ষ্টাফ রিপোর্টার:
কানাডিয়ান কোম্পানি নাম ভাঙ্গিয়ে দুবাই ভিত্তিক ফলস কোম্পানি (MTFE) রোবট কাজ করবে, নিজেদের নিষ্ক্রিয় ভূমিকা ।
এ্যাপসের মাধ্যমে টাকা দিয়ে রাতারাতি বড়লোক হবার প্রলোভন দেখিয়ে,১৮ আগষ্ট-২০২৩ লক্ষ লক্ষ মানুষের চোখে ধোকা দিয়ে ৫০-৬০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গেল।
সি ই ও মিজান এবং সহকারী মাসুম আলী উমরাহ পালনের নামে দেশত্যাগী।
কোটিপতি হবার স্বপ্ন দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে সর্বহারা করে হাতিয়ে নিয়েছে (ক্রিপ্টোকারেন্সি ) দুবাই ভিত্তিক একটি কোম্পানি।
কুষ্টিয়াতে প্রথম এ্যাপসটা নিয়ে আসে কুমারখালী ফেমাস কিন্ডারগার্টেন স্কুলের পরিচালক মিজানুর রহমান এবং মাসুম আলী।
মাসুম আলী পুলিশের সার্জেন্ট হিসেবে অনেকদিন কাজ করেছে আইটি শাখায় ।পরবর্তীতে, চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে কোটিপতি হবার মোহে(MTFE) কোম্পানির ব্রান্ড এ্যাম্বাসেডর নিয়োগ পেলেন । দেড় কোটি টাকা দেখিয়ে সি ই ও মিজানুর রহমানের যোগসাজশে, আলিশান অফিস শো করে উচ্চপদস্থ ব্যক্তি এবং মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তদেরও টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
কুমারখালীর ৫০ /৬০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে উমরাহ পালনের নাম ভাঙ্গিয়ে আত্মগোপনে।
এ ব্যাপারে সি ই ও মিজানুর রহমানের স্ত্রী ফেমাস কিন্ডারগার্টেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সুমাইয়া জেনী সুমি মুখ খুলতে চাইনি।
ভুক্তভোগী জনগণের দাবি তাদের টাকা কুমারখালীর মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
মিজানুর রহমান ও মাসুম আলীর পরিবার কে জিজ্ঞাসা বাদে অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে। ধারকর্য করে সোনদানা বিক্রি করে অনেকেই নিঃস্ব হয়েছে।
জানা যায় যে, গত মাসে মিজান তার বাটিকামারা বাড়ির পাশে সত্তর লাখ টাকার জমি কিনেছে।
কুমারখালি মসজিদ গলিতে তার ফেমাস কেয়ার নামে ব্যক্তিগত অফিস ও একই নামে কিন্ডার কার্টেন স্কুল আছে।যেখানে তার স্ত্রী সুমাইয়া জেনি সুমিকে প্রধান দায়িত্বে বসানো হয়েছে।
সে তার জাল আরো বিস্তারের উদ্দেশ্যে শর্ত পূরণ সাপেক্ষে প্রচুর সিইও নিয়োগ করে তাদের দিয়ে MTFE এর অর্থায়নে সেমিনার চালায়।সাধারণ জনগণ সিইওদের চেনে বলে তারা তাদের কাছেই যাচ্ছে।
অথচ মিজান গ্রুপের প্রতারণার শিকার সিইওগণও। জনগণের দাবি প্রশাসন এ ব্যাপারে নজর দেবে এবং সুষ্ঠু তদন্ত হোক।
উল্লেখ্য যে গত দুইমাস ধরে তারা এ্যাপসের আপডেটের কথা বলে উইথড্র বন্ধ রাখে। ফাইনালি বন্ধ করে দেয় গত ১৮ আগস্ট ।
তার আগের দিনও প্রতারক মিজান ট্রেডারদের উদ্দেশ্যে এসএমএস ও ভয়েস পাঠায়।
এরপর এ্যাপসে সবার ব্যালেন্স ঋণাত্নক দেখায় এবং উল্টো ট্রেডারদের ব্যক্তিগত একাউন্টে নোটিশের মাধ্যমে ভয় দেখানো হয় যে কোম্পানির কাছে তারা দেনা।এটা পরিশোধ না করলে কানাডা কোর্ট থেকে তাদের বিরুদ্ধে লিগাল নোটিশ পাঠানো হবে।
এখন এই প্রতারক চক্র মিজান ও মাসুম আলীর বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইমের আওতায় বিচারের দাবি সকল ভুক্তভোগীদের।