে। এই ফয়সালা করতে প্রস্তুত বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনগুলো। এদেশে যখন গণতন্ত্র ছিলো না, তখন সেই গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে এনেছিলেন আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রের মাধ্যমে। এরপর স্বৈরাচার ক্ষমতায় এসে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিলো। আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এদেশে আবার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়েছে, সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি। আর আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তারা গণতন্ত্র হত্যা করেছে। তারা কোনোদিন গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেবে না। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে বিএনপিকে সকল জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলন করতে হবে, তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আমি বলতে চাচ্ছি, গত তিন বছরে এদেশের ৫৪ হাজার কোটি টাকা কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্টের মাধ্যমে পাচার করে দেয়া হয়েছে। এখনো লোডশেডিং চলছে, আমরা বিদ্যুত পাইনা। কিন্তু কুইক রেন্টালের টাকা বন্ধ নাই, ওদের টাকা দেয়া হচ্ছে। কার টাকা যাচ্ছে, কোথায় যাচ্ছে কোনো খবর নাই। গত ১০ বছরে পাচার হয়েছে সাড়ে ৬ লক্ষ কোটি টাকা। এভাবে দেশটাকে আজকে আওয়ামী দেউলিয়ার পথে নিয়ে গেছে। এই দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে। স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের কোনো কথা নেই আমাদের দাবি একটাই- শেখ হাসিনার পদত্যাগ। শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে, এই সংসদ বাতিল করতে হবে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার দিতে হবে, এই নির্বাচন কমিশন বাতিল করতে হবেৃ.। আমরা যখন রাস্তায় নেমেই গেছি। আমরা দাবি আদায় না করে যাবো না। ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, বাংলাদেশ আজ লন্ঠিত। এই দুর্নীতিবাজ সরকারের লুন্ঠন থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করা এখন সর্ববৃহত রাজনৈতিক বিএনপির ওপর একটা ঈমানি দায়িত্ব। আমি নেতৃবৃন্দকে বলব, আপনারা সবাই মিলে এই লুন্ঠনকারীদের হাত থেকে বাংলাদেশকে বাঁচাই। দুপুর ২টার পরে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে আসা শুরু করে। দুপুর একটা নাগাদ নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। দুপুরের আগেই নাইটিংগেল মোড় থেকে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত দুই পাশের রাস্তা কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। ফকিরাপুল, কাকরাইল, বিজয়নগর এলাকা লোকে লোকারণ্য ওঠে। একারণে নয়াপল্টনের দুই পাশের রাস্তায় সব ধরণের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কোন ধরণের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আব্দুস সালাম সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, আজকের সমাবেশে কয়েক লাখ নেতা-কর্মী উপস্থিতি হয়েছে। পল্টন, ফকিরাপুল, কাকরাইল, বিজয় নগর এলাকায় লোকে লোকারণ্য হয়ে গেছে। এই সমাবেশ থেকে শুরু হবে সরকার পতনের আন্দোলন। সরকার মনে করেছিল আব্দুর রহিম, নূরে আলমকে হত্যা করে আন্দোলন দমানো যাবে । আজকের সমাবেশ প্রমাণ করে নেতা-কর্মীরা জীবন দিতে প্রস্তুত। তবু এই অবৈধ সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে ছাড়ব।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
প্রযুক্তি সহায়তায়: রিহোস্ট বিডি