ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে শনিবার (৩ ডিসেম্বর)। দীর্ঘ সাড়ে চার বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এ সম্মেলন। সম্মেলনকে ঘিরে ইতোমধ্যেই উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে ঢাবি ক্যাম্পাসে।
শনিবার বিকেল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলন উদ্বোধন করবেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত থাকবেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
সম্মেলনের প্রস্তুতি বিষয়ে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন সংবাদমাধ্যমকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সম্মেলনের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। নির্বাচন কমিশন ও বিভিন্ন উপ-কমিটি করে দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুশাসনের আলোকে একটি সার্থক সম্মেলন আয়োজনের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটাতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
কারা আসছেন ঢাবি ছাত্রলীগের নেতৃত্বে, কোন এলাকা পাচ্ছে প্রাধান্য, কার পারিবারিক ঐতিহ্য কী- এসব নানা আলোচনায় এখন সরগরম বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন, টিএসসি, হাকিম চত্বর ও পিয়ারু চত্বর।
ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মীর কাছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতৃত্ব এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতৃত্ব প্রায় সমান গুরুত্বপূর্ণ। ফলে যারা কেন্দ্রীয় কমিটিতে আসার আলোচনায় আছেন, সেই তারাই আবার আসতে পারেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতৃত্বেও। অর্থাৎ দুই জায়গাতেই আগ্রহ আছে অনেক নেতার। ঢাবি ছাত্রলীগের নেতৃত্বের দৌঁড়ে এগিয়ে থাকবেন বিভিন্ন হল শাখার শীর্ষ নেতারা। আবার নারী নেত্রীদের সম্ভাবনাও দেখছেন কেউ কেউ।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, যারা দীর্ঘদিন পরিশ্রম করেছে, নিয়মিত ছাত্র, মেধাবী এবং পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, বিতর্কমুক্ত তাদের মধ্য থেকেই ঢাবি ছাত্রলীগের নেতৃত্ব আসবে। কেন্দ্রীয় কমিটি, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কিংবা হল শাখার যে কেউ নেতৃত্বে আসতে পারেন। সব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।