1. rashidarita21@gmail.com : bastobchitro :
দেশের ৩০ শতাংশ মানুষ থাইরয়েড সমস্যায় ভুগছে | Bastob Chitro24
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৮ পূর্বাহ্ন

দেশের ৩০ শতাংশ মানুষ থাইরয়েড সমস্যায় ভুগছে

ঢাকা অফিস
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৫ মে, ২০২২

বিশ্ব থাইরয়েড দিবস আজ

বিশ্ব থাইরয়েড দিবস আজ। বর্তমানে বিপুল জনগোষ্ঠী থাইরয়েড রোগে আক্রান্ত। এদের অর্ধেকের বেশীই জানে না, তারা থাইরয়েড সমস্যায় ভুগছে। বাংলাদেশে থাইরয়েড সমস্যার সকল ধরণকে এক সাথে হিসেব করলে তা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশের কাছাকাছি। প্রাপ্ত বয়স্ক নারীদের প্রায় ২ শতাংশ এবং পুরুষদের প্রায় শূন্য দশমিক ২ শতাংশ হাইপারথাইরয়েডিজম (থাইরয়েড হরমোনের বৃদ্ধি জনিত সমস্যা) রোগে ভোগে। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব থাইরয়েড দিবস। ২০০৯ সাল থেকে সারা বিশ্বে এ দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইাট (বিইএস) প্রতিবারের মত এ বছরও দিবস উদযাপনে উদ্দ্যোগ গ্রহণ করেছে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বিইএস ‘গর্ভাবস্থায় থাইরয়েড রোগ চিকিৎসার গাইডলাইন’ প্রকাশ করা হবে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে এ রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেশি। প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ, নারীদের মধ্যে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে ৯.৪ শতাংশ হারে হাইপোথাইরয়েডিজম (থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি জনিত সমস্যা) থাকতে পারে। এছাড়া প্রায় ৭ শতাংশ নারী ও পুরুষ সাবক্লিনিক্যাল হাইপোথাইরয়েডিজমে ভুগে থাকে। নবজাতক শিশুদেরও থাইরয়েডের হরমোন ঘাটতি জনিত সমস্যা হতে পারে এবং তার হার ১০ হাজার জীবিত নবজাতকের জন্য ২-৮ হতে পারে। বাড়ন্ত শিশুরাও থাইরয়েড হরমোন ঘাটতিতে ভুগতে পারে। এ সময় থাইরয়েডের হরমোন ঘাটতি হলে শিশুদের দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। পরবর্তী সময়ে দৈহিক বৃদ্ধির সমতা আনয়ন করা গেলেও মেধার উন্নতি করা সম্ভব হয় না। অর্থাৎ শিশু-কিশোরদের হাইপোথাইরয়েডিজম হলে তা দ্রুত সমাধান করা না গেলে বুদ্ধি-বৃত্তির বিকাশ স্থায়িভাবে ব্যাহত হবে।
ঐতিহাসিক ভাবে বাংলাদেশ একটি গলগন্ড বা ঘ্যাগবহুল মানুষের দেশ। দৃশ্যমান গলগন্ড রোগীর সংখ্যা আগের তুলনায় কিছুটা কমে থাকলেও তা কোন ভাবে প্রাপ্ত বয়স্কদের মাঝে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ নয়। থাইরয়েড ক্যান্সারের রোগীর সংখ্যাও বৃদ্ধির দিকে। বাংলাদেশের সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও গলগন্ড রোগীদের ৪ দশমিক ৫ শতাংশের কাছাকাছি থাইরয়েড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হয়।
থাইরয়েড গ্রন্থিটি গলার সামনের দিকের অবস্থিত। গ্রন্থিটি দেখতে প্রজাপতি সাদৃশ এবং এটি ট্রাকিয়া বা শ্বাসনালিকে প্যাঁচিয়ে থাকে। যদিও এটি একটি ছোট গ্রন্থি, কিন্তু এর কার্যকরীতা ব্যাপক। থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোন মানব পরিপাক প্রক্রিয়ায় অন্যতম ভূমিকা পালন করে। ভ্রুণ অবস্থা থেকে আমৃত্যু থাইরয়েড হরমোনের প্রয়োজন অপরিহার্য। এ হরমোনের তারতম্যের জন্য শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি, শরীর মোটা হওয়- ক্ষয় হওয়া, মাসিকের বিভিন্ন সমস্যা, ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা, হার্টের সমস্যা এবং চোখ ভয়ঙ্করভাবে বড় হয়ে যেতে পারে। বন্ধ্যাত্বের অন্যতম কারণ হিসেবে থাইরয়েড হরমোনের তারতম্যকে দায়ী করা হয়। শারীরিক কার্যক্ষমতা সঠিক রাখার জন্য নির্দিষ্ট মাত্রায় এ হরমোন শরীরে থাকা একান্ত জরুরী।
এ প্রসঙ্গে বাইএস’র মহাসচিব ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, থাইরয়েড হরমোনের পরিমান স্বাভাবিক থেকেও থাইরয়েড গ্রন্থি ফুলে যেতে পারে। সাধারণত আয়োডিনের অভাবে গলাফুলা রোগ হয়ে থাকে, যাকে আমাদের সাধারণ ভাষায় ঘ্যাগ রোগ বলা হয়। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে আমাদের বেশিরভাগ স্কুলগামী শিশু এবং গর্ভবতী মায়েদের আয়োডিনের অভাব রয়ে গেছে। এ আয়োডিন শরীরে অতি প্রয়োজনীয় থাইরয়েড হরমোন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। দুঃখের বিষয় সারা পৃথিবীতে এখনও ২ হাজার মিলিয়ন লোক আয়োডিনের অভাবে ভুগছেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
প্রযুক্তি সহায়তায়: রিহোস্ট বিডি