কুষ্টিয়া সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন এবং প্রগতিশীল নাগরিক রক্ষা পরিষদের উদ্যেগে প্রতিবাদী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়
৩০ জুন বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরীর সামনে ।বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে
সন্মিলিত সামাজিক আন্দোলন এবং প্রগতিশীল নাগরিক রক্ষা পরিষদের আহ্বানে নড়াইল সদর উপজেলার( মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের) ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে ধর্ম অবমাননার দায়, উস্কানির অভিযোগ এনে লাঞ্ছনা করা, এবং সাভারের আশুলিয়ায় অধ্যক্ষ উৎপল কুমার সরকারকে হাজী ইউনুস আলী স্কুল এন্ড কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক এবং শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি কে হত্যার প্রতিবাদে- প্রতিবাদী সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।
বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষক, শিল্পী, রাজনীতিবিদ এবং বিভিন্ন সংগঠনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে সন্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সদস্য কারশেদ আলমের সঞ্চালনায় প্রতিবাদী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন – -বাংলা বিভাগ (ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়)ডঃ সরোয়ার মোরশেদ রতন, বিশিষ্ট কবি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কনক চৌধুরী,সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ জেলা শাখার সভাপতি হাজী গোলাম মহসিন। সামাজিক আন্দোলন সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক হাসান আলী ।
কুষ্টিয়া জেলা স্কুল সিনিয়র শিক্ষক মীর জাহিদ, প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধি- এহসানুল করিম সবুজ, ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য কমরেড হাফিজ সরকার , ছাত্রফ্রন্টের আবুল কালাম আজাদ, জ্যোতি ফাউন্ডেশনের সৈয়দা হাবিবা, নির্বাহী প্রধান সি,ডিএল আখতারা সুলতানা,সন্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের শাহীন সরকার, উদীচি শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক গোপা সরকার , বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ সুনীল কুমার চক্রবর্তী, ভাইস প্রিন্সিপাল সান আপ স্কুল এন্ড কলেজ মোঃ ফয়েজুর রহমান, রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগ অধ্যাপক তামিম, আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন। এছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সহ-সভাপতি আমিরুল ইসলাম মকলু, সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ কমরেড আশরাফুল ইসলাম, ওয়ার্কার্স পার্টির তাসলিমা শিল্পী ।বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি সাধারণ সম্পাদক সহ অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন। ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সদস্য ইসরারুল হক, প্রমূখ ।
কমরেড হাফিজ সরকার বলেন , প্রতিবাদ সভাটি শিক্ষক সংগঠনের আহবানে হওয়া উচিত ছিল আগামীতে এই প্রত্যাশা করি।
শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধি বলেন -শিক্ষা যদি জাতির মেরুদণ্ড হয়ে থাকে- তাহলে রাজপথে কুপিয়ে হত্যা করা হবে এটা মেনে নেয়া যায়না। ডঃ সরোয়ার মোরশেদ রতন বলেন- দেশবাসী জানে না? নড়াইলে জুতার মালা পড়ানো হয়েছে এই জুতার মালা কি সকল মানুষকে পড়ানো হয়নি শিক্ষকের জুতার মালা পড়ে তখন প্রতীক হয়ে যায়- জাতির গলার মালা ।
সভাপতির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম বলেন- মানুষের সভ্যতা অগ্রযাত্রার পথে, নানা বাধা অতিক্রম করে মানুষ ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা থেকে বেরোতে পারেনি ।
কিশোর সমাজের নৈতিক অবক্ষয় ,ইভটিজিং, ছাত্রীদের উত্যক্ত করা এগুলোর প্রতিবাদে একজন শিক্ষককে হত্যা হতে হয় এবং ধর্ম অবমাননার দায়ে শিক্ষককে জুতার মালা গলায় পড়িয়ে অপদস্ত করা এর পরিবর্তন করে নীতিমালার গঠন করতে হবে।
শিক্ষকের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক গুজব তুলে -জুতার মালা পরিয়ে লান্থনা এবং ২৫ জুন অধ্যক্ষ উৎপল কুমার সরকার কে দশম শ্রেণীর ছাত্র আশরাফুল ইসলাম জিতু কলেজ চত্বরে কোন মেয়ের সাথে অন্তরঙ্গ আচরণ করতে নিষেধ করায় -ক্রিকেট ষ্ট্যাম্প দিয়ে আঘাত করলে ঢাকা এনাম কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু ঘটে।