অনলাইন ডেস্ক :
কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমার থেকে এসেছে ১২০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে মিয়ানমারের আকিয়াব বন্দর থেকে এসব পেঁয়াজ দেশে আসে। দেশের বাজারে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিতিশীল অবস্থায় আমদানিকৃত পেঁয়াজ কিছুটা স্বস্তি ফেলবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
টেকনাফ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ৪২ দিন ধরে মিয়ানমারের সঙ্গে এই স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল।
মঙ্গলবার সকালে মেসার্স ফারুক ট্রেডার্সের মাধ্যমে ১২০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ও ৮০ মেট্রিক টন শুকনা সুপারি টেকনাফ স্থলবন্দরে এসেছে। এসব পেঁয়াজ ট্রলার থেকে খালাস করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স ফারুক ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী ওমর ফারুক বলেন, মিয়ানমারে আরো ৬০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ পড়ে রয়েছে। সে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে পণ্য আমদানি সামগ্রিকভাবে বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
টেকনাফ স্থানীয় বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মঙ্গলবার দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে স্থানীয় বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের মতো মিয়ানমারের পেঁয়াজেরও কদর রয়েছে। খুচরা বাজারে ১৫০ টাকার মধ্যে মিয়ানমারের পেঁয়াজ পাওয়া যাবে এমনটি আশা করছেন ভোক্তারা।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সংঘর্ষ চলছে।
এ কারণে রাখাইনের জেলা শহর মংডু ও আকিয়াব বন্দর থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে পণ্য আসা বন্ধ হয়ে ছিল। দীর্ঘ ৪২ দিন পর টেকনাফ স্থলবন্দরে মিয়ানমার থেকে পণ্য আমদানি পুনরায় শুরু হয়।
সূত্র :কালের কন্ঠ