1. rashidarita21@gmail.com : bastobchitro :
অস্বাভাবিক ডলারের বাজার | Bastob Chitro24
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৮ পূর্বাহ্ন

অস্বাভাবিক ডলারের বাজার

ঢাকা অফিস
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২ আগস্ট, ২০২২

পাচারের আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের ষ খোলাবাজারে সরবরাহ কম, চিকিৎসাসহ বিশেষ প্রয়োজনেও মিলছে না ষ শেয়ারবাজার ও ঘুষের টাকা ডলার মার্কেটে যাচ্ছে ষ অনলাইন সামাজিক মাধ্যমে দেদারসে

আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ার পর ডলারে দাম ক্রমেই বাড়তে থাকায় গত এপ্রিলে জরুরি পণ্য ছাড়া বিলাস পণ্য আমদানিতে লাগাম টানে সরকার। ইতিমধ্যে সরকারের কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। মাস দেড়েক আগেই সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যাংকারদের বিদেশযাত্রায় লাগাম টানা হয়েছে। আর তাই এক মাসের ব্যবধানে আমদানি ব্যয় কমেছে ৩১ শতাংশ। এসেছে রেকর্ড রফতানি আয়। জুলাই মাসে রেকর্ড রেমিট্যান্সও এসেছে দেশে। এমনকি গত অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে ৭৬২ কোটি ১৭ লাখ ডলার বিক্রি করে এবং চলতি অর্থবছরের এক মাস না পেরোতেই বিক্রি করা হয়েছে আরও ৯৪ কোটি ডলার। তবু ডলারের বাজারে আগুন। মানি চেঞ্জার এবং খোলাবাজারে অস্বাভাবিক গতিতে বেড়েই চলেছে ডলারের চাহিদা। প্রশ্ন উঠছে কোথায় যাচ্ছে এত ডলার? তবে ডলার কি পাচার হচ্ছে? যদিও পাচারের বিষয়ে সাম্প্রতিক কোনো তথ্য-প্রমাণ মিলেনি। এদিকে খোলাবাজারে অস্বাভাবিকভাবে ডলারের দর বৃদ্ধির মধ্যে অনেকেই ডলারের পাশাপাশি ইউরোর বড় নোটগুলো কিনে মজুত এবং ঘুষ লেনদেনে ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কেউ কেউ শেয়ারবাজারের টাকা ডলার মার্কেটে বিনিয়োগ করেছেন। সঙ্কটের মধ্যেই ‘অনলাইন ফরেক্স ট্রেডিং/ডিলিং’-এর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার বে-আইনি ক্রয়-বিক্রয়েরও তথ্য প্রমাণ মিলেছে। এই অবস্থায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে ডলারের কারসাজি হচ্ছে কি না, তা ধরতে অভিযান শুরু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এদিকে অভিযানের পর খোলা মার্কেটে ডলার বিক্রেতার সংখ্যা তুলনামূলক কম দেখা গেছে। মানি এক্সচেঞ্জারগুলোর মতে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদারকির কারণে অনেক ব্যবসায়ীই ডলার কেনাবেচা করতে ভয় পাচ্ছেন। পাশাপাশি বাজারে ডলারের সরবরাহ খুবই কম। তাই চিকিৎসার জন্য বিশেষ দরকারেও প্রয়োজন অনুযায়ী পাওয়া যাচ্ছে না। ডলার কেনার জন্য কেউ কেউ আসলেও বিক্রি করার লোক খুবই কম বলে জানা গেছে।

অবশ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির খরচ সাশ্রয়ে দেয়া হয়েছে বিভিন্ন নির্দেশনা। বাজারে সরবরাহ বাড়াতে ব্যাংক ও রফতানিকারকের ডলার ধারণের ক্ষমতা কমানো হয়েছে। রফতানি আয় আসার এক দিনের মধ্যে ডলার নগদায়নের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ইডিএফ থেকে নেয়া ঋণ কেবল রফতানি আয় বা জমা থাকা বৈদেশিক মুদ্রা থেকে পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে করোনার সময়ে দেয়া শিথিলতার মেয়াদ আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আবার বিদেশে আটকে থাকা ১৫০ কোটি ডলারের রফতানি বিল এবং দায় পরিশোধ হলেও দেশে না আসা ৮৮০ কোটি ডলারের পণ্য দ্রুত আনার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। এসবের ইতিবাচক প্রভাব কিছুদিনের মধ্যেই পড়বে।

সূত্র মতে, সাধারণত বিদেশে ভ্রমণ, চিকিৎসা, প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা-সংক্রান্ত খরচের জন্য মানুষ খোলাবাজার কিংবা ব্যাংক থেকে ডলার কেনে। গত সপ্তাহে খোলাবাজারে প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১১২ টাকায়, যা এযাবৎকালের সর্বোচ্চ দর। অবশ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ডলার কেনাবেচায় নজরদারিতে ১০টি পরিদর্শক দল মাঠে নামায় ডলারের বিনিময় হার এখন ১০৭-১০৮ টাকায় নেমেছে। ব্যাংকগুলোতেও একই অবস্থা। গত সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার যে দামে নগদ ডলার বিক্রি করেছিল ব্যাংকগুলো চলতি সপ্তাহের প্রথম দুই দিন রোব ও সোমবার সেই দামেই ডলার বিক্রি করেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা ও অগ্রণী ব্যাংক সোমবার ১০২ টাকা দরে নগদ ডলার বিক্রি করেছে। বেসরকারি ইস্টার্ন ও সিটি ব্যাংক প্রতি ডলারের জন্য নিয়েছে ১০৭ টাকা। গত কয়েক দিনের মতো ৯৪ টাকা ৭০ পয়সা দরে গতকাল সোমবার ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এটাকে আন্তব্যাংক বা ইন্টারব্যাংক রেট বলছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু এই রেট গত এক মাসের বেশি সময় ধরে কার্যত অচল। ব্যাংকগুলো এখনও এই দরের চেয়ে ৬ থেকে ১২ টাকা বেশি দামে ডলার বিক্রি করছে। আবার প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স সংগ্রহ করছে ১০৪/১০৫ টাকা দিয়ে। আমদানি ঋণপত্র খুলতেও নিচ্ছে ১০৪/১০৫ টাকা। খোলাবাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদারকির কারণে অনেক ব্যবসায়ীই ডলার কেনাবেচা করতে ভয় পাচ্ছেন। অনেকের কাছেই কোন ডলার নেই। খোলাবাজারে ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে গত বুধবার থেকে রাজধানীর বিভিন্ন মানি চেঞ্জারে অভিযান শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে এ পরিদর্শন কার্যক্রম চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি অবৈধভাবে ডলার মজুতকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। ফলে ডলারের বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও এখন নানামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে। গতকালও এনএসআই সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে কয়েকটি মানি চেঞ্জার পরিদর্শন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন দল। জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাজার স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ পরিদর্শন অব্যাহত থাকবে। রেমিট্যান্স বাড়ছে। আমদানি কমছে। আশা করছি খুব শিগগিরই ডলার বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

জানা যায়, দেশে অনুমোদিত মানিচেঞ্জার ৬০২টি, এর মধ্যে ২৩৫টির বৈধতা আছে। বাকিগুলোর লাইসেন্স স্থগিত বা বাতিল রয়েছে। মানিচেঞ্জারের দৈনন্দিন কেনাবেচার তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাতে হয়। তবে অনেক মানিচেঞ্জার এজেন্ট নিয়োগ দিয়ে থাকে, যারা প্রতিষ্ঠানের বাইরে গ্রাহকের কাছ থেকে ডলার কেনাবেচা করে। এ ধরনের লেনদেন অবৈধ।

জানা গেছে, লাইসেন্স স্থগিত বা বাতিল হওয়া কিছু মানিচেঞ্জার ডলারের অবৈধ ব্যবসায় নেমেছে। মানিচেঞ্জারের বাইরে ব্যক্তি পর্যায়ের অবৈধ লেনদেনে কোনো কাগজপত্র লাগে না। এ রকম কয়েকজন বিক্রয়কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ব্যাংকিং খাতে কড়াকড়ির কারণে একশ্রেণির ব্যক্তি ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে নগদ ডলার কিনছেন। আরেক শ্রেণি শেয়ারবাজারের মতো ডলারে বিনিয়োগ করছে। অনেকে আবার ঘুষের লেনদেনে এই মুদ্রাটির ব্যবহার করছেন। সঞ্চয়পত্রে কড়াকড়িসহ বিভিন্ন কারণে কেউ কেউ দুর্নীতির টাকায় ডলার কিনে রাখছেন। ডলার পাচারও হতে পারে বলে তাঁদের ধারণা। এদিকে অনলাইনে ডলার বিক্রির নামে একটি চক্র সক্রিয় আছে। একসময় গ্রুপটি ডোল্যান্সার, ফ্রিল্যান্সার, পে টু ইউ ক্লিক, স্কাই ওয়াকার প্রভৃতি নামে ওয়েবসাইট খুলে শুধু ক্লিক করেই উপার্জন করুন এমন বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণা করতো তথ্যপ্রযুক্তির বাজারে অবদান রাখা বাংলাদেশী তরুণ ফ্রিল্যান্সারদের। ক্লিকের বিনিময়ে ডলার আয় এমনকি ওয়েব পেজের সদস্য হওয়ার জন্য চাঁদা নিয়ে পরে কোন ধরনের অর্থ দেয়া হতো না। ওই চক্রের সদস্যরাই প্রতারণার নতুন কৌশল হিসেবে অনলাইনে ডলার বেচাকেনা করছে। যদিও অনলাইনে ডলার বেচাকেনার কোন বৈধ অনুমতি নেই বাংলাদেশে। তারপরও অনলাইনে ডলার বেচাকেনার লেনদেন হয় মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠাগুলোর মাধ্যমে। এমনকি চক্রটির ফেসবুক পেইজের পাশাপাশি অন্তত শতাধিক ওয়েবসাইটে চালাচ্ছে ডলার বেচাকেনা। ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যে রয়েছে অনলাইন ডলার মার্কেট বিডি, বাংলাদেশ ভার্চুয়াল ডলার মার্কেট, বাই অর সেল ডলার, ভার্চুয়াল ডলার ক্রয়-বিক্রয়, অনলাইন ডলার মার্কেট, ফরেক্স-বাংলা ডটকম, ইজি পেইড বিটি ডটকম, পেমেন্ট সলিউশনবিডি, বিডি ওয়ালেট টেক্স, পেইড বিডি ডটকম, নেটলার ডটকম, ওকেমানি ডটকম। শুধু ওয়েবসাইটে নয়, ফেসবুকেও এই চক্র সমান সক্রিয়। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, অনলাইনে ফরেক্স ট্রেডিং বা বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন হয় এমন ডিজিটাল প্লাটফর্মে ডলারের কারসাজি হচ্ছে কি না, তা ধরতে অভিযান শুরু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ডলার নিয়ে কোনো অনিয়ম পেলেই কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

মতিঝিলে মানি এক্সচেঞ্জের ব্যবসায়ী আবুল বাসার বলেন, দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে ব্যবসা করছি। কিন্তু এ ধরনের সঙ্কট কখনো দেখিনি। এখন ডলার ক্রয়ের চেয়ে প্রতি মুহূর্তে ফোন আসছে ডলারের দাম কতো বেড়েছে। এক শ্রেণির অতি উৎসাহীরা প্রয়োজন না থাকলেও বেশি মুনাফার লোভে ক্রয় করে জমা রাখছে। ফলে ডলার সঙ্কট পোহাতে হচ্ছে। স্ট্যান্ডার্ড মানি এক্সচেঞ্জের দায়িত্বরত এক কর্মকর্তা বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ডলার কিনতেও পারছি না। অধিকাংশ মানি এক্সচেঞ্জের কাছেই ডলার নেই। ফলে বিক্রিও নেই। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আবু স্বপন বলেন, চিকিৎসার জন্য ভারত যেতে তার ৫ হাজার ডলার লাগবে। কয়েকজন বলেছে, একসঙ্গে ৫ হাজার ডলার বিক্রি করার সামর্থ্য তাদের নেই। একাধিক মানি এক্সচেঞ্জ থেকে সংগ্রহ করতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মে পর্যন্ত আমদানিতে খরচ হয়েছে ৭ হাজার ৫৪০ কোটি ডলার। একই সময় পর্যন্ত রফতানি আয় হয়েছে ৪ হাজার ৪৫৮ কোটি ডলারের মতো। এতে করে প্রথম ১১ মাসে রেকর্ড ৩ হাজার ৮২ কোটি ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে। একই সময়ে রেমিট্যান্স প্রায় ১৬ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯১৯ কোটি ডলারে নেমেছে। সব মিলিয়ে চলতি হিসাবের ভারসাম্যে ঘাটতি দেখা দিয়েছে ১৭ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার। বিপুল এই ঘাটতি মেটাতে ব্যাংকগুলো ছুটছে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে। যে কারণে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করা রিজার্ভ এখন ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছে।

এদিকে ডলারের বাজার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার কারণে অনেকে শেয়ার বিক্রির টাকা ডলারে বিনিয়োগ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ডলার ব্যবসায় নেমেই সপ্তাহের ব্যবধানে সাত থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত লাভও করেছেন কেউ কেউ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইবিএল সিকিউরিটিজের এক ট্রেডার বলেন, গত ৫ দিনে কমপক্ষে ২০ জন ক্লায়েন্ট তাদের সব শেয়ার বিক্রি করে পোর্টফোলিও খালি করে ফেলেছেন। তারা এই টাকা ডলার মার্কেটে বিনিয়োগ করবেন বলে শুনেছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্য একজন বলেন, ফেসবুকে শেয়ার বাজার সংক্রান্ত একটা গ্রুপের লোকজন আমাকে ডলার ও স্বর্ণ কেনার জন্য বলেছিল। তারা যখন যে ইনফরমেশন দেয় তা সত্যি হয়। যারা কিনেছে এখন তারা লাভ করছে। গোপনে খবর জেনে তারপর বিনিয়োগ করে ওই গ্রুপের লোকজন।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষক প্রফেসর মইনুল ইসলাম বলেন, আমদানি ব্যাপকভাবে বাড়ার কারণে ডলারের চাহিদা অনেক বেড়েছে। চাহিদা অনুযায়ী ডলার সরবরাহ করতে না পারায় দর বাড়ছে। তিনি বলেন, আমদানি এত বাড়ার পেছনে অর্থ পাচার অনেকটাই দায়ী। কেননা প্রচণ্ডভাবে ওভার ইনভয়েসিং হচ্ছে। পরিস্থিতি ঠিক রাখতে হলে কঠোরভাবে আমদানি তদারকি করতে হবে। তা না করতে পারলে ডলার পাচার ঠেকানো যাবে না। বৈদেশিক মুদ্রাবাজারের সঙ্গে সম্পর্কিত এক ঊর্ধ্বতন ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, আমদানি বা রফতানিতে যথাযথ মূল্য না দেখিয়ে অনেকে অর্থ পাচার করেন। ঘোষিত অর্থের বাইরে যে অঙ্ক থাকে, তা সাধারণত তৃতীয় দেশের মাধ্যমে টিটির মাধ্যমে পরিশোধ হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
প্রযুক্তি সহায়তায়: রিহোস্ট বিডি