পদ্মা সেতু নির্মাণবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করার নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের বিষয়ে আদেশ আজ। গতকাল সোমবার ইতোপূর্বে জারিকৃত রুলের ওপর শুনানি হয়। আজও এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রযেছে। গতকালের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের ডিভিশন বেঞ্চ আদেশের এ তারিখ নির্ধারণ করেন।
শুনানিকালে পদ্মা সেতুকে জাতীয় সম্পদ ও দেশের অহঙ্কার আখ্যা দিয়ে আদালত বলেন, যারা এমন জাতীয় সম্পদের বিরোধিতা করবে তারা জাতির শত্রু। তাদের চিহ্নিত করা জরুরি। আদালত প্রশ্ন রাখেন, ষড়যন্ত্র না থাকলে পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন বন্ধ করলো কেন?
শুনানিকালে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। সরকারপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিনউদ্দিন মানিক শুনানিতে অংশ নেন। আদালত থেকে বেরিয়ে তিনি জানান, পদ্মা সেতু নিয়ে জারিকৃত রুলের বিষয়ে গত ২৬ জুন আদালতে উপস্থাপন করা হয়। আদালত পরে তা শুনানির জন্য ২৭ জুন তারিখ নির্ধারণ করেন। শুনানি হয়েছে। মঙ্গলবারও শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। ওইদিন এ বিষয়ে আদেশ দেবেন আদালত। প্রসঙ্গত: ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি দৈনিক ইনকিলাব ‘ইউনূসের বিচার দাবি: আওয়ামী লীগ ও সমমনা দলগুলো একাট্টা’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ১৫ ফেব্রুয়ারি ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন। রুলে পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির মিথ্যা গল্প সৃষ্টিকারী কে তা জানতে চেয়ে এবং প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- এই মর্মে রুল জারি করেন। একই সঙ্গে ‘ইনকোয়ারি অ্যাক্ট ১৯৬৫ (৩ ধারা)’ অনুসারে কমিশন গঠন এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- জানতে চাওয়া হয়। সংশ্লিষ্টদের কেন বিচারের মুখোমুখি করা হবে না- জানতে চাওয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন ও যোগাযোগ সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, যোগাযোগ সচিব ও দুদক চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। কমিটি বা কমিশন গঠনের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সে বিষয়ে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন। এরপর রুল শুনানির বিষয়টি আদালতের দৃষ্টিতে আনা হয়।