1. rashidarita21@gmail.com : bastobchitro :
সব কর্মকর্তা-কর্মচারী পাবেন মহার্ঘ ভাতা | Bastob Chitro24
বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৭ পূর্বাহ্ন

সব কর্মকর্তা-কর্মচারী পাবেন মহার্ঘ ভাতা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪

ঢাকা অফিস:

সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী মহার্ঘ ভাতা পাবেন বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান। গতকাল মহার্ঘ ভাতা ও বঞ্চনা নিরসন কমিটির প্রতিবেদন নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। অবসরে যাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও এ সুবিধা পাবেন। এরই মধ্যে মহার্ঘ ভাতার বিষয়ে কমিটি গঠন করেছে অর্থ বিভাগ। কত শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হবে, সেটি কমিটি ঠিক করবে বলেও জানিয়েছেন মোখলেস উর রহমান।মোখলেস উর রহমান বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা আছেন, তাদের জন্য একটি সুখবর দিতে চাই। যেহেতু পে কমিশন করা একটি দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। অন্তর্বর্তী সময়ে একটি মহার্ঘ ভাতা কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে আমিও আছি। আমরা সামনের সপ্তাহে প্রথম সভা করব। এবার যাতে মহার্ঘ ভাতা সুবিধা অবসরে যাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও পান, সে ব্যাপারে সরকার একমত। এটা অত্যন্ত সময়োপযোগী। যাতে এটা ইমিডিয়েট দেওয়া যায়, সে ব্যাপারে আমাদের সুপারিশ থাকবে। তবে এটা দুটো ধাপে হতে পারে। একটা অফিসারদের জন্য একটু কম এবং স্টাফদের জন্য একটু বেশি, যাতে ব্যালান্সিং হয়। পিয়ন থেকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব পর্যন্ত সবাই এই মহার্ঘ ভাতা পাবেন। আরেকটা হবে পেনশনারদের জন্য।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, দেশে সরকারি চাকরিজীবীর সংখ্যা সাড়ে ১৪ লাখের বেশি। নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে জীবনযাপনে কুলিয়ে ওঠার জন্য যে বিশেষ ভাতা দেওয়া হয়, তাকে মহার্ঘ ভাতা বলা হয়। এতে মূল বেতনের নির্দিষ্ট শতকরা অংশ বেতনের সঙ্গে অতিরিক্ত দেওয়া হয়, অর্থাৎ মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হলে কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন বাড়বে।

মূল্যস্ফীতি থাকলেও অর্থনৈতিক সংকটে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন পে স্কেল দেওয়ার পরিকল্পনা নেই সরকারের। এ কারণে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার উদ্যোগ নেয় সরকার। এর অংশ হিসেবে একটি পর্যালোচনা কমিটিও গঠন করা হয়। সরকারি কাজে নিয়োজিত জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫-এর আওতাভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা সংস্থানের বিষয়টি পর্যালোচনা করে সুপারিশ করার জন্য এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে, মহার্ঘ ভাতার প্রযোজ্যতা ও প্রাপ্যতার বিষয় পর্যালোচনা করবে এবং প্রয়োজনীয় সুপারিশ দাখিল করবে কমিটি।

সাধারণত পাঁচ বছর অন্তর একটি নতুন বেতন স্কেল ঘোষণা করার কথা। সর্বশেষ ২০১৫ সালের জুলাইয়ে অষ্টম বেতন স্কেল কার্যকর হয়। সে সময় নতুন স্কেলের সুপারিশ না করলেও মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিয়ে বার্ষিক বৃদ্ধির (ইনক্রিমেন্ট) প্রস্তাব ছিল বেতন কমিশনের। ২০২৩ সালের জুলাইয়ের আগ পর্যন্ত প্রতিবছর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ৫ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট পান। এদিকে বাড়তি মূল্যস্ফীতিতে বেতন বাড়াতে নতুন পে স্কেল ঘোষণাসহ বেশ কিছু দাবি জানিয়ে আসছিলেন সরকারি চাকরিজীবীরা। এমন পরিস্থিতিতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে ২০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল অর্থ মন্ত্রণালয়। পরে তা কার্যকর না হলেও মূল বেতনের ৫ শতাংশ বাড়তি প্রণোদনা দেওয়া হয়।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, প্রায় আড়াই বছর ধরে দেশে ৯ শতাংশের বেশি মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। এ প্রেক্ষাপটে ২০২৩ সালের জুলাইয়ে বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়, যা এ অর্থবছরেও চলমান। তবে প্রায় ৯ বছর নতুন পে স্কেল না হওয়ায় বাড়তি মূল্যস্ফীতিতে জীবনযাপনে হিমশিম খাচ্ছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণা করাও যৌক্তিক হবে না। এ অবস্থায় গঠিত কমিটি মহার্ঘ ভাতার পরিমাণ নির্ধারণের পাশাপাশি বাড়তি ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট বলবৎ থাকবে কি না, তা চূড়ান্ত করবে। সাধারণত মহার্ঘ ভাতা বিশেষ পরিস্থিতিতে দেওয়া হয়। তাই এ ভাতা মূল বেতনের সঙ্গে যুক্ত হয় না। ফলে তাদের বাড়ি ভাড়াসহ অন্য কোনো ভাতার হেরফের হয় না।
সূত্রঃআমাদের সময়

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
প্রযুক্তি সহায়তায়: রিহোস্ট বিডি