1. rashidarita21@gmail.com : bastobchitro :
রমজানে অস্থিরতা কমবে না চিনির বাজারে, শুল্ক কমানোর দাবি | Bastob Chitro24
শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০৪ অপরাহ্ন

রমজানে অস্থিরতা কমবে না চিনির বাজারে, শুল্ক কমানোর দাবি

ঢাকা অফিস
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আমদানি শুল্ক না কমালে আসন্ন রমজানে চিনির বাজারে চলমান অস্থিরতা কোনোভাবেই কমবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মিল মালিকরা।

রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) আসন্ন রমজান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি, মজুত, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং বাজার স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে করণীয় নির্ধারণে খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ী, বিভিন্ন বাজার সমিতি, উৎপাদনকারী, আমদানিকারক, সরবরাহকারীসহ সব অংশীজনকে নিয়ে এফবিসিসিআইর মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান তারা।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) সভাপতি জসিম উদ্দিন। তিনি যে কোনো মূল্যে আসন্ন রমজানে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম কমানোর ঘোষণা দেন।

এদিকে আসন্ন রমজানকে পুঁজি করে চিনির আমদানি শুল্ক কমানোর দাবি তোলেন মিল মালিকরা। শুল্ক না কমলে বাজারের অস্থিরতা কোনোভাবেই কমবে না, বরং রমজানে পণ্যের দাম আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন তারা।

মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের জ্যেষ্ঠ সহকারী মহাব্যবস্থাপক তসলিম শাহরিয়ার বলেন, গ্যাসের সমস্যার সমাধান এখনো হয়নি। প্রতি কেজি চিনিতে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা শুল্ক দিতে হয়। বিশ্ববাজারে চিনির দাম বাড়ছে। আট বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দামে পৌঁছে গেছে।

চিনি আমদানিতে শুল্কহার কমিয়ে তা পুননির্ধারণ না করা হলে, রমজানে স্বল্পমূল্যে চিনি খেতে পারবেন না ভোক্তারা, এমনটাই মন্তব্য করেন তিনি।

মিল মালিকদের এমন বক্তব্য ক্ষুব্ধ এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, রোজার জন্য সব পণ্যই পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। নাই, নাই বলে বাজারে কৃত্রিম অস্থিরতা তৈরির নাটক চলছে।

ডলার সংকটে এলসি (ঋণপত্র) জটিলতায় পর্যাপ্ত ভোজ্যতেল আমদানি করা যায়নি বলে উল্লেখ করেন মিল মালিকরা। তারপরও রমজানে বাজারে চাহিদামতো ভোজ্যতেল সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা।

সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, ‘ভোজ্যতেল, চিনি কী পরিমাণ আমদানি করতে হবে তা সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানানো হয়েছে। তারপরও ব্যাংকগুলো এলসির অর্থ পরিশোধ না করায় জাহাজ থেকে আমদানি করা চিনি খালাস করা যাচ্ছে না। রিজার্ভ থেকে ডলার সরবরাহ করার কথা থাকলেও বাংলাদেশ ব্যাংক এখনো দ্রুত অর্থছাড় করছে না।’

এ সময় ভারত থেকে চিনি আমদানির অনুমতি চান পাইকারি ব্যবসায়ীরা। এতে রমজানের আগে চিনির দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকায় নামিয়ে আনা সম্ভব হবে। মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বশির উদ্দিন বলেন, বর্তমানে খোলা চিনির দাম ১০৭ থেকে ১০৮ টাকা। যেখানে ভারতে প্রতিকেজি চিনির দাম ৪০ থেকে ৪৫ টাকা।

উল্লেখ্য, দেশে বছরে চিনির চাহিদা সাড়ে ২৪ লাখ টনের মতো। রোজায় ৩ লাখ টন চিনি প্রয়োজন হয়। বর্তমানে চিনি আমদানিতে ব্যবসায়ীদের ৬১ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। সে হিসাবে প্রতি কেজিতে শুল্ক দিতে হয় ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
প্রযুক্তি সহায়তায়: রিহোস্ট বিডি