নওগাঁর মান্দায় পরিবারের ইচ্ছা পূরণ করতে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে গেলেন কৃষকের ছেলে সবুজ। সবুজের পিতা আনিছুর রহমান পেশায় একজন কৃষক। অপরদিকে মেয়ের পিতা তমিজ উদ্দিন একজন ব্যাটালিয়ন। আর হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ের যাত্রা দেখতে সকাল থেকে আশপাশের কয়েক গ্রামের হাজারো উৎসক জনতার ভিড় ছিল লক্ষণীয়। উপজেলার মান্দা সদর ইউনিয়নের মান্দা এসসি মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ মাঠে হেলিকপ্টারটি অবতরণ করে। শনিবার দুপুরে উপজেলার বিনোদপুর গ্রামে মেয়ের বাবার বাড়িতে আনুষ্ঠানিকভাবে তমিজ উদ্দিনের কলেজপড়ুয়া মেয়ে তাসলিমা আক্তার তমা (১৮) ও মান্দা সদর ইউনিয়নের মেরুল্যা গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে আবু আহম্মেদ আশরাফ ওরফে সবুজ (৩০)-এর বিয়ে হয়। তাদের বিয়ের বেশকিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর অত্র এলাকায় এই প্রথম হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে তাদের এক নজর দেখতে ভিড় জমান স্থানীয়রা।
জানা যায়, আবু আহম্মেদ আশরাফ ওরফে সবুজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মার্কেটিংয়ে বিবিএ এবং এমবিএ পাস করার পর বহুজাতিক কোম্পানিতে চাকরি করেন। বর্তমানে তিনি কোম্পানির এরিয়া ম্যানেজার হিসেবে ময়মনসিংহে কর্মরত আছেন। অন্যদিকে তাসলিমা আক্তার তমা মান্দা মমিন শাহানা সরকারি কলেজে এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। সম্প্রতি পারিবারিকভাবে দুই পরিবারের মধ্যে বিয়ে নিয়ে আলোচনা ও দেখাদেখির আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয় এবং বিয়ের কথা হয়। এরপর শনিবার ২ লাখ টাকা কাবিননামায় বিয়ে হয়। এ সময় দুই পক্ষের পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
বরের বাবা আনিছুর রহমান বলেন, আমাদের পরিবারের ইচ্ছে ছিল, ছেলেকে হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করানোর। তাদের সে ইচ্ছে পূরণে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা খরচ করে হেলিকপ্টার ভাড়া নেওয়া হয়। এদিন দুপুরে বর নিয়ে কনের বাড়ি যাওয়া এবং বিয়ের কাজ শেষে আবার নিয়ে আসা হয়। তৌহিদুল ইসলাম বাদল নামে একজন বরের বন্ধু বলেন, আমাদের গ্রামে তো দূরের কথা, আশপাশের কোনো গ্রামে কখনই হেলিকপ্টার নামেনি। তাই হেলিকপ্টার দেখতে আজ সকাল থেকে বরের বাড়ির পাশে মান্দা এসসি মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ মাঠে এবং কনের বাড়ির পাশে পাঁঠাকাটা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে হাজার হাজার উৎসুক জনতা অপেক্ষা করেন।