মার্চে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে যা অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স প্রবাহে পরিবর্তন নির্দেশ করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো: সিরাজুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর প্রাধান্য রয়েছে। কিন্তু এখন অনেক বাংলাদেশী দক্ষ মানুষ উন্নত দেশে কাজ করায় পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের আগের রেকর্ড বিশ্লেষণ করে আমরা দেখতে পেয়েছি মধ্যপ্রাচ্যের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স প্রবাহ ধীরে ধীরে বাড়ছে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো উন্নত দেশগুলোতে ফ্রিল্যান্সিং কাজের কারণে রেমিট্যান্স আয় বৈচিত্র্যময় হবে।
রেমিট্যান্স নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, বাংলাদেশ মার্চে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩০৮ দশমিক ৮২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে যা এখন পর্যন্ত দেশটি থেকে এক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স।
মার্চে বাংলাদেশ সৌদি আরব থেকে ৩৭৭ মিলিয়ন, যুক্তরাজ্য থেকে ২১৪ দশমিক ১৬ মিলিয়ন, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ১৮৪ দশমিক ১৪ মিলিয়ন, কুয়েত থেকে ১৪৪ দশমিক ৪৮, কাতার থেকে ১১৯ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন, ইতালি থেকে ৮৫ দশমিক ৮৮ মিলিয়ন, মালয়েশিয়া থেকে ৮১ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন, ওমান থেকে ৭৪ দশমিক ৩০ ও বাহরাইন থেকে ৮৭ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য থেকে দেখা যায়, কোভিড-১৯ মহামারীর সময়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এক কোটি ২০ লাখ বাংলাদেশী বসবাস করছেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, মধ্যপ্রাচ্য, আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলোর প্রবাসীরা বাংলাদেশের রেমিট্যান্স আয়ে বড় ভূমিকা রাখছেন।
সূত্র : ইউএনবি