ফুটবল বিশ্বকাপ জয়, আর্জেন্টিনার মানুষের সব দুঃখ-কষ্ট ভুলিয়ে দিয়েছে। এমনটাই মনে করেন আর্জেন্টিনার সাবেক অধিনায়ক হুয়ান সেবাস্তিয়ান ভেরন। বিশ্বকাপ জয়ের পর মেসিকে ম্যারাডোনার সঙ্গে একই কাতারে রাখছেন তিনি। ভেরন আরও জানান, এখন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর চেয়ে অনেক এগিয়ে লিওনেল মেসি।
তিন যুগের অপেক্ষা। অবশেষে ধরা দিয়েছে মুহূর্তটা। বিশ্বকাপ শিরোপার স্বাদ পেয়েছে তৃষ্ণার্ত হৃদয়। এত আনন্দ সইবে কী করে আর্জেন্টাইনরা! সাধারণ মানুষ তো বটেই, ফুটবল আইকনরাও যে আনন্দে আত্মহারা। ট্রফিটার সোনালি রং যেন ছড়িয়ে পড়েছে আকাশি-নীল পতাকায়।
মনের আনন্দ প্রকাশ করতে গিয়ে হুয়ান সেবাস্তিয়ান ভেরন বলেন, ‘আর্জেন্টিনা ফুটবল দল যেটা হয়েছে, তা এককথায় অসাধারণ। দেশের মানুষ সমস্ত দুঃখ-কষ্ট ভুলে গেছে। আর্জেন্টিনার সব সমস্যা যেন একপাশে চলে গেছে। ফুটবল যেমন হৃদয় ভাঙতে পারে, তেমনি সবকিছু এভাবে ভুলিয়েও দিতে পারে।
ওবেলিস্ক স্কয়ারের জনসমুদ্র দেখেই টের পাওয়া যায়, এ মহোৎসব শেষ হচ্ছে না এখনই। বুয়েনোস আইরেস থেকে রোজারিও, সবখানে ভালোবাসায় সিক্ত আলবিসেলেস্তেদের রাজা লিওনেল মেসি। এলএমটেনের বন্দনায় সাবেক ফুটবলাররাও। গ্রেইট ম্যারাডোনার মতো মেসিও এখন তাদের অলটাইম ফেবারিট।
সাবেক অধিনায়ক ভেরন বলেন, ‘আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের এমন একটা সমাপ্তি মেসির প্রাপ্য ছিল। মেসি এবং ম্যারাডোনা, দুজনই নিজ নিজ সময়ে রাজত্ব করেছে। আর এই বিশ্বকাপের পর বলাই যায়, তারা একই কাতারে। তবে, চিন্তার বিষয় হলো এখন জাতীয় দলের কী হবে? ম্যারাডোনার বিদায়ের পর যেটা হয়েছিল, মেসির ক্ষেত্রেও তা হতে পারে।
ক্যারিয়ারের শেষভাগে মেসিকে সতীর্থ হিসেবে পেয়েছিলেন হুয়ান সেবাস্তিয়ান ভেরন। কোচ ম্যারাডোনার অধীনে মেসির সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা আছে তার। লিওর প্রতিভায় মুগ্ধ হয়েছিলেন তখনই। সেরার মানদণ্ডে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে যে তুলনার কথা বলে অনেকে, তাতে স্বদেশি তারকাকে এগিয়েই রাখেন ভেরন।
তিনি বলেন, ‘মেসি-রোনালদোর মধ্যে কে সেরা, তা নিয়ে তর্ক হবেই। কিন্তু এখন নিঃসন্দেহে মেসি একধাপ এগিয়ে।’
আর্জেন্টিনার জার্সিতে ১৯৯৮, ২০০২ ও ২০১০ বিশ্বকাপ খেলেছেন ভেরন। কিন্তু কখনও ফাইনালের মঞ্চে উঠতে পারেননি। অবসরের পর সেই ভেরনই দেখলেন, পরের ৩ আসরের একটিতে চ্যাম্পিয়ন, আরেকটিতে রানার্সআপ মেসির আর্জেন্টিনা। আকাশি-নীল জার্সিতে থ্রি-স্টার বসানোর উপলক্ষ এনে দেয়ায় সুপারস্টারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সাবেক এ তারকা।