যৌতুক দাবি ও নির্যাতনের অভিযোগে স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় স্থায়ী জামিন পেয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার আল-আমিন হোসেন।
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) ঢাকার ৮ নং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুর রহমান মাসুম বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এ মামলায় গত ৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে আগাম জামিন আবেদন করেন আল-আমিন। পরের দিন হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তার আট সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর করেন।
আট সপ্তাহ পরে তাকে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসর্মপণ করার জন্য বলেন আদালত। আজ হাইকোর্টের দেয়া জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৮ নং আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে স্থায়ী জামিনের আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।
এর আগে বৈবাহিক সম্পর্কের তিক্ততা বৃদ্ধি ও অনৈতিক কার্যকলাপের কারণে গত ২৫ আগস্ট স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন বলে আদালতে দেয়া লিখিত জবাবে জানান আল আমিন। যদিও আল আমিনের স্ত্রী ইসরাত জাহান বলেন, আমি তালাকের বিষয়ে কিছুই পাইনি। আমি ন্যায়বিচার পাচ্ছি না। আমি ন্যায়বিচার চাই।
গত পহেলা সেপ্টেম্বর আল-আমিনের বিরুদ্ধে যৌতুক ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ এনে ভিন্ন দুটি ধারায় মামলা করেন তার স্ত্রী ইসরাত জাহান।
স্ত্রীর করা অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছিলেন আল-আমিন। এক পর্যায়ে সংবাদ সম্মেলন করে স্ত্রীর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তোলেন তিনি। দাবি করেন পরকীয়ায় লিপ্ত হয়ে ক্যারিয়ার ধ্বংস করাই ছিল তার স্ত্রীর উদ্দেশ্য।
এ সময় স্ত্রীর পরকীয়ার কয়েকটি নমুনা যেমন-মোবাইলে কথা বলার বিভিন্ন ফুটেজ ও স্ক্রিনশটও তুলে ধরেছিলেন আল-আমিন। তিনি বলেন, ‘আমি ঘরোয়া ও জাতীয় ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ত থাকি। বেশির ভাগ সময় বাড়ির বাইরে থাকতে হয়। আর আমার স্ত্রী মা-বাবার সঙ্গে থাকে। সে মাঝরাতে দরজা বন্ধ করে পরপুরুষের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলে। এ নিয়ে অনেকবার ঝগড়া হওয়ায় বেশ কয়েকটি ফোনও ভেঙে ফেলা হয়েছে।