হার দিয়ে বিপিএল শুরু করেছিল সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশাল। সেই দলটিই কিনা জিতল টানা পাঁচ ম্যাচ। শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকা ডমিনেটর্সকে হারানোর মধ্য দিয়ে এই স্বাদ নিয়েছে তারা।
বরিশালের বিপক্ষে ঢাকা হেরেছে ১৩ রানে। সাকিবদের ১৭৩ রানের জবাবে নির্ধারিত ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ঢাকার ফ্র্যাঞ্চাইজিটি করেছে ১৬০ রান। আপ্রাণ চেষ্টা করেও দলকে জয়ের স্বাদ এনে দিতে পারেননি ঢাকার অধিনায়ক নাসির হোসেন। শেষ পর্যন্ত ৩৬ বলে ৫৪ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে রান তাড়া করতে নেমে ৪৬ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন সৌম্য সরকার ও উসমান গনি। গনি ১৯ বলে ৩০ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে আউট হন করিম জানাতের বলে। স্কোরবোর্ডে আর ৪ রান যোগ হওযার পর সৌম্য চতুরাঙ্গা ডি সিলভার শিকার হন। ইমরান ৮ বল খেলে ৩ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ফলে চাপে পড়ে ঢাকা।
এরপরও ঢাকাকে জয়ের পথে রাখেন নাসির হোসেন ও মোহাম্মদ মিঠুন মিলে। দুজনে মিলে গড়েন ৮৯ রানের জুটি। সেই জুটি ভাঙে ওয়াসিমের ওভারে। তার শিকার হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় মিঠুনকে। ৩৮ বলে ৪৭ রান করেন ঢাকার উইকেটকিপার। নাসিরের ৩৬ বলের ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ২টি ছয়ের মার। আরিফুল হক করেন ৫ রান।
এর আগে ইফতিখার আহমেদের ৫৬ রানে ভর করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান তোলে বরিশাল। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি তাদের। দ্বিতীয় ওভারেই তারা হারায় সাইফ হাসানের উইকেট। সালমান ইরশাদের বলে তাসকিনের হাতে ধরা পড়া সাইফ ৬ বলে ১০ রান করেন। ঢাকার অধিনায়ক নাসির পরের ওভারে বল তুলে দেন আরাফাত সানির হাতে। তার ওভারের পঞ্চম বলটি এনামুল হক খেলেন কভার অঞ্চলে। ঝড়ের বেগে যেতে থাকা সেই বল এক হাতে লুফে নেন তাসকিন।
চতুরাঙ্গা ডি সিলভা ও মেহেদী হাসান মিরাজ দুজনকেই শিকার করেন নাসির হোসেন। এর মধ্যে ডি সিলভা এলবিডব্লিউ ও মিরাজ বোল্ড হন। বরিশাল ৪ উইকেট হারানোর পর শুরু হয় সাকিব-ঝড়। জুবাইর লিখন ও মুক্তার আলিকে বেধম পেটানোর পর সাকিব আউট হন ১৭ বলে ৩০ রান করে।
এরপর ইফতিখার আহমেদ ও মাহমুদউল্লার ব্যাটে এগোতে থাকে বরিশালের ইনিংস। দুজনে মিলে মুহাম্মদ ইমরানের দ্বিতীয় ওভারে সর্বোচ্চ ১৪ রান তোলেন। ইফতিখার হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৩১ বলে। শেষ পর্যন্ত ৩৪ বলের ইনিংসে ৫টি চার ও ২টি ছয় হাঁকান তিনি। মাহমুদউল্লাহ ৩১ বলে করেন ৩৫ রান। ঢাকার হয়ে ২টি উইকেট নেন নাসির। একটি করে উইকেট পান সানি, মুক্তার আলি ও সালমান।