শীতকাল মানেই শুষ্ক ত্বকের সমস্যা। বাতাসে আর্দ্রতার অভাবে এই ঋতুতে শুধু হাত-পায়ের ত্বকই নয়, মাথার স্ক্যাল্পও (ত্বক) শুষ্ক হয়ে যায়। অতিরিক্ত শুষ্ক স্ক্যাল্পে ফাঙ্গাস দ্রুত বংশ বিস্তার করার ফলেই খুশকির সমস্যায় নাজেহাল হতে হয়। যার ফলে চুলকানি, চুল পড়া আরও বেড়ে যায়।
শুষ্ক মাথার ত্বকের সমাধান রয়েছে আপনার হাতের মুঠোয়। আমাদের ঘরেই এমন অনেক জিনিস রয়েছে, যেগুলো স্ক্যাল্পের শুষ্কভাব কমায় নিমেষেই। আসুন ঘরোয়া উপায়েই এ সমস্যার সমাধানের উপায় জানি:
টি ট্রি অয়েল: টি ট্রি অয়েলে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল গুণ। যে কারণে শুষ্ক স্ক্যাল্পের চিকিৎসায় অত্যন্ত কার্যকর এই তেল। নারকেল তেল বা জোজোবা বা অলিভ অয়েলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে স্ক্যাল্পে লাগান। খানিকক্ষণ ম্যাসাজ করুন। তারপর আরও ১০ মিনিট অপেক্ষা করে তেলের মিশ্রণটি লাগিয়ে রেখে শ্যাম্পু করে নিন।
ক্যাস্টর অয়েল: এই তেল স্ক্যাল্পের শুষ্কভাব এবং চুলকানি দূর করতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে ক্যাস্টর অয়েল ভালো ভাবে মিশিয়ে স্ক্যাল্পে লাগান। আধা ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে ফেলুন।
অ্যালোভেরা: অ্যালোভেরায় রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য। এর পাশাপাশি স্ক্যাল্প ময়েশ্চারাইজ করে এই প্রাকৃতিক উপাদান। শ্যাম্পু করার আগে মাথার ত্বকে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ।
আপেল সাইডার ভিনেগার: পানির সঙ্গে আপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে নিন ভালো ভাবে। মাথার ত্বকে এই মিশ্রণটি লাগিয়ে মিনিট পাঁচেক অপেক্ষা করুন। তারপর ধুয়ে নিন।
নারকেল তেল: খুশকি এবং শুষ্ক স্ক্যাল্পের ক্ষেত্রে নারকেল তেল খুবই সহায়ক। চুলে ও স্ক্যাল্পে তেল ভালো ভাবে লাগিয়ে বেশ কিছুক্ষণ রেখে দিন। তারপর শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার লাগিয়ে নিন।
কলা, মধু এবং অ্যাভোকাডো মাস্ক: সপ্তাহে একবার হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করা চুল ও স্ক্যাল্পের জন্য খুবই উপকারী। হেয়ার মাস্ক স্ক্যাল্পকে ময়েশ্চারাইজ করে এবং শুষ্কভাব কমায়। পাকা কলা এবং অ্যাভোকাডো মিহি করে পেস্ট করে নিন। এর সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে স্ক্যাল্পে ভালো করে লাগিয়ে নিন। আধা ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে ফেলুন।
নারকেল তেল, অলিভ অয়েল, মধু এবং টক দই: দুই চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে দুই চামচ অলিভ অয়েল, দুই চামচ মধু ও দুই চামচ টক দই ভালো করে মিশিয়ে নিন। স্ক্যাল্পে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করুন এই মিশ্রণ দিয়ে। আধা ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে নিন।
সুত্র:আমাদের সময়