1. rashidarita21@gmail.com : bastobchitro :
কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের হল বন্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিপাকে | Bastob Chitro24
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১১ অপরাহ্ন

কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের হল বন্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিপাকে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৯ জুন, ২০২২

কুষ্টিয়ার সুনামধন্য বিদ্যাপীঠ কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের হল বন্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছে। আল্প টাকায় মানুষের দাঁড়ে দাঁড়ে ঘুরেও সন্ধান মিলছে না মেসের। গত ২১ জুন মাঠে ফুটবল খেলার সময় বলের আঘাতে ছিটকে পড়া কাঁদা প্রথম বর্ষের ছাত্রীর গায়ে লাগার জেরে ওই ছাত্রীর ৫ম সেমিষ্টারে পড়ুয়া বন্ধুর সঙ্গীয় সহপাঠীদের হামলায় লালন শাহ হোষ্টেলে ব্যাপক ভাংচুর ও মারধরের ঘটনায় তাৎক্ষনিক একাডেমিক কাউন্সিলের এক মিটিং থেকে নেয়া সিদ্ধান্তে জানানো হয়েছিল, ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত মীর মশাররফ হোসেন ও লালন শাহ ছাত্র হোস্টেল এবং তাপসী রাবেয়া ছাত্রী হোস্টেল বন্ধ থাকবে। সুত্রে জানা যায়, হল বন্ধ হওয়ার পর থেকে সাধারণ শিক্ষার্থী মনে আহাযারী সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে ২১০০ টাকা হলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আরাম আয়েসে ১ মাস পার করত। কিন্তু এখন কলেজ এরিয়ার বাইরে মেস ভাড়া করে প্রতি মাসে ১২০০ টাকা খাওয়ার ১৮০০/১৯০০ টাকা সব মিলায়ে একজন শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়ে যাচ্ছে। প্রতি মাসে গুনতে হচ্ছে ৪০০০/৫০০০ টাকা। ৩য় পর্ব ইলেকট্রনিক্সের রাকিবের সাথে কথা বললে রাকিব বলেন, আমার বাবা রিক্সা চালায় আমাদের টানা পুরনের সংসার আমার বাবার স্বপ্ন ছিল আমি ইন্জিনিয়ার হবো তাই আমি ইন্জিনিয়ারিং পড়তে এসেছি কলেজের হোস্টেলে থেকে আমি স্বাছন্দে দিন পার করছিলাম। কিন্তু হোস্টেল বন্ধ হওয়ার পর আমি তো কোন মেসে উঠতে পারছি না আমার সাদ থাকলেও আমার সামর্থ নেই। আজ থেকে আমাদের পর্ব মধ্য পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ৫ম পর্বের সিভিলের কাজলের সাথে কথা বলেন, এভাবে হল বন্ধ থাকলে আমার বাবার আমাকে লেখাপড়া চালানো সম্ভব নই আমরা তিন ভাই আমি বড় আমার বাবার আয় দিয়ে আমাদের লেখাপড়া খরচ সহ সংসার চলে। আমার বাসা থেকে যদি আমি ২০০০ টাকা বেশি চাই আমার বাবা কোথায় থেকে টাকা দিবে আমার বাবা এজন দিনমজুর। মুড়ি বিক্রেতা নাজিমের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার একটা মাত্র ছেলে কুষ্টিয়া পলিটেকনিকে পড়ে ইলেকট্রিক্যালে আমার ছেলে হলে থাকতো হল তো বন্ধ হয়ে গিয়েছে আমি প্রতি মাসে এত টাকা কই পাবো। হলটা যদি তাড়াতাড়ি খুলে দেয় তাহলে আমার খুব ভালো হবে আমার পক্ষে এতো টাকা দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে। কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সষ্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনির হোসেনের মুঠোফোন নং ০১৫৫৬৩০৪৬৮ তে কল করে এবং খুদেবার্তা দিয়েও তিনি কোন সারা দেননি প্রতিবেদককে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
প্রযুক্তি সহায়তায়: রিহোস্ট বিডি