সংসারে পুরুষের চেয়ে নারীরা আট গুণ বেশি কাজকর্ম করে। কাজের মূল্যায়ন করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ‘সময়ের ব্যবহার’ সংক্রান্ত সমীক্ষায় এ বিষয়টি উঠে আসে। গত সোমবার বিবিএসের এসংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নারীরা গড়ে ১১.৬ ঘণ্টা সংসারের কাজে ব্যয় করে।
পুরুষরা ব্যয় করে মাত্র ১.৬ ঘণ্টা। বিবিএসের এই পরিসংখ্যানে নারীর অস্বীকৃত ও অমূল্যায়িত গৃহস্থালি ও সেবামূলক কাজের মূল্যায়ন তুলে ধরা হয়।
জরিপে বলা হয়, সব মিলিয়ে নারীরা প্রতিদিন মজুরি ছাড়া ৫.৬ ঘণ্টা কাজ করে এবং পুরুষ মাত্র ০.৮ ঘণ্টা কাজ করে।
জেন্ডার সমতার ক্ষেত্রে এসডিজি ৫ অর্জন করতে চাইলে অবশ্যই নারীর এই অস্বীকৃত গৃহস্থালির কাজকে মূল্যায়ন করতে হবে। বিষয়টি টার্গেট ৫.৪ এবং সূচক ৫.৪.১-এ সুনির্দিষ্টভাবে বলা আছে।
‘সময়ের ব্যবহার’ সংক্রান্ত সমীক্ষাটির জন্য সরকার ও বিবিএসকে ধন্যবাদ দিয়ে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) জানায়, ‘আমরা আশা করছি, এই টাইম সার্ভে বা সময়ের ব্যবহারের হিসাবটি জাতীয় জিডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ’
এমজেএফ পরিবারে নারীর এই অবৈতনিক ও সেবামূলক কাজগুলোকে মূল্যায়ন করে তা জাতীয় জিডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ২০১২ সাল থেকে দেশব্যাপী ‘মর্যাদায় গড়ি সমতা’ শীর্ষক একটি প্রচারাভিযান চালিয়ে আসছে। প্রচারাভিযানের অংশ হিসেবে এবং নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে এই বিষয়টি তুলে ধরার জন্য এমজেএফ গত ১০ বছরে অসংখ্য কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
এমজেএফের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, ‘আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করছি, যাতে কিছু নতুন বিশ্লেষণ উপস্থাপন এবং সুপারিশ প্রণয়ন করার মাধ্যমে নারীর অ-অর্থনৈতিক কাজকে তুলে ধরা যায়। এই জরিপের মাধ্যমে সেই তথ্যগুলোই উঠে এসেছে। ’
এমজেএফসহ আরো কিছু প্রতিষ্ঠান এসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নীতিমালা ও পদক্ষেপ গ্রহণ করার লক্ষ্যে জাতীয় আয় পরিমাপের পদ্ধতি (এসএনএ) সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছে। তারা স্যাটেলাইট অ্যাকাউন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে নারীর অবমূল্যায়িত কাজকে তুলে ধরার কথা বলছে।