টানটান উত্তেজার ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে লুইস ফন গালের নেদারল্যান্ডস। কাতার বিশ্বকাপের প্রথম নকআউট ম্যাচে তাদের জয় ৩-১ ব্যবধানে। গোলে মেম্ফিস ডিপাইয়ের শুরু করে সুরে পরে তাল মিলিয়েছেন ডেলি ব্লাইন্ড ও ডেনজেন ডামপ্রিস। যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র গোলটি হাজি রাইটের।
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ম্যাচের ৪ মিনিটের মাথায় আক্রমণে যায় যুক্তরাষ্ট্র। ক্রিস্টিয়ান পুলিসিচ ফাঁকায় বল পেয়ে শটও নিয়েছিলেন। কিন্তু তার দুর্বল শট ঠেকিয়ে দেন ডাচ গোলরক্ষক আন্দ্রিস নোপার্ট। ফলে আশাহত হতে হয় গ্যালারিতে থাকা সমর্থকদের।
৬ মিনিট পর লিড নেয় নেদারল্যান্ডস। নিজেদের অর্ধ থেকে ওয়ান টু ওয়ান পাসে বল নিয়ে প্রতিপক্ষকের রক্ষণের দিকে এগিয়ে যান ডাচ খেলোয়াড়রা। ডানপ্রান্ত থেকে আড়াআড়ি পাসে ডেনজেল ডামপ্রিস বল দেন একা একা দৌড়াতে থাকা ডিপাইকে। ডিপাই দূরের পোস্ট দিয়ে শট নিয়ে সফল হন, যুক্তরাষ্ট্রের গোলরক্ষক ম্যাট টার্নার ঝাঁপিয়ে পড়েও বলের নাগাল পাননি। ততক্ষণে উদ্যাপন শুরু করে দেন ডিপাই।
এই বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত নেদারল্যান্ডসের সর্বোচ্চ গোলদাতা কোডি গ্যাকপো। ম্যাচের ১৭ মিনিটে মাঠের মধ্যভাগ থেকে বল নিয়ে ওপরে উঠেন তিনি। তার কাছ থেকে বল পান ডেলি ব্লাইন্ড। ডি বক্সের বাইরে থেকে নেয়া ব্লাইন্ডের শটে বল চলে যায় যুক্তরাষ্ট্রের গোলপোস্টের ওপর দিয়ে। ব্লাইন্ডের পর সুযোগ মিস করেন ডিপাইও।
বিরতির একটু আগে দারুণ একটি আক্রমণ সাজিয়েও ব্যর্থ হয় যুক্তরাষ্ট্র। তাদের সাজানো পরিকল্পনা ডাচদের ডি বক্সের ভেতরই খেই হারিয়ে ফেলে। পর মুহূর্তে আবার গোলের সুযোগ এসেছিল দলটির সামনে। টিমোথি উইয়াহর বুলেট গতির শট ফিরিয়ে দেন নোপার্ট। যুক্তরাষ্ট্রের দুর্ভাগ্যই বলতে হয়! যুক্তরাষ্ট্র গোল না পেলেও নেদারল্যান্ডসেই ঠিক আরেকটি গোল দিয়ে বিরতিতে যায়। এ গোলটি করেন ডেলি ব্লাইন্ড।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসে দুদল। কিন্তু রক্ষণভাগ আর গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় গোল পাচ্ছিল না কেউই। ৫১ মিনিটে জিমারম্যানের দারুণ শট আটকে দিয়ে নায়করূপে আবির্ভুত হন টার্নার। দশ মিনিট পর আরও একটি সেভ দেন তিনি। ৭০ মিনিটে আরও একটি গোল পেয়ে যেতে পারত ডাচরা। ডি বক্সের কাছ থেকে নেয়া ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংয়ের শট এ সময় ফিরিয়ে দিলেও বল হাত থেকে ছুটে যায় টার্নারের। ফিরতি বলে হেড নেন ডিপাই। সেটাও ফিরিয়ে দেন যু্ক্তরাষ্ট্রের গোলরক্ষক।
৭৪ মিনিটে ডাচ গোলরক্ষককে একা পেয়েও হাজি রাইট। পরে শট নিলেও তা কর্নারের বিনিময়ে ফিরিয়ে দেয় নেদারল্যান্ডসের রক্ষণভাগ। সেই কর্নার থেকেই গোল পায় যুক্তরাষ্ট্র। গোলটি করেন রাইট। ফলে ম্যাচ জমে উঠে। পর মুহূর্তে গোলের দারুণ একটি সুযোগ হাতছাড়া করেন রাইট। উল্টো ৮০ মিনিটে আরও একটি গোল হজম করে তারা। সেই গোলের নায়ক নেদারল্যান্ডসের ডামপ্রিস।