দেশের সাত জেলায় সড়কে নিহত হয়েছেন ১৩ জন। এসব ঘটনায় আহত হয়েছে আরো বেশ কয়েকজন। এর মধ্যে চাঁদপুর ও চুয়াডাঙ্গাতে ছয়, খুলনা, হবিগঞ্জ, রাজশাহী, নোয়াখালীতে পৃথক ঘটনায় সাতজন নিহত হন। গত শুক্রবার ভোর এবং শনিবার বিভিন্ন সময়ে এসব দুর্ঘটনা সংঘঠিত হয়। আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো খবরে :
খুলনা ব্যুরো জানায়, খুলনায় ট্রাকের ধাক্কায় আব্দুল জলিল নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল সকাল পৌনে ১০ টার দিকে নগরীর হরিণটানা থানাধীন জিরো পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ঘাতক ট্রাক ও চালককে আটক করতে পারেনি পুলিশ। হরিণটার থানার অফিসার ইনচার্জ মো. এমদাদুল হক জানান, সকাল পৌনে ১০টার দিকে আব্দুল জলিল সাইকেল চালিয়ে কৈয়া বাজার থেকে জিরো পয়েন্টের দিকে আসে। এ সময় বিপরীত দিক থেকে ট্রাক তাকে ধাক্কা দেয়। নিহত ব্যক্তি সোনাডাঙ্গা থানা এলাকার বাসিন্দা।
নোয়াখালী ব্যুরো জানায় : বেগমগঞ্জে পৃথক ঘটনায় দু’জন নিহত হয়েছেন। তাদের নাম-পরিচয় না পাওয়ায় লাশগুলো ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। উপজেলার চৌমুহনী চৌরাস্তা ও বেগমগঞ্জ মডেল থানার সামনে গতকাল ভোরে এ ঘটনাটি সংঘঠিত হয়েছে। স্থানীয়রা নিহতদের শনাক্ত করতে পারেননি।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহীর দুর্গাপুর পৌর এলাকায় সালমান হোসেন নামের এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। গতকাল সকাল ১০টার দিকে পৌর এলাকার দেবিপুর-শ্যামপুর রাস্তায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত স্কুলছাত্র দেবিপুর গ্রামের রহিদুল ইসলামের ছেলে। সে শ্যামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র। দুর্গাপুর থানার ওসি নাজমুল হক জানান, ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ট্রাক্টরটি জব্দ করেন। স্কুলছাত্রের লাশ দাফনের জন্য পরিবারকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে অভিযোগ করলে তদন্তপুর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্টাফ রিপোর্টার, চাঁদপুর থেকে জানান, সদর উপজেলা বাগড়াবাজার এলাকায় গত শুক্রবার ভোর রাতে চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ-রায়পুর সড়কে তিনজন নিহত হয়েছেন। তাদের সবার বাড়ি ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকায়। নিহতরা হলেন করিম পাটওয়ারীর পুত্র মাসুদ পাটওয়ারী, কাদির পাটওয়ারীর পুত্র লিটন ও রিপন গাজী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার রাতে ফরিদগঞ্জ থেকে অটোরিকসা করে তিনজন চাঁদপুরের দিকে যাচ্ছিলো। বিপরীত দিক থেকে সিলিন্ডার গ্যাস বোঝাই একটি ট্রাক ওই রিকসাকে ধাক্কা দেয়। এতে চালক ও যাত্রীরা রাস্তায় ছিটকে পড়ে। ঘটনাস্থলেই একজন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও দু’জনের মৃত্যু হয়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা সংবাদদাতা জানান, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। গতকাল দুপুরে উপজেলার জাফরপুর এলাকার জেলা যুব উন্নয়ন অধিদফরের সামনে এ ঘটনা সংঘঠিত হয়। নিহতরা হলেন, পৌর এলাকার ফার্মপাড়ার সিরাজুল ইসলামের ছেলে টুনু হোসেন আনন্দ, একই এলাকার নুরনগর কলোনীপাড়ার কিতাব আলীর ছেলে মিঠু মিয়া ও সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার মনোরঞ্জন হালদারের ছেলে মুক্তা হালদার। এছাড়া এ ঘটনায় রনি আহমেদ নামে একজন আহত হয়েছেন।
হবিগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, হবিগঞ্জের বাহুবলে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে দু’জন নিহত হয়েছে। নিহত একজন ঢাকার কেরাণীগঞ্জ এলাকার আলী মিয়ার ছেলে লিটন শেখ, অপরজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। গতকাল দুপুরে এ ঘটনা ঘটেছে। শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি সালেহ উদ্দিন জানান, গতকাল শনিবার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাহুবল উপজেলার বাগানবাড়ি এলাকায় একটি দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাককে সিলেটগামী অপর একটি ট্রাক ধাক্কা দেয়। এতে দুই ট্রাকের সহকারি আহত হয়। গুরুতর অবস্থায় তাদের বাহুবল ও হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পুঠিয়া (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, পুঠিয়ায় ট্রাক ও লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষে আক্তার হোসেন নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছে। নিহত বৃদ্ধ আক্তার হোসেন নাটোর জেলার সদর উপজেলার আলাইপুর এলাকার বাসিন্দা। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার সময় উপজেলার ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের ছোট সেনভাগ স্থানে এ ঘটনাটি সংঘঠিত হয়।