শীতের শুরুতে রাজশাহীর নওদাপাড়াসহ বড় বড় আড়তে সব ধরনের মাছের সরবরাহ বেড়েছে। এতে অন্যান্য সময়ের তুলনায় দাম কমেছে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত।
শুক্রবার (১১ নভেম্বর) ভোরে রাজশাহী নগরীর নওদাপাড়া মাছের আড়ত ঘুরে দেখা যায়, ভোর থেকেই সরগরম মাছের বাজার। সরবরাহ বাড়ায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে সরগরম এলাকা।
রাজশাহীর মোহনপুরের মাছচাষি আসাদুজ্জামান আকাশ জানান, বর্ষাকালে পুকুর থেকে মাছ ধরা কষ্টসাধ্য। শীতকালে পানি কিছুটা কমে যায়, সে কারণে মাছ ধরা সহজ হয়। তাই দাম কম জেনেও শীতের সকালে প্রায় ৩ মণ মাছ বিক্রি করতে বাজারে এনেছেন তিনি।
আরেক মাছচাষি সোহেল জানান, শীতকালে খাবারের তুলনায় আকারে কম বড় হয় মাছ। এ কারণে আগেভাগেই বিক্রি করে দেন চাষিরা। ফলে এ সময় মাছের সরবরাহ বাড়ে।
পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি গলদা চিংড়ি মাঝারি ৭০০ টাকা, বড় ১০০০ থেকে ১১০০ টাকা, সিলভার কার্প মাঝারি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, বড় ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মৃগেল ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, রুই ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা, কাতল ২৫০ থেকে ৪২০ টাকা, চাষের পাবদা ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, বাটা মাছ ১৭০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ থেকে ১৮০ টাকা, কালিবাউশ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, চাষের কই ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, পাঙাশ ১৪০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নওদাপাড়া ছাত্তার মাছের আড়তের মালিক রাজু আহমেদ বলেন, আড়তে বড় বড় দেশি ও কার্পজাতীয় মাছের সরবরাহ বাড়ায় গত এক সপ্তাহে কেজিতে দাম কমেছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। বাজারের এ পরিস্থিতি চলবে অন্তত আরও এক মাস। তবে দাম নিয়ে মাছচাষি ও ব্যবসায়ীরা অসন্তুষ্ট হলেও এতে ভোক্তারা খুশি।
মাহফুজুর রহমান রুবেল নামে এক ভোক্তা জানান, মাছের আমদানি বাড়ায় পাইকারি পর্যায়ে দাম কমা খুবই খুশির খবর। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আড়ত পর্যায়ে কমলেও পাড়া-মহল্লায় যারা ফেরি করে বিক্রি করে, তারা আগের দামেই বিক্রি করছে।
এদিকে আড়তদাররা জানিয়েছেন, শীতের শুরুতে সরবরাহ বাড়ার এ সময়ে নওদাপাড়া মাছ বাজারের ১৫টি আড়তে প্রতিদিন সাড়ে ৫শ মণ মাছ বিক্রি হয়। এতে লেনদেন হয় ৫০ লাখ টাকার মতো।